মঙ্গলবার, ২০ আগস্ট, ২০২৪ ০০:০০ টা
ইসরায়েল ও হামাসকে ব্লিঙ্কেনের সতর্কবার্তা

যুদ্ধ বন্ধে শেষ সুযোগ বলছে যুক্তরাষ্ট্র

যুক্তরাষ্ট্র, কাতার ও মিসর যুদ্ধবিরতি চুক্তির জন্য মধ্যস্থতা করছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত তাদের চেষ্টা সফল হয়নি

গাজায় চলমান যুদ্ধের অবসান ও বন্দিমুক্তির চুক্তি প্রস্তাব সম্ভবত শেষ সুযোগ হতে পারে বলে ইসরায়েল ও হামাসকে সতর্ক করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। গতকাল ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হারজগের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি এ কথা বলেন।

ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে সংঘাত শুরুর পর এটি ব্লিঙ্কেনের নবম মধ্যপ্রাচ্য সফর। গতকাল তিনি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুসহ অন্য নেতাদের সঙ্গেও কথা বলেন। তারপর তাঁর মিসরে যাওয়ার কথা। যুক্তরাষ্ট্র, কাতার ও মিসর যুদ্ধবিরতি চুক্তির জন্য মধ্যস্থতা করছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত তাদের চেষ্টা সফল হয়নি।

ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে সফররত এক মার্কিন কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছেন, তাদের মনে হচ্ছে, এখন চুক্তির ক্ষেত্রে যে বিরোধ আছে তা মিটিয়ে ফেলা সম্ভব। তাই কাজ চালিয়ে যাওয়া উচিত। রয়টার্স জানায়, গত সপ্তাহে কাতারে আলোচনা থেমে যাওয়ার পর হামাস সন্দেহ প্রকাশ করেছিল কোনো চুক্তি সম্ভব হবে কি না। তবে এ সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে দেওয়া নতুন একটি প্রস্তাবের ভিত্তিতে আলোচনা পুনরায় শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।

ব্লিঙ্কেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে সাক্ষাতের আগে বলেন, এ মুহূর্তটি সিদ্ধান্তমূলক। সম্ভবত বন্দিমুক্তি ও যুদ্ধবিরতি অর্জনের সবচেয়ে ভালো ও শেষ সুযোগ এটি।

ইসরায়েল ও হামাসের মাসের পর মাস চলা আলোচনার মূল বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে যুদ্ধের অবসান, স্থায়ী যুদ্ধবিরতি এবং বন্দিবিনিময়ের চুক্তি। ইসরায়েল হামাসের সামরিক ও রাজনৈতিক শক্তি ধ্বংস না হওয়া পর্যন্ত যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার কথা বলছে। অন্যদিকে হামাস স্থায়ী যুদ্ধবিরতির শর্তেই চুক্তিতে সম্মত হবে বলে জানিয়ে দিয়েছে।

হামাস রবিবার নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে মধ্যস্থতাকারীদের প্রচেষ্টা নস্যাৎ করার অভিযোগ করেছে। ইসরায়েল ও লেবাননের হিজবুল্লাহর মধ্যে সংঘর্ষের ঝুঁকিতে মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে উত্তেজনা বাড়ছে। ব্লিঙ্কেন সতর্ক করেছেন, যুদ্ধবিরতি প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করার মতো কোনো উসকানি যেন না ঘটে। ৭ অক্টোবর ইসরায়েলি হামলা শুরু হওয়ার পর থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪০ হাজার ৫-এ দাঁড়িয়েছে। এ সংখ্যা গাজার মোট জনসংখ্যার ১ দশমিক ৭ শতাংশ। যুদ্ধ শুরুর আগে মোট ২৩ লাখ মানুষের আবাসস্থল ছিল গাজা।

হামাসের অভিযোগ

হামাস রবিবার জানিয়েছে, নেতানিয়াহু সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতি ও বন্দিবিনিময়ের ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছেন। তিনি নতুন নতুন শর্ত আরোপ করছেন। ইইউ, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল হামাসকে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন বলে ঘোষণা করেছে। হামাসের দাবি, মধ্যস্থতাকারীরা যুদ্ধবিরতির চেষ্টা করছে। কিন্তু নেতানিয়াহু তা বানচাল করে দিচ্ছেন। গাজায় বন্দিদের যদি কিছু হয়, তাহলে তার জন্য নেতানিয়াহু দায়ী থাকবেন।

 

 

সর্বশেষ খবর