মঙ্গলবার, ২ জুলাই, ২০২৪ ০০:০০ টা

ফিলিস্তিনি বন্দি নির্যাতনের নির্মম কাহিনি

আট মাস ইসরায়েলের হাতে বন্দি থাকার পর মুক্তি পেয়েছেন আল শিফা হাসপাতালের পরিচালকসহ ৫৫ জন

আট মাস ইসরায়েলের হাতে বন্দি ছিলেন গাজার সবচেয়ে বড় চিকিৎসালয় আল শিফা হাসপাতালের পরিচালক ড. মুহাম্মদ আবু সালমিয়া। এরপর তাকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। মুক্তি পেয়ে তিনি বলেছেন, ইসরায়েল তার জেলখানায় ফিলিস্তিনি বন্দিদের ওপর রাতদিন নির্যাতন চালায়। ড. মুহাম্মদ আবু সালমিয়াকে মুক্তি দেওয়ার ফলে ইসরায়েলের রাজনীতিতে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা এর নিন্দা জানিয়ে সমালোচনা করেছেন। তার মধ্যে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর যুদ্ধকালীন মন্ত্রিপরিষদের সাবেক সদস্য বেনি গান্টস জানতে চেয়েছেন, কে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আল জাজিরা জানিয়েছে, আবু সালমিয়াসহ ৫৫ জনের বেশি ফিলিস্তিনি বন্দিকে ইসরায়েলের কারাগার থেকে মুক্তি দিয়েছে দেশটির বাহিনী। মূলত কারাগারের ধারণ ক্ষমতা না থাকায় এসব ফিলিস্তিনিকে মুক্ত করা হয়েছে বলে গতকাল জানিয়েছে ইসরায়েলি পাবলিক ব্রডকাস্টিং করপোরেশন।

সীমালঙ্ঘন নিয়ে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর কোনো অনুশোচনা নেই। তারা বন্দিদের সঙ্গে এমন আচরণ করছে- যেন তারা জড় পদার্থ। চলছে রাতদিন নির্যাতন

এর আগে রিপোর্টে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের সব জেলখানা বন্দিতে পূর্ণ। এ কারণে ড. মুহাম্মদ আবু সালমিয়াসহ ৫৫ জন বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে ইসরায়েল। এর উল্লেখ করে সরকারি কিছু অফিসকে খালি করে বন্দিদের জন্য ‘জেলখানা’ বানানোর আহ্বান জানিয়েছেন বেনি গান্টস। তাদের জন্য বাজেট বরাদ্দের দাবি জানিয়েছেন তিনি। এ অবস্থায় বেশ সংকটে পড়েছেন বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। এদিকে মুক্তি পাওয়া ফিলিস্তিনিদের অভিযোগ, ইসরায়েলের কারাগারে প্রতিনিয়ত শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার ছিলেন তারা।

তাদের অনেককে আল-আকসা এবং আল নাসের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ইসরায়েলি কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর, আল শিফা হাসপাতালের পরিচালক জানিয়েছেন, ফিলিস্তিনি বন্দিরা ইসরায়েলের কারাগারে খাবার, পানির অভাবের মধ্যে নির্যাতন সহ্য করে ‘দুঃখজনক অবস্থার’ মধ্য আছেন। তিনি ড. মুহাম্মদ আবু সালমিয়াসহ অন্য বন্দিদের মুক্তি দেওয়ার বিষয়ে অবিলম্বে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। মুক্তি পাওয়ার পর আবু সালমিয়া খান ইউনুসে বলেন, সীমা লঙ্ঘন নিয়ে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর কোনো অনুশোচনা নেই। তারা বন্দিদের সঙ্গে এমন আচরণ করছে, যেন তারা জড় পদার্থ। তারা ফিলিস্তিনি বন্দিদের রাতদিন নির্যাতন করছে। এমনকি ফিলিস্তিনি বন্দিদের স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার পরিবর্তে ইসরায়েলি মেডিকেল স্টাফরা তাদের প্রহার, মারধর ও নির্যাতন করছে। তিনি আরও জানান, ইন্টারোগেশন সেলে বা জিজ্ঞাসাবাদের সময়ই অনেক বন্দি মারা গেছেন। ইসরায়েলি বাহিনীর কাছে ফেলে এসেছি ফিলিস্তিনের হাজারো বন্দিকে।

সর্বশেষ খবর