আড়াই বছর পর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বীভৎস রূপ ধারণ করেছে। ভয়ংকর হামলা শুরু করেছে রাশিয়া। গতকাল রাজধানী কিয়েভসহ ইউক্রেনের একাধিক জায়গায় রাশিয়া মিসাইল হামলা চালিয়েছে। এতে অন্তত ২৪ জন নিহত হয়েছে। হামলার শিকার হয়েছে একটি শিশু হাসপাতালও। দুই দেশের যুদ্ধে এখন পর্যন্ত এটাই সবচেয়ে ভয়াবহ ও নিন্দনীয় হামলা, দাবি কিয়েভের মেয়রের।
কিয়েভের অভিযোগ, শিশু হাসপাতাল লক্ষ্য করেই ওই হামলা। আশপাশের বহু বাড়িও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ মুহূর্তে নিরাপত্তাসংক্রান্ত চুক্তির কারণে পোল্যান্ডে রয়েছেন ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। সেখান থেকে তাঁর হুঁশিয়ারি- এ ধরনের হামলার ফল ভুগতে হবে রাশিয়াকে। জেলেনস্কি আরও বলেন, ‘বিভিন্ন শহর-কিয়েভ, নিপ্রো, ক্রিভইরিয়, স্লভিনস্ক, ক্রামাতোর্স্কে আঘাত হানা হয়েছে। বিভিন্ন ধরনের ৪০টির বেশি ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে। আবাসিক ভবন, অবকাঠামো ও একটি শিশু হাসপাতাল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’ সমাজমাধ্যমে আসা ভিডিওগুলোয় ওখমাদিত শিশু হাসপাতালের ভিতরে ও বাইরে ধ্বংসের চিত্র উঠে এসেছে। কিয়েভজুড়ে ধোঁয়ার কুণ্ডলী দেখা গেছে। সমাজমাধ্যমে করা পোস্টে জেলেনস্কি বলেছেন, হাসপাতালের ধ্বংসস্তূপের নিচে লোকজন আটকা পড়ে আছে। আর এ অশান্ত পরিস্থিতির মাঝে গতকাল রাশিয়া সফরে গেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
ইউক্রেনের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ভিক্টর লায়াশকো জানিয়েছেন, মিসাইল হামলা ও বিস্ফোরণে ক্যান্সার এবং ইনটেনসিভ কেয়ার ওয়ার্ড সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। যাদের চিকিৎসা চলছিল, সঙ্গে সঙ্গে তাদের বের করে দেওয়া হয়েছে।সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত কয়েকটি ছবিতে দেখা যাচ্ছে, ব্যান্ডেজ বাঁধা অবস্থায় মা-বাবার কোলে হাসপাতালের বাইরে বসে রয়েছে শিশুরা। কিয়েভের মেয়রের দাবি, যুদ্ধে এখন পর্যন্ত এটাই সবচেয়ে ভয়াবহ ও নিন্দনীয় হামলা। যেখানে শিশু হাসপাতালকে টার্গেট করা হয়েছে। সব মিলিয়ে গতকালের এ হামলা ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের আঁচ আরও বাড়িয়ে তুলল বলেই মত ওয়াকিবহাল মহলের।