শিরোনাম
বুধবার, ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

রপ্তানিবান্ধব স্বর্ণ নীতিমালা প্রয়োজন

দিলীপ কুমার আগরওয়ালা, ম্যানেজিং ডিরেক্টর, ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড লিমিটেড

রপ্তানিবান্ধব স্বর্ণ নীতিমালা প্রয়োজন

প্রশ্ন : দেশের গহনা রপ্তানির জন্য সরকারের কী কী সহযোগিতা প্রয়োজন?

উত্তর : বিপুল সম্ভাবনা থাকার পরও যথাযথ পদক্ষেপের অভাবে বিশ্বের স্বর্ণালংকার রপ্তানিকারক দেশের তালিকায় নেই বাংলাদেশ। প্রতিবেশী দেশ ভারত জুয়েলারি পণ্য রপ্তানিতে বিশ্বে তৃতীয়। দক্ষিণ এশিয়ার শ্রীলঙ্কা, নেপাল ও পাকিস্তান থেকে স্বর্ণালংকার রপ্তানি হলেও বাংলাদেশ থেকে হয় না। এজন্য প্রয়োজন রপ্তানিবান্ধব স্বর্ণ নীতিমালা। ২০২৬ সালের মধ্যে সরকার যে ১০০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি টার্গেট নিয়েছে, আমি মনে করি এটা পূরণে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখতে পারে জুয়েলারি শিল্প। রপ্তানিবান্ধব স্বর্ণ নীতিমালা এখন সময়ের দাবি।

প্রশ্ন : বর্তমানে ৫ শতাংশ ভ্যাট দিয়ে ক্রেতা অলংকার কিনবেন কেন? নাকি ভ্যাট কমানো উচিত?

উত্তর : পাশের দেশ ভারতে ১ ভরি সোনার অলংকারে ৩ শতাংশ ভ্যাট প্রদান করতে হয়। আমাদেরও উচিত এটা কমিয়ে ৩ শতাংশ ভ্যাট নির্ধারণ করা।

প্রশ্ন : জুয়েলারি শিল্পের বিকাশে কোনো নীতিমালা আছে কি না? থাকলে সেটা কি ব্যবসার উপযোগী? যদি উপযোগী না হয় তাহলে কী ধরনের নীতিমালা দরকার?

উত্তর : সঠিক নীতিমালার অভাবে স্বাধীনতার পর থেকে দীর্ঘ সময় দেশে সঠিক পথে স্বর্ণ আমদানি হয়নি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই স্বর্ণ নীতিমালা করার জন্য। ২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর ‘স্বর্ণ নীতিমালা-২০১৮’-এর অনুমোদন দেওয়া হয়, যা ২০২১ সালের ২৮ অক্টোবর সংশোধন করা হয়। তবে নীতিমালা হতে হবে আরও যুগোপযোগী। সঠিক নীতিমালার অভাবে রপ্তানিও হচ্ছে না স্বর্ণালংকার।

প্রশ্ন : আপনার ব্যবসা কেমন চলছে? কাস্টমারদের উদ্দেশে আপনার বক্তব্য কী?

উত্তর : সবার সমর্থন ও ভালোবাসায় আজ ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড দেশের এক নম্বর জুয়েলারি ব্র্যান্ড হতে পেরেছে। ক্রেতাদের উদ্দেশে আমার একটাই বক্তব্য- আপনাদের সমর্থন ও ভালোবাসায় ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড এতদূর এসেছে। আগামীর পথচলায়ও আপনাদের ভালোবাসা ও সহযোগিতা নিয়ে এগিয়ে যেতে চাই।

সর্বশেষ খবর