শিরোনাম
সোমবার, ১৯ আগস্ট, ২০২৪ ০০:০০ টা
গাজা হামাস যুদ্ধ

যুদ্ধবিরতি চুক্তির সবচেয়ে কাছাকাছি পৌঁছেছি : বাইডেন

চুক্তিটি চূড়ান্ত করার জন্য বাইডেন তার পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ইসরায়েলে পাঠিয়েছেন

গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে আবারও আশার বাণী শোনালেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এ বিষয়ে সর্বশেষ আলোচনার পর আশা প্রকাশ করে তিনি বলেছেন, ‘আমরা আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে এখন যুদ্ধবিরতি চুক্তির সবচেয়ে কাছাকাছি পৌঁছেছি।’

চুক্তিটি চূড়ান্ত করার জন্য বাইডেন তার পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ইসরায়েলে পাঠিয়েছেন বলেও জানান। যদিও এর আগে গত জুন মাসেও যুদ্ধবিরতি নিয়ে আশার বাণী শুনিয়েছিলেন বাইডেন। এদিকে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বিবিসিকে বলেছেন, চুক্তির বিষয়ে কোনো অগ্রগতি হয়নি। ইসরায়েল বলেছে, তারা জিম্মি মুক্তি চুক্তি প্রত্যাখ্যান করা থেকে হামাসকে নিবৃত্ত করার যুক্তরাষ্ট্র ও মধ্যস্থতাকারীদের চেষ্টাকে সাধুবাদ জানাচ্ছে। গত বছর ৭ অক্টোবরে ইসরায়েলে ঢুকে হামাসের হামলায় ১২০০ জন নিহত এবং ২৫১ জন জিম্মি হওয়ার দিন থেকেই গাজায় হত্যাযজ্ঞ শুরু করেছে ইসরায়েল। ১০ মাসে ইসরায়েল অন্তত ৪০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে। যার বেশির ভাগই শিশু ও নারী। এর মধ্যে কেবল গত বছর নভেম্বরে একবার এক সপ্তাহের একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় ২৪০ ফিলিস্তিনি বন্দি ইসরায়েলের জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার বিনিময়ে হামাস ১০৫ ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছিল। এখনো হামাসের হাতে ১১১ জিম্মি আছে বলে দাবি ইসরায়েলের। যাদের ৩৯ জনই মারা গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সাম্প্রতিক এক যৌথ বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্র, কাতার ও মিসর বলেছে, তারা একটি যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মি মুক্তি প্রস্তাব উত্থাপন করেছে, যা হামাস এবং ইসরায়েলের মধ্যে ব্যবধান কমাতে সহায়ক। ইসরায়েলের দাবি, যে কোনো যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ওপর হামলার সময় হামাসের নিয়ন্ত্রণে থাকা জিম্মিদের মুক্তি দিতে হবে।

 জিম্মিদের স্বজনরা বর্তমান যুদ্ধবিরতি আলোচনাকে গাজায় আটক জীবিতদের ফিরিয়ে আনার শেষ সুযোগ হিসেবে অভিহিত করেছেন। প্রায় ১০ মাসের যুদ্ধ এবং কয়েক হাজার মানুষ হতাহতের পর যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে রাজি হতে ইসরায়েলের ওপর চাপ রয়েছে। তাছাড়া ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে চলমান আলোচনা ভেস্তে গেলে তা বৃহত্তর আঞ্চলিক সংঘাতের আশঙ্কা বাড়াবে। মধ্যস্থতাকারীরা বলছেন, গত দুই দিনে যুদ্ধবিরতি আলোচনা গঠনমূলক এবং ইতিবাচক পরিবেশে পরিচালিত হয়েছে।

সর্বশেষ খবর