বুধবার, ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

ক্রেতার পছন্দের গহনা বিক্রি করি

এম. এ. হান্নান আজাদ, ভাইস প্রেসিডেন্ট, বাজুস, স্বত্বাধিকারী : অলংকার নিকেতন প্রাইভেট লিমিটেড

ক্রেতার পছন্দের গহনা বিক্রি করি

আমরা সব সময় ক্রেতার পছন্দের পণ্য বিক্রি করছি। সবাই এখন হালকা গহনা কিনতে ও ব্যবহার পছন্দ করেন। দুবাই, বাহরাইন, সৌদি আরব যে অলংকার ২০ ভরিতে তৈরি করছে, ভারতের কারিগরদের তাতে লাগে ১০ ভরি সোনা আর বাংলাদেশের কারিগররা তৈরি করেন ৫-৭ ভরিতে। যেহেতু সোনার দাম বেশি, তাই হালকা ওজনের গহনার চাহিদা বাড়ছে। এ ছাড়া বিশ্বব্যাপী হাতে তৈরি সোনার গয়নার দামও সবচেয়ে বেশি। আমাদের দেশের শিল্পীরা অনেক বেশি পারদর্শী। ভারতে কারিগরের অধিকাংশই বাংলাদেশি। আমরা যদি সোনার অলংকার রপ্তানি করতে এবং কারিগরদের কাজ দিতে পারি তাহলে বাংলাদেশের পোশাকশিল্পের পরই বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের মাইলফলক তৈরি করবে এ শিল্প।

আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। শুধু নীতির অভাবে আমরা রপ্তানি করতে পারছি না। রপ্তানিনীতি সহজ করা দরকার। আমার বহুদিনের স্বপ্ন বাংলাদেশের স্বর্ণালংকার বিদেশে রপ্তানি করার। আমি সরকারি ও নিজের উদ্যোগে বিভিন্ন দেশে শতাধিক জুয়েলারি মেলায় অংশগ্রহণ করেছি। জাপান, বাহরাইন, দুবাই, ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডার মেলায় বাংলাদেশের গহনা প্রদর্শন করেছি। একবার পণ্য নিয়ে জাপানে গিয়েছিলাম। আমাদের কারিগরদের ডিজাইন দেখে মেলায় আসা ক্রেতারা বিমোহিত হয়েছিলেন। এজন্য রপ্তানি পদ্ধতিকে ভারত, ইন্দোনেশিয়া, কুয়েত, বাহরাইন এসব দেশের মতো যুগোপযোগী করা দরকার। আগে এসব দেশ স্বর্ণ আমদানি করত। এখন রপ্তানি নিয়মকানুন আধুনিকায়নের কারণে তারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করছে। বাজুস সভাপতি ও বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীর দায়িত্ব গ্রহণ করে এ খাতকে উন্নয়নের চেষ্টা করছেন। আশা করছি তাঁর হাত ধরে আমরা খুব দ্রুতই সোনার অলংকার রপ্তানি করে দেশের অর্থনীতিকে আরও এগিয়ে নিতে পারব। আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা। মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলাম। পরবর্তীতে অর্থনীতি বিষয়ে এমএ সম্পন্ন করি। তাঁতীবাজারে স্বর্ণের দোকানে ঘোরাঘুরি করতে করতে ১৯৭৬ সালের দিকে একটা দোকান ভাড়া নিয়ে স্বর্ণালংকারের দোকান দিই। তখন আমার বয়স ২৩ বছর আর মূলধন ২ হাজার ৭০০ টাকা। সেখান থেকে আস্তে আস্তে ব্যবসা বড় করি।

 

 

সর্বশেষ খবর