বুধবার, ২৪ জুলাই, ২০২৪ ০০:০০ টা

মার্কিন নির্বাচনের ফল নির্ধারণ করে সুইং স্টেটের ওপর

বাইডেন আগামী নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেওয়ার পরই এসব স্টেটে অনেকটা ব্যাকফুটে চলে গেছেন ডেমোক্র্যাট রাজনীতিবিদরা

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কিছু স্টেট বা রাজ্য আছে যেগুলোতে রিপাবলিক কিংবা ডেমোক্র্যাট কোনো দলেরই সংখ্যাগরিষ্ঠতা নেই। প্রত্যেক নির্বাচনের ফলাফল এসব স্টেটের ওপরই নির্ভর করে। এগুলোকে সাধারণত সুইং স্টেট বলা হয়ে থাকে।

প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আগামী নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেওয়ার পরই এসব স্টেটে অনেকটা ব্যাকফুটে চলে গেছেন ডেমোক্র্যাট রাজনীতিবিদরা। বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস পরবর্তী ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হিসেবে মনোনীত হওয়ার সম্ভাবনা তীব্র হলেও সুইং স্টেটগুলোতে তাকে নিয়ে মানুষের মিশ্র প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেছে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি সেসব স্টেটের সাধারণ মানুষের সাক্ষাৎকার নিয়েছে। সেখানেই বিষয়গুলো পরিষ্কার হয়েছে। এক নারী বলেন, আমার মতামত হলো- কমলা হ্যারিসের রাজনৈতিকভাবে কী অভিজ্ঞতা আছে? সে কী করেছে?

আরেক নারী বলেন, আমি আসলে বিষয়গুলো খুব পাত্তা দিই না। তবে প্রেসিডেন্ট অফিসে একজন নারী থাকলে বিষয়টা সুন্দর দেখাবে। এর সঙ্গে কমলা হ্যারিস একজন কৃষ্ণাঙ্গ। এসব এলাকায় অবস্থিত ট্রাম্প সমর্থকরা কমলা হ্যারিসকে যোগ্য প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে মানছেন না। এমনকি তাকে কোনো হুমকিও মনে করেন না। সাক্ষাৎকারে তাদের একজন বলেন, নির্বাচনে ট্রাম্প জয়ী হবে। কারণ, ট্রাম্প সবাইকে একতাবদ্ধ করতে পারেন এবং সেই উপায় অন্যদের তুলনায় ভালো করে জানা আছে তার। গত চার সপ্তাহে যা হয়েছে, তা দেখে বলা যায় ট্রাম্পকে আটকানো যাবে না। তবে কমলা হ্যারিসের বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন সাবেক লেবার সেক্রেটারি রবার্ট রেইচ। বিবিসিকে তিনি বলেন, শুরুর ৪৮ ঘণ্টা দুর্দান্ত কাজ করে দেখিয়েছেন কমলা। একদম সেরা একটি বক্তব্য দিয়েছেন তিনি। দলের কর্মী ও সমর্থকদের যা বলেছেন তা খুব বেশিই গ্রহণযোগ্য হয়েছে। দলের নির্বাচনি কার্যক্রম পরিচালনার জন্য যথেষ্ট অনুদান সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়েছেন। এটি অবশ্যই একটি ইতিবাচক দিক।

আগামী ১৯ আগস্ট ডেমোক্র্যাটিক দলের জাতীয় সম্মেলনে দলীয় মনোনয়ন চূড়ান্ত করা হবে। অনেক বিশ্লেষকের ধারণা, কমলা হ্যারিসই এবারের মার্কিন নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটিক দলের প্রার্থী হবেন। উল্লেখ্য, গত জুনে প্রতিপক্ষ রিপাবলিকান দলের মনোনীত প্রার্থী সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে বিতর্কে ধরাশায়ী হওয়ার পর থেকে নিজ দলের মধ্যেই তোপের মুখে পড়েন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ডেমোক্র্যাট দলের ভিতরে-বাইরে দাবি ওঠে তার সরে দাঁড়ানোর। বিশেষ করে একাধিক নেতা তাকে প্রার্থী না হওয়ার জন্য আহ্বান জানান।

এর পরিপ্রেক্ষিতে গত রবিবার এক বিবৃতিতে আসন্ন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন জো বাইডেন।

সর্বশেষ খবর