বুধবার, ২৮ আগস্ট, ২০২৪ ০০:০০ টা
মার্কিন নির্বাচন

বিতর্কে মাইক্রোফোন চালু থাকা নিয়ে ট্রাম্প ও কমলার বাগবিতণ্ডা

বিতর্কে মাইক্রোফোন চালু থাকা নিয়ে ট্রাম্প ও কমলার বাগবিতণ্ডা

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দুই প্রতিদ্বন্দ্বী কমলা হ্যারিস ও ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে প্রথম নির্বাচনি বিতর্ক হওয়ার কথা আগামী ১০ সেপ্টেম্বর। তবে অবস্থা দৃষ্টে মনে হচ্ছে এ বিতর্ক এড়াতে চাইছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প! কারণ ট্রাম্পের নির্বাচনি দল রবিবার এবিসি নিউজের কড়া সমালোচনা করায় এমনই ‘বার্তা’ স্পষ্ট হয়েছে। ১০ সেপ্টেম্বরের প্রেসিডেনশিয়াল ডিবেটের অন্যতম আয়োজক এবিসি নিউজ।

বিবিসির মার্কিন সহযোগী সিবিএস নিউজকে হ্যারিসের দল এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা চায় পুরো সম্প্রচার জুড়ে উভয় প্রার্থীর মাইক্রোফোন খোলা থাকুক। অপরদিকে ট্রাম্পের প্রচারণা দল চায়, এবিসি বিতর্ক অনুষ্ঠানটি জো বাইডেনের সময় হওয়া বিতর্কের মতো হবে। বাইডেনের সময়ে আয়োজিত বিতর্কে উভয় পক্ষের মাইক্রোফোন বন্ধ ছিল। আগামী মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ঘিরে আয়োজিত বিতর্ক অনুষ্ঠানে এক পক্ষ কথা বলার সময় অপর পক্ষের মাইক্রোফোন বন্ধ থাকবে কি না তা নিয়ে শুরু হয়েছে বাগবিতণ্ডা। সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নেটওয়ার্কের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এবং যদি অচলাবস্থা দেখা যায় তাহলে তিনি এ বিতর্ক অনুষ্ঠান এড়িয়েও যেতে পারেন বলে ইঙ্গিত দেন।

ডেমোক্র্যাটিক দলের প্রার্থী হিসেবে পদত্যাগ করার আগে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ট্রাম্পের দলের সঙ্গে দুটি বিতর্কে অংশ নিয়েছিলেন। এর মধ্যে একটি বিতর্ক অনুষ্ঠান গত জুনে অনুষ্ঠিত হয়েছে অপরটি এ সেপ্টেম্বরে হওয়ার কথা রয়েছে। বাইডেনের প্রচারণা দল গত বিতর্কের সময় সম্মত হয়েছিল যে, যখন এক প্রার্থী কথা বলবে অপর প্রার্থীর মাইক্রোফোন বন্ধ থাকবে। ট্রাম্পের প্রচারণা দলও তাতে সম্মতি দিয়েছিল। কিন্তু এখন, ফিলাডেলফিয়ায় এবিসি নিউজের বিতর্ক অনুষ্ঠানে হ্যারিসের প্রচারণা দল চায় মাইক্রোফোনগুলো ‘হট’ থাকুক অর্থাৎ সেগুলো চালু থাকুক। তারা যুক্তি দেয়, এটি উভয় প্রার্থীকে বিতর্কের মঞ্চে একে অপরকে বাধা দেওয়ার এবং উপর্যুপরি কথা বলার সুযোগ দেবে। হ্যারিসের দলের সিনিয়র যোগাযোগ উপদেষ্টা ব্রায়ান ফ্যালন এক বিবৃতিতে বলেন, ‘ভাইস প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অবিরাম মিথ্যাচার এবং বাধা তাৎক্ষণিকভাবে মোকাবিলা করতে প্রস্তুত।

সর্বশেষ খবর