মঙ্গলবার, ২৩ জুলাই, ২০২৪ ০০:০০ টা

ইউরোপকে হুঁশিয়ার করল রাশিয়া

যুক্তরাষ্ট্রের দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন মেনে নিলে ইউরোপীয় দেশগুলো ঝুঁকিতে পড়বে। তাদের দেশের রাজধানীগুলো নিশানা হতে পারে- বলেছেন ক্রেমলিনের মুখপাত্র পেসকভ। যুক্তরাষ্ট্র কয়েকদিন আগেই জার্মানিতে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনের পরিকল্পনা ঘোষণা করার পর রাশিয়া এবার এর পাল্টা পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইউরোপের দেশগুলোকে। রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের রাষ্ট্রীয় বাসভবন ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন মেনে নিলে ইউরোপীয় দেশগুলো নিজেরাই নিজেদের ঝুঁকিতে ফেলবে। রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় টিভি সাংবাদিক পাভেল জারুবিন ইউরোপে যুক্তরাষ্ট্রের হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনের সম্ভাবনার বিষয়ে জানতে চাইলে পেসকভ বলেন, ‘এসব ক্ষেপণাস্ত্র ঠেকানোর যথেষ্ট সক্ষমতা আমাদের রয়েছে। কিন্তু এসব (ইউরোপীয়) রাষ্ট্রের রাজধানীগুলো শিকার হতে পারে।’ স্নায়ুযুদ্ধের কথা উল্লেখ করে পেসকভ বলেন, সে সময় ইউরোপে মোতায়েন আমেরিকার ক্ষেপণাস্ত্রগুলো রাশিয়ার দিকে তাক করা ছিল। আর রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্রগুলো তাক করা ছিল ইউরোপের দিকে।

এতে ইউরোপ মহাদেশের দেশগুলোই সম্ভাব্য যে কোনো সংঘাতের প্রথম শিকার হওয়ার মুখে ছিল। তিনি বলেন, ইউরোপ এখন টুকরো টুকরো হয়ে ভেঙে পড়ছে। ইউরোপের জন্য সময়টা ভালো নয়। অতএব কোনো না কোনোভাবে ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটবে। গত বুধবার পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর সম্মেলনে হোয়াইট হাউস এক ঘোষণায় জানায়, ২০২৬ সাল থেকে পর্যায়ক্রমে জার্মানিতে মোতায়েন হবে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র।

স্নায়ুযুদ্ধের পর এই প্রথম যুক্তরাষ্ট্র এমন পদক্ষেপ নিয়েছে। এসব ক্ষেপণাস্ত্রের মধ্যে আছে টোমাহক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র এসএম-৬ এবং বিভিন্ন ধরনের হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র। বর্তমান ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর চেয়ে এসব ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা অনেক বেশি দীর্ঘ। এর আগে জার্মানিতে মার্কিন দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনের ‘এই নতুন হুমকির জবাব সামরিকভাবেই দেওয়া হবে’ বলে জানিয়েছিলেন রাশিয়ার উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই রিয়াবকভ। ন্যাটো এবং যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়াকে ভয় দেখানোর চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেছিলেন তিনি।

সর্বশেষ খবর