কলকাতার আরজিকর মেডিকেল কলেজ এবং হাসপাতালে নারী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন করছে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। গতকাল রাজ্যজুড়ে থানা ঘেরাও কর্মসূচি ছিল বিজেপির। নন্দীগ্রাম, আসানসোল দক্ষিণ, ঘোলাসহ একাধিক থানায় বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষও হয়।
অবরোধ চলার কারণে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে জাতীয় সড়ক। শান্তিপুর-ফুলিয়া এলাকায় ১২ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে টায়ার জ্বালিয়ে এবং মুখ্যমন্ত্রীর কুশপুতুল পুড়িয়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি করে বিজেপি কর্মী সমর্থকরা।
মৃতা ছাত্রীর বাড়ি পশ্চিমবঙ্গের যে ঘোলা থানার অন্তর্গত, সেখানে বিক্ষোভ দেখায় রাজ্যটির বিরোধী দলনেতা এবং বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। তার সঙ্গেই ছিলেন দলের সাবেক সাংসদ অর্জুন সিং, দলের উত্তর শহরতলী জেলা সভাপতি অরিজিত বক্সীসহ দলীয় কর্মী সমর্থকরা। শুভেন্দু বলেন, ‘রাজ্যের সাবেক শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চ্যাটার্জি কারাগারে গেছেন, খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক কারাগারে গেছেন, এবার স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবে মমতা ব্যানার্জির জেলে যাওয়ার পালা। গোটা রাজ্যের মানুষ এখন এটাই চায়।’শুভেন্দুর অভিযোগ ‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি নিজে এ ঘটনায় জড়িত। তার নির্দেশেই চোখের সামনে থেকে লাশ ছিনিয়ে নিয়ে চলে যায়। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশেই পানিহাটি বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল বিধায়ক নির্মল ঘোষ ও কলকাতা পুলিশের ডেপুটি কমিশনার অভিষেক গুপ্তা- উভয়ই মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে এসেছিলেন। এবং তাদের দুজনকেই পুলিশ হেফাজতে নিতে হবে।’
জুনিয়র চিকিৎসকদের কর্মবিরতি উঠছে না
সুপ্রিম কোর্টের আবেদনের পর দিল্লিসহ অধিকাংশ রাজ্যেই কাজে ফিরেছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে তারা কর্মবিরতি চালিয়ে যাবেন। কলকাতায় জুনিয়র ডক্টর্স ফ্রন্ট জানিয়েছে, তারা এখন কর্মবিরতির আন্দোলন প্রত্যাহার করছেন না। কারণ, সিবিআইয়ের তদন্তের গতিপ্রকৃতি তাদের কাছে এখনো স্পষ্ট হয়নি। নতুন করে কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। আরজি করের সাবেক অধ্যক্ষর ভূমিকা নিয়েও স্পষ্টতা নেই। তাই তাদের আন্দোলন চলতে থাকবে। আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যার পর জুনিয়র ডাক্তাররা কর্মবিরতি শুরু করেন। তারা কলকাতার বিভিন্ন মেডিকেল কলেজে বিক্ষোভও দেখাচ্ছেন।