মার্কিন নির্বাচনে এবার নতুন মাত্রা পেয়েছে প্রার্থিতা প্রত্যাহার। অর্থাৎ নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটদের প্রার্থী ছিলেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। কিন্তু মাস খানেক আগে তিনি প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিলে প্রার্থী হন কমলা হ্যারিস। এতে বরং নতুন প্রাণ পেয়েছে ডেমোক্র্যাট সমর্থকরা। এরপর থেকে হিসেব চলছে, মার্কিন মুলুকের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট কে হবেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প নাকি কমলা হ্যারিস। যদিও তা জানতে এখনো কয়েক মাসের অপেক্ষা। তবে ইতোমধ্যেই সমীক্ষায় দেখা গেছে, প্রেসিডেন্ট হওয়ার দৌড়ে ট্রাম্পকে পেছনে ফেলে দিয়েছেন কমলা। এবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভবিষ্যৎ বক্তা বা গণক বা নস্ত্রাদামুস নামে পরিচিত অ্যালন লিখটম্যানও জানিয়ে দিলেন কমলাই হোয়াইট হাউসের দখল নেবেন!
কী ভবিষ্যদ্বাণী নস্ত্রাদামুসের :
আগামী ৫ নভেম্বর রয়েছে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। তার দুই মাস আগে অ্যালন লিখটম্যান দাবি করলেন আমেরিকার পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হবেন কমলা হ্যারিস। তার এ ভবিষ্যদ্বাণী ভোটারদের মধ্যে বড়সড় প্রভাব ফেলতে পারে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ। ৪০ বছর ধরে আমেরিকার নির্বাচন নিয়ে করা ভবিষ্যদ্বাণী অক্ষরে অক্ষরে মিলিয়ে দিয়েছেন অ্যালন লিখটম্যান। ২০১৬ সালের ডোনাল্ড ট্রাম্পের ক্ষমতা দখল থেকে শুরু করে ২০২০ সালে জো বাইডেনের জয়, সবটাই আগাম জানিয়ে দিয়েছিলেন অ্যালন লিখটম্যান। ফলে আমেরিকার রাজনীতিতে এ ব্যক্তির ‘কি টু দ্য হোয়াইট হাউস’ মডেল অত্যন্ত জনপ্রিয় এবং বিশ্বাসযোগ্য। অ্যালন লিখটম্যান বলেন, এখনো পর্যন্ত এটাই আমার ভবিষ্যদ্বাণী। কমলা হ্যারিসই হোয়াইট হাউসের বসতে চলেছেন। ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে অ্যালন লিখটম্যান আমেরিকার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিহাসের অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। পরবর্তীতে তিনি শুরু করেন ‘১৩ ওয়েজ টু দ্য হোয়াইট হাউস’ পদ্ধতি বা ‘১৩টি চাবি’। এর মাধ্যমেই তিনি প্রতিটি নির্বাচনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের আসনে কে বসতে পারেন, তা নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করেন। আসলে ১৩টি ‘চাবি’ হলো ১৩টি ট্রু/ফলস প্রশ্ন। এর মধ্যে ৬টি বা বেশি উত্তর যদি কোনো দলের দিকে যায় তাহলে সেই দলের প্রতিনিধিই শেষ হাসি হাসেন নির্বাচনে। বলাই বাহুল্য, এক্ষেত্রে সেটা কমলা হ্যারিসের ক্ষেত্রে হয়েছে।