তেহরানে হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়ার হত্যার প্রতিশোধ অবশ্যই নেওয়া হবে। তবে ইসরায়েলকে একটি কার্যকর ও বেদনাদায়ক জবাব দেওয়ার জন্য অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করতে গিয়ে দেরি হচ্ছে বলে জানিয়েছে ইয়েমেনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হুতি আনসারুল্লাহ। হুতি নেতা আবদুল মালিক আল-হুতি বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানী সানা থেকে জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক টেলিভিশন ভাষণে এসব কথা জানান। তিনি বলেন, ইরানের নেতৃত্বে প্রতিরোধ অক্ষ নিঃসন্দেহে একটি প্রতিশোধমূলক অভিযান চালাবে। যা ইসরায়েলের জন্য হবে খুবই কার্যকর ও বেদনাদায়ক অভিযান। তবে সে অভিযান বাস্তবায়নে সতর্কতা অবলম্বন করতে গিয়েই মূলত প্রতিশোধ নেওয়ার কাজে দেরি হচ্ছে। ইয়েমেনের এ নেতা বলেন, ইরানের প্রতিশোধমূলক হামলার আশঙ্কায় গত ৩১ জুলাইর পর থেকে ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীরা তীব্র আতঙ্কের মধ্যে দিনাতিপাত করছে। তবে মধ্যপ্রাচ্যের অন্যত্র ইসরায়েলবিরোধী অভিযান চলমান রয়েছে বলেও জানান আবদুল মালেক আল-হুতি। তিনি বলেন, দক্ষিণ লেবাননে ইসরায়েলবিরোধী অভিযান পূর্ণ মাত্রায় চলছে এবং ইরানের সম্ভাব্য প্রতিশোধমূলক হামলার সময় হিজবুল্লাহর পক্ষ থেকেও কঠোর পদক্ষেপের ভয়ে রয়েছে ইসরায়েল।
এদিকে চলতি সপ্তাহে লোহিত সাগরে ইসরায়েলবিরোধী অভিযানে ২১টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও কামিকাজে ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছে বলেও জানান আবদুল মালেক আল-হুতি। এর আগে ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসে গত ৩১ জুলাই তেহরানে ইসরায়েলের গুপ্তহত্যার শিকার হন হামাসের রাজনৈতিক প্রধান ইসমাইল হানিয়া।
সে সময় ইরানের সর্বোচ্চ নেতাসহ দেশটির শীর্ষস্থানীয় সেনা কমান্ডাররা তাদের অতিথি ইসমাইল হানিয়াকে শহীদ করার ইসরায়েলি পদক্ষেপের প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দেন।