শিরোনাম
বুধবার, ১০ জুলাই, ২০২৪ ০০:০০ টা

ন্যাটো সম্মেলনে বাইডেনের ‘বাঁচা-মরার প্রশ্ন’

ন্যাটোর ৭৫তম বার্ষিকীতে আয়োজিত এই সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট হিসেবে তার সক্ষমতা ও দক্ষতার প্রমাণ রাখবেন

ন্যাটো সম্মেলনে বাইডেনের ‘বাঁচা-মরার প্রশ্ন’

পশ্চিমা বিশ্বের সবচেয়ে বড় সামরিক জোট ন্যাটোর শীর্ষ সম্মেলন গতকাল ওয়াশিংটনে শুরু হয়েছে। সোমবার মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন এবং ন্যাটো মহাসচিব জেন্স স্টোলটেনবার্গ এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক সেরেছেন। বৈঠকে অস্টিন বলেছেন, এই সম্মেলন বিশ্বের বৃহত্তম প্রতিরক্ষা জোটের ৭৫ বছরের সাফল্য উদযাপন করবে।

সম্মেলনে ৩২টি ন্যাটো সদস্য দেশের প্রধানার একত্রিত হয়েছে। তবে এবারের এই সম্মেলন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের জন্য। কারণ আধুনিক আমেরিকার ইতিহাসে নির্বাচনি বিতর্কে সবচেয়ে খারাপ করেছেন। তিনি প্রতিদ্বন্দ্বী ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে কোনো কিছুতেই টিকতে পারেননি। এর ফলে প্রেসিডেন্ট বাইডেন এখন ঘরোয়া এবং বৈশ্বিক রাজনীতিতে টিকে থাকার লড়াই করছেন। যদিও সম্মেলনের আগে বাইডেন বলেছেন, তিনি সামরিক প্রতিরক্ষা জোট ন্যাটোর ৭৫তম বার্ষিকীতে আয়োজিত এই সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট হিসেবে তার সক্ষমতা ও দক্ষতার প্রমাণ রাখবেন। তাই এই সম্মেলন বাইডেনের কাছে বাঁচা-মরার প্রশ্ন হয়ে উঠেছে।

এই সম্মেলনেই বিশ্বের বিপজ্জনক নিরাপত্তা পরিস্থিতির মোকাবিলায় ও ন্যাটো দেশগুলোর ১০০ কোটি নাগরিককে সুরক্ষিত রাখা যায় তা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা। বিবিসির খবরে বলা হয়, নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে এই সম্মেলন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের জন্য এক অগ্নিপরীক্ষা। এই সম্মেলনে নেতাদের মূল লক্ষ্য রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইউক্রেনকে সমর্থন দেওয়া অব্যাহত রাখার কৌশল খুঁজে পাওয়া। তবে এই সম্মেলনের আয়োজক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন একে দেখছেন আরও চার বছর প্রেসিডেন্ট পদে থাকার যোগ্যতা প্রমাণের সুযোগ হিসেবে। সোমবার এমএসএনবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বাইডেন বলেন, আমাদের মিত্ররা মার্কিন নেতৃত্বের দিকে তাকিয়ে আছে। আমি ছাড়া আর কে এটা করতে পারত? আমি ন্যাটোর সম্প্রসারণ করেছি। আমি ন্যাটোকে স্থায়িত্ব দিয়েছি। আমি নিশ্চিত করেছি যেন এমন একটি জোট টিকে থাকে, যেখানে সদস্য রাষ্ট্রগুলো একাত্ম হয়ে চীন-রাশিয়াসহ বিশ্বের যে কোনো শক্তির মোকাবিলা করতে পারে। আমরা প্রকৃত উন্নয়নের পথেই আছি। যদিও মার্কিন পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষের ছয় ডেমোক্র্যাট আইনপ্রণেতা  প্রকাশ্যে বাইডেনকে নির্বাচনি দৌড় থেকে সরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

অন্যান্য আইনপ্রণেতারাও অন্য কোনো যোগ্য প্রার্থীকে জায়গা ছেড়ে দেওয়ার জন্য ব্যক্তিগতভাবে বাইডেনকে অনুরোধ করেছেন। বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ দাতাও বাইডেনকে নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন।

এ কারণে হোয়াইট হাউস ন্যাটো সম্মেলনকে ঘিরে বিভিন্ন আয়োজনের মধ্য দিয়ে দ্বিধান্বিত ডেমোক্র্যাট নেতা-কর্মীদের কাছে বাইডেনের সক্ষমতা প্রমাণের চেষ্টা করবে। এ সময় বাইডেন বেশ কয়েকটি আনুষ্ঠানিক ও অনির্ধারিত বৈঠকে অংশ নেবেন। পাশাপাশি কূটনীতিবিদদের সঙ্গে নৈশভোজ, সংবর্ধনা ও সম্মেলনের সমাপনী সংবাদ সম্মেলনেও দেখা যাবে বাইডেনকে। তবে ন্যাটো নিয়ে তেমন উচ্ছ্বসিত নন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ট্রাম্প আবার ক্ষমতায় এলে কী হতে পারে, সেটা ন্যাটোর এই সম্মেলনে অন্যতম আলোচনার বিষয়। পাশাপাশি, জো বাইডেন তার নির্বাচনি প্রচারণাকে নবজীবন দিতে এই সম্মেলনকে কাজে লাগাতে চাইছেন।

সর্বশেষ খবর