বুধবার, ২৮ আগস্ট, ২০২৪ ০০:০০ টা
ইসরায়েল-হিজবুল্লাহ উত্তেজনা

হামলা ঠেকাতে ইসরায়েলের এক দিনে খরচ ১৪০০ কোটি টাকা

♦ হিজবুল্লাহর ছোড়া হাজার হাজার রকেটের বিপরীতে ইসরায়েলি বিমানবাহিনীর প্রায় ১০০ যুদ্ধবিমান মোতায়েন করা হয়েছিল ♦ মিসর এবং গাজা উপত্যকার সীমান্তগুলোতে ইসরায়েলি বাহিনীর অব্যাহত উপস্থিতি মেনে নেবে না বলে জানিয়েছে কায়রো

লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর হামলা ঠেকাতে ইসরায়েলের একদিনে খরচ হয়েছে ১২ কোটি ডলার বা ১৪০০ কোটি টাকা। রবিবার সকালে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ ইসরায়েলে আক্রমণ চালানো শুরু করে। মূলত দেশটির রাজধানী বৈরুতে ইসরায়েলি হামলায় হিজবুল্লাহর জ্যেষ্ঠ কমান্ডার ফুয়াদ শুক্রি নিহত হওয়ার প্রতিশোধ হিসেবে এ হামলা চালাচ্ছে গোষ্ঠীটি। এ হামলার অংশ হিসেবে হিজবুল্লাহ ইসরায়েলের সামরিক ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় হামলা চালানো শুরু করে। এমনকি ইসরায়েলের রাজধানী তেল আবিবের মাত্র দেড় কিলোমিটার দূরের গ্লিলত ঘাঁটিতেও হামলা চালিয়েছে গোষ্ঠীটি। এ হামলার বিপরীতে ইসরায়েলি বাহিনী আগাম আক্রমণ চালিয়েছিল বলে দাবি করে। তাদের দাবি, হিজবুল্লাহর ছোড়া হাজার হাজার রকেটের বিপরীতে ইসরায়েলি বিমানবাহিনীর প্রায় ১০০ যুদ্ধবিমান মোতায়েন করা হয়েছিল এবং এসব যুদ্ধবিমান হিজবুল্লাহর রকেটগুলোকে ধ্বংস করেছে।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী দাবি করেছে, এ আক্রমণে ৪ হাজার জয়েন্ট ডাইরেক্ট অ্যাটাক মিউনিশন (জেডিএএম) বোমা ব্যবহার করা হয়েছে। যার প্রতিটির মূল্য ২৫ হাজার ডলার করে। ১০০টি যুদ্ধবিমান ৬ ঘণ্টা করে উড়ানোর জন্য মোট ১৮ মিলিয়ন ডলার, ১২ ঘণ্টা ধরে ড্রোন অপারেশনের জন্য ব্যয় করা হয়েছে ১.০৮ মিলিয়ন ডলার এবং অন্যান্য গোলাবারুদসহ মোট ১২০ মিলিয়ন ডলার খরচ করা হয়েছে।

সীমান্তে ইসরায়েলের উপস্থিতি মেনে নেবে না মিসর : ১০ মাসেরও বেশি সময় ধরে গাজাতে হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে দখলদার দেশ ইসরায়েল। আগ্রাসনের শুরু থেকেই গাজার সীমান্তগুলোও নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে দেশটির বাহিনী। এমনকি মিসরের সঙ্গে গাজার সীমান্তগুলোতেও দখলদারিত্ব চালাচ্ছে তারা। গাজার প্রায় সব সীমান্তে ইসরায়েলের দখলদারিত্ব ও নিয়ন্ত্রণের কারণে পর্যাপ্ত ত্রাণ পৌঁছাতে পারছে না অবরুদ্ধ ভূখণ্ডটিতে। এতে করে চরম মানবিক সংকটের কবলে সম্পূর্ণ গাজা উপত্যকা। আর এমন পরিস্থিতিতে সীমান্তে আর ইসরায়েলি বাহিনীর নিয়ন্ত্রণ চাইছে না মিসর। সোমবার মিসরের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থার বরাতে এক প্রতিবেদনে এ খবর জানায় আরব নিউজ।

খবরে বলা হয়, মিসর এবং গাজা উপত্যকার সীমান্তগুলোতে ইসরায়েলি বাহিনীর অব্যাহত উপস্থিতি মেনে নেবে না বলে জানিয়েছে দেশটি। এমনকি যুদ্ধবিরতি আলোচনার মধ্যেও, রাফাহ ক্রসিংসহ সীমান্ত এলাকা থেকে ইসরায়েলকে তার বাহিনী প্রত্যাহার করার আহ্বান জানানো হয়েছে।

উত্তেজনা নিরসনের আহ্বান জাতিসংঘের : ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহর সংঘর্ষ নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। রবিবার সকালে শুরু হওয়া দুই পক্ষের হামলা-পাল্টা হামলায় বেসামরিকদের জীবন নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করে তিনি বলেছেন, আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার ওপর হুমকি বাড়ছে। জাতিসংঘের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, অস্থিরতা প্রশমনে ও শত্রুতা নিরসনে উভয়পক্ষকে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন মহাসচিব। ওই দিন সকালে হিজবুল্লাহ ইসরায়েলের বিরুদ্ধে শতাধিক রকেট ও ড্রোন ব্যবহার করে হামলা চালায়।

সর্বশেষ খবর