ওয়াশিংটন ডিসিতে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন ন্যাটো সামরিক জোটের তিন দিনের সম্মেলনের প্রথম দুই দিনে রাশিয়াকে প্রতিরোধ ও ইউক্রেনকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। রাশিয়া ইউরোপের জন্য ক্রমবর্ধমান হুমকি হয়ে উঠছে বলে অভিযোগ করেছে ন্যাটো। রাশিয়ার এ হুমকি মোকাবিলায় জার্মানিতে দীর্ঘ পাল্লার মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনের সিদ্ধান্ত বড় ধরনের একটি পদক্ষেপ বলে মনে করছে তারা। অর্থাৎ এবারের ন্যাটো সম্মেলনে ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য বিশাল সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে পশ্চিমারা। কিন্তু ফিলিস্তিন ইস্যুতে বরাবরের মতোই চুপ তারা। ব্যতিক্রম কেবল স্পেন। দেশটির প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ বুধবার বিশ্বনেতাদের সমালোচনা করে বলেন, ইউক্রেন ইস্যুতে সোচ্চার, আর ফিলিস্তিন ইস্যুতে চুপ। এ ভূমিকাকে ন্যাটো নেতাদের ‘ভন্ডামি’ বলে কটাক্ষ করেছেন তিনি। কিছুদিন আগেই ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিয়েছে স্পেন। গাজায় নির্বিচার হত্যাযজ্ঞ চালানোয় ইসরায়েলি সরকারের কঠোর সমালোচনাও করেছে তারা। পশ্চিমা নেতাদের উদ্দেশে স্প্যানিশ প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা যদি জনগণকে বলি, আন্তর্জাতিক আইন রক্ষার জন্য আমরা ইউক্রেনকে সমর্থন করছি, তাহলে গাজার প্রতিও আমাদের করণীয় একই। তিনি বলেন, আমাদের একটি ‘সামঞ্জস্যপূর্ণ রাজনৈতিক অবস্থানে’ থাকা উচিত, যেখানে কোনো ‘দ্বিচারিতা’ থাকবে না। সানচেজ বলেন, ফিলিস্তিনিদের ‘এ ভয়ানক মানবিক সংকট বন্ধ করতে’ বিশ্বকে চাপ দেওয়া দরকার। এ সময় ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের জন্য একটি আন্তর্জাতিক শান্তি সম্মেলনের আহ্বান জানান স্প্যানিশ প্রধানমন্ত্রী।