শিরোনাম
মঙ্গলবার, ১৩ আগস্ট, ২০২৪ ০০:০০ টা

রুশ ভূখন্ডের ৩০ কিমি. ভেতরে ইউক্রেন সেনারা

রুশ ভূখন্ডের ৩০ কিমি. ভেতরে ইউক্রেন সেনারা

রাশিয়ার অভ্যন্তরে ৩০ কিলোমিটার ভিতরে প্রবেশ করেছে ইউক্রেনীয় সেনারা। আড়াই বছর আগে যুদ্ধ শুরুর পর ইউক্রেনের এটাই সবচেয়ে বড় সফলতা বলে ধারণা করা হচ্ছে। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, কুরস্ক অঞ্চলে আক্রমণ চালিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি তোলপিনো এবং ওবশচি কোলোদেজ গ্রামের কাছে ইউক্রেনীয় বাহিনীর সঙ্গে ষষ্ঠ দিনের মতো সংঘর্ষ চলছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা কিয়েভকে ‘রাশিয়ার শান্তিপূর্ণ জনগণকে ভয় দেখানোর’ দায়ে অভিযুক্ত করেছেন। বসে নেই রাশিয়াও। তাদের এলাকায় ঢুকে পড়ে গত ছয় দিন ধরে চলা এই হামলার তীব্র নিন্দা করার পাশাপাশি আমেরিকা-ব্রিটেনসহ পশ্চিমের একাধিক দেশের অস্ত্রে বলীয়ান ইউক্রেনের বাহিনীকে সরাতে প্রবল শক্তি সঞ্চয় করে ঝাঁপিয়ে পড়েছে রুশ সেনা। কুরস্ক অঞ্চলের প্রতিরক্ষায় ট্যাংক ও রকেট লঞ্চিং সিস্টেম পাঠিয়েছে মস্কো। ইউক্রেন সীমান্তবর্তী শহর কুরস্ক, বেলগোরদ ও ব্রিয়ানস্ক অঞ্চলে প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থাও নিয়েছে মস্কো।

নিরাপত্তার স্বার্থে সীমান্ত এলাকা থেকে প্রচুর মানুষকে সরিয়ে নিয়েছে রাশিয়া প্রশাসন। কুরস্কের সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে ৭৬ হাজারেরও বেশি মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে রুশ সংবাদমাধ্যম।

ইউক্রেনের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা এএফপিকে বলেছেন, হাজার হাজার সৈন্য এ অভিযানে অংশ নিয়েছে। তিনি বলেন, রুশ সীমান্তরক্ষীরা প্রাথমিক প্রতিবেদনে অল্প সংখ্যক ইউক্রেনীয় সৈন্যের রুশ ভূখে  অনুপ্রবেশের কথা জানালেও অনুপ্রবেশকারী সৈন্যের সংখ্যা আরও বেশি। যদিও ইউক্রেন সমর্থিত নাশকতাকারী গোষ্ঠীগুলো মাঝেমধ্যেই রুশ সীমান্ত অতিক্রম করেছে, কুরস্ক অঞ্চলে চলমান আক্রমণ কিয়েভের নিয়মিত সৈন্যদের রুশ ভূখে  চালানো বৃহত্তম সমন্বিত আক্রমণ।

ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা আক্রমণাত্মক। আমাদের উদ্দেশ্য শত্রুদের অবস্থান প্রসারিত করা, সর্বাধিক ক্ষয়ক্ষতি করা এবং রাশিয়ার পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করা, যেহেতু রুশরা নিজস্ব সীমান্ত রক্ষা করতে অক্ষম।’

জাপোরিঝঝিয়া পারমাণবিক কেন্দ্রে আগুন : গত রবিবার ইউক্রেনের জাপোরিঝঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কুলিং টাওয়ারে অগ্নিকান্ডে র ঘটনায় একে অপরকে দোষারোপ করছে ইউক্রেন ও রাশিয়া। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্লান্টে আগুন লাগানোর পেছনে রাশিয়ান বাহিনী দায়ী। অন্যদিকে, জাপোরিঝঝিয়ায় রুশ স্থাপিত গভর্নর বলেছেন, ইউক্রেনের গোলাগুলির কারণে এই প্লান্টে আগুন লেগেছে।

 

সর্বশেষ খবর