এখনো ট্রাম্পের ওপর হামলার কারণ বা মোটিভ খুঁজে পায়নি মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই। গোয়েন্দারা টমাস ম্যাথিউ ক্রুকসের নিজ এলাকা বেথেল পার্কে তার বাড়ির আশপাশে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে। তবে এখনো এফবিআই গত শনিবার পেনসিলভ্যানিয়ার বাটলারে নির্বাচনি সমাবেশে ট্রাম্পের ওপর হামলার কোনো সূত্র খুঁজে পায়নি। গতকাল এ খবর দিয়েছে অনলাইন দ্য গার্ডিয়ান।
এতে বলা হয়, ট্রাম্পের ওপর কেন হামলা চালিয়েছে টমাস ক্রুকস সে রহস্য উন্মোচনে বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য উদ্ধারের চেষ্টা করছে এফবিআই। তবে এখন পর্যন্ত ওই হামলার উদ্দেশ্য সম্পর্কে কিছুই জানতে পারেনি তারা।
এফবিআই বলেছে, তারা ক্রুকসের ফোন ট্রেস করতে পেরেছে।তবে তার ফোন থেকে তেমন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যায়নি। এফবিআই ল্যাবের প্রাথমিক বিশ্লেষণে ওই হামলার অনুসন্ধানের কোনো অগ্রগতি হয়নি। তবে এফবিআই যত দ্রুত সম্ভব ওই হামলার মোটিভ খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে।
এফবিআই বলেছে, তারা এটিকে ‘অভ্যন্তরীণ সন্ত্রাসবাদের ঘটনা’ হিসেবে তদন্ত করছে। তবে সিক্রেট সার্ভিসের গুলিতে নিহত ব্যক্তির স্পষ্ট আদর্শিক উদ্দেশ্যের অনুপস্থিতি থাকায় এ নিয়ে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র তত্ত্ব নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। গত রবিবার হোয়াইট হাউস থেকে এক বিবৃতিতে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, ‘আমি সবাইকে অনুরোধ করছি, দয়া করে তার উদ্দেশ্য বা সংশ্লিষ্টতা নিয়ে অনুমান করবেন না। এফবিআইকে তাদের কাজ করতে দিন, তাদের অংশীদার সংস্থাগুলোকে তাদের কাজ করতে দিন। আমি নির্দেশ দিয়েছি এ তদন্ত যেন পুঙ্খানুপুঙ্খ ও দ্রুত হয়।’
এফবিআইর ধারণা, থমাস একাই এ হত্যাচেষ্টার পরিকল্পনা করেছিলেন। তার গাড়িতে বোমা তৈরির সরঞ্জাম মিললেও, তার উদ্দেশ্য সম্পর্কে এখনো সন্দিহান তারা। তদন্তকারীরা তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অ্যাকাউন্টে কোনো হুমকিমূলক বক্তব্য বা আদর্শিক উদ্দেশ্য খুঁজে পাননি। হামলার দিন ট্রাম্পের ওপর গুলি চালানোর পরপরই ক্রুকস সিক্রেট সার্ভিস সদস্যদের গুলিতে নিহত হন। কিন্তু ওই ঘটনা ইতোমধ্যেই মার্কিন রাজনীতিতে বেশ প্রভাব ফেলতে শুরু করেছে।
নির্বাচনের মাত্র কয়েক মাস আগে রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থীর ওপর এমন হত্যাচেষ্টা ভালোভাবে নেয়নি দেশটির নাগরিকরা। এতে নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছে তারা। এ ছাড়া ঘটনার তিন দিন পার হলেও তেমন কোনো তথ্য দিতে পারেনি এফবিআই। তাদের অনুসন্ধান নিয়ে সংশয়ও প্রকাশ করছে কেউ কেউ। এ ছাড়া দেশটিতে এখন যে বিষয়টি সবচেয়ে বেশি ভয়ের কারণ হতে পারে সেটি হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রে আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নাগরিকদের মধ্যে অস্থিরতার জন্ম দিয়েছে।
এফবিআই তদন্ত করে বের করার চেষ্টা করছে যে ক্রুকস কোনো বিপথগামী সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন কি না। সোমবার এক বিবৃতিতে সংস্থাটি জানিয়েছে, ইতোমধ্যেই সন্দেহভাজন ব্যক্তির বাসস্থান এবং গাড়ির অনুসন্ধান কার্যক্রম সম্পন্ন করেছে তারা। এক্ষেত্রে তারা প্রায় ১০০ জনের বেশি ব্যক্তির সাক্ষাৎকার নিয়েছে। তবে এখনো উল্লেখযোগ্য নতুন কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে এফবিআই।