রাশিয়া শুধু মানুষ নয় বিভিন্ন প্রাণীকেও গুপ্তচর হিসেবে ব্যবহার করে। এর মধ্যে গুবেলুগা প্রজাতির হলদিমির নামে একটি তিমিও রয়েছে। এটি প্রথমে প্রকাশ্যে এসেছিল ২০১৯ সালে। সেই সময় থেকে মনে করা হয়, এটি রুশ নৌবাহিনীর একটি গুপ্তচর তিমি। কারণ তিমিটির গলায় মানুষের তৈরি বর্ম লাগানো ছিল। ২০১৯ সালে প্রথমবার তার কথা জেনেছিল গোটা বিশ্ব। সেই হলদিমির নামে ‘গুপ্তচর’ তিমির দেহ উদ্ধার হয়েছে নরওয়ের উপকূলে। এখনো পরিষ্কার নয় কীভাবে তার মৃত্যু হয়েছে। এ তিমির দৈর্ঘ্য ১৪ ফিট। ওজন ১ হাজার ২০০ কেজি।
২০১৯ সালে নরওয়ের মৎস্য বিভাগ তিমিটিকে ধরে ফেলেছিল। তার গায়ে লাগানো বর্ম ও অ্যাকশন ক্যামেরা খুলে ফেলা হয়। তিমির গায়ে লাগানো একটি প্লাস্টিকে লেখা ছিল ‘ইকুইপমেন্ট সেন্ট পিটার্সবার্গ।’ ওই সময় নরওয়ের মৎস্য বিভাগ জানিয়েছিল, সেটি হয়তো খাঁচা থেকে পালিয়ে গেছে। দাবি করা হয়, রাশিয়ার নৌ বাহিনী প্রশিক্ষণ দিয়েছে সেটিকে। কারণ তিমিটি মানুষের কাছাকাছি চলে আসছিল। রাশিয়া এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য না করায় রহস্য আরও ঘনীভূত হতে থাকে। নরওয়ের ‘হল’ এবং রাশিয়ার ‘ভøাদিমির’-এ দুই শব্দ এক সঙ্গে করে তিমিটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘হলদিমির’। এটি একটি গুবেলুগা প্রজাতির তিমি।