ইসরায়েল সরকার ২৭ জন ফরাসি বামপন্থি আইনপ্রণেতা এবং স্থানীয় কর্মকর্তার ভিসা বাতিল করেছে। ইসরায়েল এবং ফিলিস্তিন অঞ্চল সফর শুরু করার দুই দিন আগে রবিবার প্রতিনিধিদলটির ভিসা বাতিল করা হলো। ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির দুই ব্রিটিশ সংসদ সদস্যকে ইসরায়েলে প্রবেশে বাধা দেওয়ার মাত্র কয়েক দিন পর এ পদক্ষেপ নেওয়া হলো। -টাইমস অব ইসরায়েল
ফ্রান্স শিগগিরই ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেবে বলে প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর বক্তব্যের পর সৃষ্ট কূটনৈতিক উত্তেজনার মধ্যে এটি ঘটল। ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধের মধ্যে গাজার পরিস্থিতি নিয়ে ম্যাক্রোঁ নেতানিয়াহুর ওপর চাপ সৃষ্টির চেষ্টা করেছেন।
ইসরায়েলের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ২৭ জনের ভিসা বাতিল করা হয়েছে এমন একটি আইনের অধীনে যা কর্তৃপক্ষকে ইসরায়েল রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে কাজ করতে পারে এমন ব্যক্তিদের নিষিদ্ধ করার অনুমতি দেয়। ফ্রান্সের ইকোলজিস্ট এবং কমিউনিস্ট পার্টির ১৭ জন সদস্য বিবৃতিতে বলেছেন, তাঁরা ইসরায়েলের ‘সম্মিলিত শাস্তি’র শিকার হয়েছেন এবং ম্যাক্রোঁকে এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার আহ্বান জানিয়েছেন। বিবৃতিতে তাঁরা জানান, জেরুজালেমে ফরাসি কনস্যুলেট তাঁদের পাঁচ দিনের সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছে। তাঁরা আরও বলেন, ‘আন্তর্জাতিক সহযোগিতা এবং শান্তির সংস্কৃতি জোরদার করার’ লক্ষ্যে তাঁদের মিশনের অংশ হিসেবে ইসরায়েল এবং ফিলিস্তিন অঞ্চল সফরের ইচ্ছা পোষণ করেছিলেন তাঁরা। ‘প্রথমবারের মতো, আমাদের যাত্রার দুই দিন আগে, ইসরায়েল সরকার আমাদের এক মাস আগে অনুমোদিত ভিসা বাতিল করে’, তাঁরা বলেন। দলের সদস্যরা বলেন, ‘আমরা বুঝতে চাই কেন এ আকস্মিক সিদ্ধান্ত, যা সম্মিলিত শাস্তির মতো’। প্রতিনিধিদলে ছিলেন ইকোলজিস্ট পার্টির জাতীয় পরিষদের ডেপুটি ফ্রাঁসোয়া রাফিন, অ্যালেকসিস করবিয়ার এবং জুলি ওজেন, কমিউনিস্ট ডেপুটি সৌম্য বোরৌহা এবং কমিউনিস্ট সিনেটর মারিয়ানা মার্গেট। অন্য সদস্যরা হলেন শহরের বামপন্থি মেয়র এবং স্থানীয় আইনপ্রণেতারা। বিবৃতিতে এ ভিসা বাতিলকে ‘কূটনৈতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি বড় ফাটল’ বলে নিন্দা করা হয়েছে।