বৃহস্পতিবার, ২২ আগস্ট, ২০২৪ ০০:০০ টা
ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ

মস্কোর দিকে ধেয়ে গেল ঝাঁকে ঝাঁকে ইউক্রেনের ড্রোন

►  ক্রেমলিনের খানিক দূরেই আছড়ে পড়ে তিনটি ড্রোন। তার পাশেই বসবাস রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের

► ১৫টি গুলি করে নামানো হয় ব্রায়ানস্ক সীমান্তে। বাকি তিন ড্রোন ধ্বংস করা হয় ক্রেমলিনের ৩৮ কিমি দক্ষিণে

 

আড়াই বছর পেরিয়ে গেছে। হঠাৎ-ই পাল্টাতে শুরু করেছে যুদ্ধের প্রেক্ষাপট। রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলে ঢুকে অভিযান চালাচ্ছে ইউক্রেনীয় সেনা। এর মধ্যেই মস্কোয় হামলা চালাল কিয়েভ! গতকাল ভোরে রাশিয়ার রাজধানীতে ঝাঁকে ঝাঁকে ধেয়ে আসে ইউক্রেনের ড্রোন। কিন্তু হামলা চালানোর আগেই সেগুলোকে গুলি করে নামিয়ে দেয় রুশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। ক্রেমলিনের খানিক দূরেই আছড়ে পড়ে তিনটি ড্রোন। তার পাশেই বসবাস রুশ প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনের।

গত কয়েক মাসে ইউক্রেনে আক্রমণে ধার বাড়িয়েছে রাশিয়া। কিন্তু পিছু হটেননি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। বরং চলতি মাসেই ইউক্রেনীয় বাহিনী কুরস্ক অঞ্চলে হামলা চালিয়েছে। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর একাধিকবার মস্কোতে হামলার অভিযোগ উঠেছে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে। গতকাল রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, মঙ্গলবার রাতে মস্কোর আকাশে হানা দেয় ইউক্রেনের এক ঝাঁক ড্রোন। কিন্তু হামলার আগেই ধ্বংস করে দেওয়া হয় তিনটি ড্রোন। ১৫টি গুলি করে নামানো হয় ব্রায়ানস্ক সীমান্তে। বাকি তিন ড্রোনকে ধ্বংস করে দেওয়া হয় ক্রেমলিনের প্রায় ৩৮ কিমি দক্ষিণে। তবে এ হামলায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

ইউক্রেনের এক শীর্ষ কমান্ডারের দাবি, গত আড়াই বছরে এটাই তাদের সবচেয়ে বড় আন্তসীমান্ত অভিযান। ইতোমধ্যেই প্রায় ২ হাজার ৫০০ বর্গকিলোমিটারের নিয়ন্ত্রণ তাদের হাতে চলে গেছে। এ অভিযান নিয়ে জেলেনস্কি জানিয়েছেন, ‘ইউক্রেন এটাই প্রমাণ করছে যে, আমরা ন্যায় পুনরুদ্ধার করতে পারি। আক্রমণকারীর ওপর যে কোনো ধরনের চাপ তৈরি করতে আমরা সব সময় প্রস্তুত।’ ফলে এই যুদ্ধের আরেক গুরুত্বপূর্ণ ফ্রন্ট হয়ে উঠেছে কুনস্ক।

রাশিয়ার ভূখন্ডে ইউক্রেনের বেড়ে চলা হামলা সম্পর্কে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। বিশেষ করে ইউক্রেনের মদতকারী দেশগুলো বিষয়টি নিয়ে কিছুটা দ্বন্দ্বে রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। রাশিয়ার চোখরাঙানি সত্ত্বেও একের পর এক ‘সাহসী’ পদক্ষেপের ঝুঁকি নিয়ে ইউক্রেন এখনো তেমন জোরালো প্রতিক্রিয়া দেখেনি। ফলে মস্কোর ‘লাল সীমা’ আসলে ভাঁওতা কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। রাশিয়ার ভূখন্ডে হামলার ক্ষেত্রে পশ্চিমা দেশগুলোর সরবরাহ করা সামরিক সরঞ্জাম ব্যবহার নিয়েও কিছু দেশে অস্বস্তি রয়েছে। তবে এখনো পর্যন্ত কিয়েভের উদ্যোগে রাশ টানার তেমন প্রচেষ্টা দেখা যাচ্ছে না। রাশিয়ার ভূখন্ডে হামলা সত্ত্বেও সে দেশের নেতৃত্ব এখনো জোরালো প্রতিরোধ দেখাতে না পারায় প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনের দুর্বলতা নিয়ে জল্পনাকল্পনা চলছে।

এদিকে পুতিন চেচনিয়া সফরে গেছেন। সেখানে তিনি  চেচেন নেতা রমজান কাদিরভের সঙ্গে দেশটির সেনা ও স্বেচ্ছাসেবকদের যুদ্ধপ্রস্তুতি পরিদর্শন করেছেন।

সর্বশেষ খবর