মঙ্গলবার, ২০ আগস্ট, ২০২৪ ০০:০০ টা

বাদশাহর স্বাক্ষর জাল করে ইয়েমেনে যুদ্ধ করেন প্রিন্স সালমান

বাদশাহর স্বাক্ষর জাল করে ইয়েমেনে যুদ্ধ করেন প্রিন্স সালমান

ইয়েমেনে যুদ্ধের প্রাথমিক পর্যায়ে স্থলযুদ্ধে সেনাদের যুক্ত করতে সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান একটি রাজকীয় ফরমানে তার বাবা সালমান বিন আবদুল আজিজের সই জাল করেছিলেন। সৌদির সাবেক গোয়েন্দা প্রধান মেজর জেনারেল সাদ আল-জাবরি এমনটাই দাবি করেছেন। গতকাল বিবিসিতে প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে এমন দাবি করেন সাবেক সৌদি কর্মকর্তা সাদ আল-জাবরি।

বিবিসিকে আল-জাবরি বলেন, সৌদি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যুক্ত একজন বিশ্বাসযোগ্য ও নির্ভরযোগ্য কর্মকর্তা তাকে নিশ্চিত করেছেন যে যুবরাজ মোহাম্মদ তার বাবার পরিবর্তে যুদ্ধ ঘোষণার রাজকীয় ডিক্রিতে সই করেছেন। বিবিসির ওই সাক্ষাৎকারে এমন দাবির পেছনে কোনো প্রমাণ হাজির করেননি সাদ।

এদিকে, এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি সৌদি আরব। তবে দেশটি সাদ আল-জাবরিকে একজন সাবেক নিন্দিত সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে উল্লেখ করেছে। বর্তমানে সৌদির এই সাবেক গোয়েন্দা কর্মকর্তা কানাডায় নির্বাসিত জীবনযাপন করছেন। জানা গেছে, তার দুই সন্তানকে কারারুদ্ধ করা নিয়ে সৌদি আরবের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরেই ব্যক্তিগত বিরোধ চলছে তার। তাকে সৌদি আরবে ফিরিয়ে আনতেই দুই সন্তানকে কারারুদ্ধ করা হয়েছে বলে দাবি সাদের।

আল-জাবরি বিবিসির ‘দ্য কিংডম : দ্য ওয়ার্ল্ডস মোস্ট পাওয়ারফুল প্রিন্স’ শীর্ষক প্রামাণ্যচিত্রে বলেন, ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে শুরু হওয়া যুদ্ধ নিয়ে তিনি তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা সুসান রাইসের সঙ্গে আলোচনা করেছিলেন। সুসান রাইস তখন বলেন, ওয়াশিংটন কেবল বিমান অভিযানকে সমর্থন করে (স্থল অভিযান নয়)। আল-জাবরি বলেন, ২০১৫ সালের শুরুর দিকে ক্রাউন প্রিন্স ওয়াশিংটনকে উপেক্ষা করে এগিয়ে যেতে (ইয়েমেন যুদ্ধে) দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ছিলেন। আমরা অবাক হয়েছি যে, স্থলযুদ্ধের অনুমতি দেওয়ার জন্য একটি রাজকীয় ফরমান ছিল। তিনি (মোহাম্মদ বিন সালমান) সেই রাজকীয় ফরমানের জন্য তার বাবার সই জাল করেছিলেন। যখন রাজার মানসিক ক্ষমতা কমে যাচ্ছিল।

২০১৫ সালের মার্চে সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ সৌদি নেতৃত্বাধীন একটি জোট ইয়েমেনের বৃহত্তম শহর সানা’র নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর হুতিদের হটিয়ে দিতে ইয়েমেন সরকারের পক্ষে হস্তক্ষেপ করে।

জাতিসংঘের প্রতিবেদন অনুসারে, জোটের বিমান হামলায় হাজার হাজার বেসামরিক লোক নিহত হয়েছে। তখন হুতিরাও সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের বেসামরিক অবকাঠামোতে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন নিক্ষেপ করেছে।

 

 

সর্বশেষ খবর