রবিবার, ৪ আগস্ট, ২০২৪ ০০:০০ টা

দুই দলই দিয়ে চলেছে সস্তা ওয়াদার ফুলঝুরি

যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধি

দুই দলই দিয়ে চলেছে সস্তা ওয়াদার ফুলঝুরি

নির্বাচন এলেই ইমিগ্রেশনের ইস্যুটি সামনে আসে। এক্ষেত্রে এগিয়ে থাকেন ডেমোক্র্যাটরা। তবে এবার পিছিয়ে থাকতে চাচ্ছেন না ট্রাম্পের রিপাবলিকানরাও। তারাও নানা সস্তা প্রতিশ্রুতির ফুলঝুরি দিচ্ছেন। এর ফলে বিভ্রান্ত কমিউনিটি। গত ৩০ বছরের মধ্যে যতগুলো নির্বাচন এসেছে সবকটিতেই ইমিগ্রেশনের ভঙ্গুর অবস্থা বিবৃত হয়েছে। কিন্তু নির্বাচনের পর কোনো প্রেসিডেন্টই এ সমস্যাকে সমাধানের আন্তরিক কোনো উদ্যোগ নেননি। বারাক ওবামা চেষ্টা করেছিলেন কিন্তু রিপাবলিকানদের বিরোধিতায় কমপ্রিহেনসিভ ইমিগ্রেশন রিফর্ম বিলটি সিনেটের অনুমোদন পায়নি।

কারণ, কমপক্ষে ৬০ ভোটের প্রয়োজন হয় সিনেটের অনুমোদনের জন্য। তবে বিল ক্লিন্টনের আমলে একবার কংগ্রেসের উভয় কক্ষেই সংখ্যাগরিষ্ঠ ছিল ডেমোক্র্যাটরা। তবুও কিছু করা হয়নি। অধিকন্তু ক্লিন্টনের আমলেই দুই বছরের অধিক সাজাপ্রাপ্ত গ্রিনকার্ডধারীকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বহিষ্কারের আইন হয়েছে। ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমলে ইমিগ্র্যান্টরা নাজুক অবস্থায় নিপতিত হয়েছিলেন। কিছুদিন আগেও তিনি হুমকি দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ইমিগ্র্যান্টদের ঢালাওভাবে (কাগজপত্রহীন) বহিষ্কারের। সেই ট্রাম্প এখন ভোটের কারণে নমনীয় হয়েছেন। সবকিছুই ব্যালটের ছক এবং এ অবস্থায় ইমিগ্র্যান্ট কমিউনিটির ভোটাররা কী করবেন নভেম্বরের নির্বাচনে তা নিয়ে কথা হয় নিউইয়র্কে ইমিগ্রেশন আইনজীবীদের সঙ্গে।

অ্যাটর্নি অশোক কর্মকার এ প্রসঙ্গে বলেন, উভয় পার্টির অঙ্গীকারই অপূরণীয়। কারণ, কংগ্রেসের অনুমোদন ব্যতীত সত্যিকারের কোনো বিধি তৈরি করা সম্ভব হবে না। বিগত বছরসমূহে তা প্রমাণিত হয়েছে। সামনের নির্বাচনেও যদি সামান্য মার্জিনে কোনো দল সিনেটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায় তাহলে একই ঘটনা অবাক বিস্ময়ে অবলোকন করতে হবে সবাইকে। আর এমন স্থবিরতা অব্যাহত থাকার সম্ভাবনাই বাড়ছে। অশোক কর্মকার আরও বলেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প যদি ক্ষমতায় আসেন, তাহলে তাকে ইমিগ্রেশনের আইন দ্রুত পরিবর্তন করতে হবে। প্রেসিডেন্ট তার নির্বাহী আদেশ দিতে পারেন জনমত পক্ষে রাখতে। তবে তা উচ্চতর আদালতে চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়ে আবার সবকিছু থেমে থাকতে দেখেছি অতীতে। এ অবস্থায় আমি তেমন কিছু দেখছি না যে অঙ্গীকার অনুযায়ী কোনো কিছুর বাস্তবায়ন ঘটবে।

অ্যাসাইলামের আবেদন তৈরি এবং আদালতে যুক্তির আলোকে মঞ্জুর করিয়ে নিতে ইতোমধ্যে ব্যাপক পরিচিতি লাভকারী অ্যাটর্নি কর্মকার অতীত অভিজ্ঞতার আলোকে আরও বলেন, ট্রাম্প জয়ী হলে অনেকের ঘুম হারাম হবে। বিশেষ করে রিপাবলিকান শাসিত স্টেটসমূহের গভর্নররা বলবেন আন-ডকুমেন্ট ইমিগ্র্যান্টদের ধরেই বহিষ্কারের কথা। স্টেট পুলিশকে সে ক্ষমতা দিলে কাগজপত্রহীনরা আবার আত্মগোপনে যেতে বাধ্য হবেন। অ্যাটর্নি কর্মকার অবশ্য উল্লেখ করেন যে, ডেমোক্র্যাটরাই মোর পজিটিভ এক্ষেত্রে। আলটিমেটলি কতখানি লাভ হবে সেটি পরের ঘটনা।

সর্বশেষ খবর