শিরোনাম
শুক্রবার, ১২ জুলাই, ২০২৪ ০০:০০ টা
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন

বাইডেনে অনাস্থা ডেমোক্র্যাট দলেই

সিনেটর পিটার ওয়েলচ, হলিউড তারকা ও দলের অন্যতম তহবিল সংগ্রহকারী জর্জ ক্লুনি, সাবেক স্পিকার ন্যান্সি পেলোসিও বাইডেনকে সরে যাওয়ার দাবি জানিয়েছেন

বাইডেনে অনাস্থা ডেমোক্র্যাট দলেই

জর্জ ক্লুনি - জো বাইডেন

মার্কিন নির্বাচনের সময়-স্বল্পতা বড় দুশ্চিন্তা হয়ে উঠছে ডেমোক্র্যাট শিবিরে। জো বাইডেনকে নিয়ে দুশ্চিন্তা আর নভেম্বরে অনুষ্ঠেয় নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে আশঙ্কা বাড়ছে ক্রমশ। বিশেষ করে রিপাবলিকান দলের প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সর্বশেষ বিতর্কে বাইডেনের ভাঙা কণ্ঠে নড়বড়ে আত্মবিশ্বাস নিয়ে কথা বলা, কথা বলতে বলতে খেই হারিয়ে ফেলা অনেক ডেমোক্র্যাট নেতাকেই উদ্বিগ্ন করেছে। সে উদ্বেগ এতটাই যে, তারা মনে করছেন নিজের, দলের এবং দেশের স্বার্থে বাইডেনের উচিত এখনই নির্বাচনি লড়াই থেকে সরে দাঁড়ানো। ফলে সিনেটর পিটার ওয়েলচ, হলিউড তারকা ও ডেমোক্র্যাট দলের অন্যতম তহবিল সংগ্রহকারী জর্জ ক্লুনি, এমনকি সাবেক হাউস স্পিকার ন্যান্সি পেলোসিও তুলেছেন এমন দাবি।

ন্যান্সি পেলোসি ইঙ্গিতে সরে দাঁড়ানোর কথা বললেএ চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের অধিকারটুকু বাইডেনকেই দিতে চান। এমএসবিএনসি চ্যানেলকে তিনি বলেছেন, ‘পুরো বিষয়টি প্রেসিডেন্টের সিদ্ধান্তের ওপরই নির্ভর করছে। আমরা সবাই আসলে তাকে সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয়ে সাহস জোগাচ্ছি, কারণ, সময় তো দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছে।

দ্য নিউইয়র্ক টাইমস পত্রিকায় ক্লুনি লিখেছেন, ‘বাইডেন হচ্ছেন সে মানুষটি যাকে আমরা নির্বাচনি বিতর্কে দেখেছি। এটি বয়সের ব্যাপার, আর কিছুই নয়। আমরা এ প্রেসিডেন্টকে নিয়ে নভেম্বরের নির্বাচনে জিততে পারব না।’

তিনি আরও লিখেছেন, ‘যদিও এটা বলা কষ্টজনক, তবুও তিন সপ্তাহ আগে আমি একটি অর্থ উত্তোলন অনুষ্ঠানে যে জো বাইডেনকে দেখেছি তিনি ২০১০ এর বাইডেন নন। এমনকি তিনি ২০২০ এর ও বাইডেন নন।’ তার মন্তব্য, ‘বাইডেন হচ্ছেন সে মানুষটি যাকে আমরা নির্বাচনি বিতর্কে (২৭ জুন) দেখেছি। এটি বয়সের ব্যাপার, আর কিছুই নয়। আমরা এ প্রেসিডেন্টকে নিয়ে নভেম্বরের নির্বাচনে জিততে পারব না।’ এদিকে বুধবার ওয়াশিংটন পোস্টে সিনেটর পিটার ওয়েলচ লিখেছেন, ‘বিতর্কে বাইডেনের ভয়াবহ পারফরম্যান্স থেকে আমরা নজর সরিয়ে রাখতে পারি না। দেশের ভালোর জন্য আমি প্রেসিডেন্ট বাইডেনের প্রতি নির্বাচনি দৌড় থেকে  প্রত্যাহার করে নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।’ বাইডেন অবশ্য ন্যান্সি পেলোসি, পিটার ওয়েলচ, প্যাট রায়ান, আর্ল ব্লুমেনআওয়ার, জর্জ ক্লুনিদের কথায় কান দিতে নারাজ। ৮১ বছর বয়সি মার্কিন প্রেসিডেন্ট মনে করেন, ওই বিতর্ক ছিল স্রেফ একটা ‘খারাপ পর্ব’।

বাইডেনের তিন সহকারী কী জানেন : হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভের ওভারসাইট কমিটিও জানতে চায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশ নেওয়ার শারীরিক ও মানসিক সক্ষমতা  বাইডেনের আছে কি না।  এ জন্য হোয়াইট হাউসের তিন কর্মকর্তাকে ডেকে পাঠিয়েছে। সেই তালিকায় আছেন বাইডেনের স্ত্রীর অন্যতম সহকারী অ্যান্থনি বার্নাল, ডেপুটি চিফ অব স্টাফ অ্যানি টোমাসিনি ও সিনিয়র অ্যাডভাইজার অ্যাশলে উইলিয়ামস। এ তিন কর্মী বাইডেনের চার পাশে এক রক্ষা-বলয় তৈরি করে রেখেছেন। কমিটি মনে করছেন, এ তিনজনের কাছ থেকে জো বাইডেনের শারীরিক ও মানসিক অবস্থা সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যাবে।  তবে হোয়াই হাউসের মুখপাত্র ইয়ান স্যামস বলেছেন,  কমিটির এ উদ্যোগ নিছক ‘ভিত্তিহীন রাজনৈতিক স্টান্টবাজি।

সর্বশেষ খবর