শুক্রবার, ৫ জুলাই, ২০২৪ ০০:০০ টা

স্টারমার কি ব্রেক্সিট বাতিল করবেন

স্টারমার যুক্তরাজ্যকে অর্থনৈতিক সংকট থেকে টেনে তোলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। কিন্তু ইউরোপীয় ইউনিয়নের জোটের বাইরে থেকে অর্থনীতিকে এগিয়ে নেওয়া তার জন্য কঠিন বলে মত অনেকের

স্টারমার কি ব্রেক্সিট বাতিল করবেন

যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্ট নির্বাচনের এক দিন আগেই কিয়ার স্টারমারের লেবার দলের কাছে একপ্রকার পরাজয় স্বীকার করে নিয়েছে কনজারভেটিভ পার্টি। ক্ষমতাসীন দলটি বুধবার বলেছে, বিরোধী দলে থাকা লেবাররা রেকর্ড ভাঙা জয়ের পথে রয়েছে। গতকাল স্থানীয় সময় সকাল ৭টায় (বাংলাদেশ সময় বেলা ১২টা) ইংল্যান্ড, ওয়েলস, স্কটল্যান্ড ও নর্দান আয়ারল্যান্ডের ৬৫০টি নির্বাচনি আসনের সবগুলো কেন্দ্রে একযোগে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। ভোট গ্রহণ চলে একটানা রাত ১০টা পর্যন্ত (বাংলাদেশ সময় রাত ৩টা)। আজ স্থানীয় সময় ৯টার মধ্যেই অধিকাংশ আসনের ফলাফল জানা যাবে বলে জানিয়েছে বিবিসি।

৬১ বছর বয়সি স্টারমার ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে ব্রিটেনের বেরিয়ে যাওয়ার বিপক্ষে ছিলেন। জিতলে ২০১৬ সালের গণভোটকে পুনর্বিবেচনা করবেন কি না সে বিষয়ে অবশ্য নির্বাচনি প্রচারে তিনি কোনো কিছু খোলাসা করেননি। স্টারমার যুক্তরাজ্যকে অর্থনৈতিক সংকট থেকে টেনে তোলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। কিন্তু ইউরোপীয় ইউনিয়নের জোটের বাইরে থেকে অর্থনীতিকে এগিয়ে নেওয়া তার জন্য কঠিন বলে মত অনেকের। তার বিশ্বাস ক্ষমতায় এলে ব্যবসায়ী, অর্থনীতিবিদ এবং ইইউ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার বিপক্ষে যারা ভোট দিয়েছিলেন তাদের কাছ থেকে এই ইস্যু নিয়ে চাপের মুখে পড়বেন স্টারমার।

ব্রেক্সিট পুনর্বিবেচনার জন্য কতটা চাপে পড়বেন স্টারমার : বেক্সিটের কারণে যুক্তরাজ্যের অর্থনীতিতে কতটা ক্ষতি হয়েছে তার নানা ধরনের হিসাব রয়েছে। ব্রিটিশদের ব্যবসা করার ক্ষেত্রে কাগজপত্রের জটিলতা যে আগের চেয়ে বেড়েছে তা নিয়ে কোনো বিতর্ক নেই। মেনজিস নামের একটি অ্যাকাউন্টেন্সি প্রতিষ্ঠান জরিপের মাধ্যমে জানিয়েছে ব্রিটেনের প্রতি পাঁচটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের একটি আবারও ইইউর একক বাজারে ফিরতে চায়। ব্রিটিশ চেম্বার অব কমার্স বলছে, তাদের ৪১ শতাংশ ব্যবসায়ী মনে করেন ব্রেক্সিটের কারণে ইইউ দেশগুলোর সঙ্গে পণ্য বেচাকেনায় জটিলতা তৈরি হয়েছে।

লেবার পার্টি ২০২০ সালে বরিস জনসনের সময় ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ব্রিটেনের মধ্যকার বাণিজ্য ও অংশীদারি চুক্তিকে আরও উন্নত করতে চায়। এর মূল উদ্দেশ্য হবে কাগজপত্রগত জটিলতা এবং সীমান্তে পরীক্ষা-নিরীক্ষার ধাপগুলো কমানো। যুক্তরাজ্য-ইইউ প্রতিরক্ষা চুক্তির ব্যাপারেও জোর দিচ্ছে দলটি। কিন্তু প্রশ্ন হলো- লেবার পার্টির আগ্রহ সত্ত্বেও এসব বিষয়ে ইইউ কতটা সাড়া দেবে। কিংস কলেজ লন্ডনের ইউরোপীয় রাজনীতির অধ্যাপক আনন্দ মেনন মনে করেন প্রতিরক্ষা চুক্তির ব্যাপারে ইইউ সাড়া দেবে না বলেই তার বিশ্বাস।

বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ব্রিটিশ আইনি কাঠামো ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের আইনি বাধাগুলো দূর করতে দুই পক্ষেরই সহযোগিতা করা উচিত বলে মনে করেন জার্মান চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক নীতি বিষয়ক প্রধান মেলানি ফোগেলবাভ। কিন্তু বড় ধরনের পরিবর্তনের ক্ষেত্রে ইইউ খুব বেশ কিছু দিতে পারবে না বলে মনে করেন তিনি। ডয়চে ভেলে, বিবিসি

সর্বশেষ খবর