১ নভেম্বর, ২০২২ ০৮:২৪

শিরক অমার্জনীয় অপরাধ

মাওলানা হেদায়াতুল্লাহ

শিরক অমার্জনীয় অপরাধ

মহান আল্লাহ বলেন, ‘তাদের মধ্যে যে বলবে, তিনি ছাড়া আমিই ইলাহ, আমি তাকে পরিণামে জাহান্নাম দেব, এভাবেই আমি জালিমদের শাস্তি দিয়ে থাাকি। ’ (সুরা : আম্বিয়া, আয়াত : ২৯)

তাফসির : আগের আয়াতগুলোতে ফেরেশতাদের মহান আল্লাহর বিশেষ সম্মানিত বান্দা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। তারা প্রবল শক্তির অধিকারী ও মর্যাদাবান হলেও তাদের কেউ নিজেকে ‘ইলাহ’ তথা আল্লাহর সমকক্ষ দাবি করলে তাদের পরিণতির কথা এ আয়াতে বর্ণিত হয়েছে। কারণ আল্লাহর সঙ্গে কাউকে অংশীদার করা বা নিজেকে খোদা দাবি করে সবাইকে নিজের উপাসনা করতে বলা সবই বড় শিরক বা ক্ষমার অযোগ্য পাপ।

সাধারণ পাপ ক্ষমা করা হলেও শিরকের পাপ কখনো ক্ষমা করা হবে না। ইরশাদ হয়েছে, ‘আল্লাহ তাঁর সঙ্গে শরিক করাকে ক্ষমা করেন না, তা ছাড়া অন্য অপরাধ যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করেন, যে আল্লাহর সঙ্গে কাউকে শরিক করে সে মহাপাপ করে। ’ (সুরা : নিসা, আয়াত : ৪৮)
পবিত্র কোরআন ও হাদিসের বর্ণনা অনুসারে ফেরেশতাদের মধ্যে কেউ আল্লাহর অবাধ্য হয়নি। আদম (আ.)-কে সৃষ্টির পর ইবলিস আল্লাহর নির্দেশ লঙ্ঘন করে আদম সন্তানদের বিপথগামী করার অঙ্গীকার করেছে। পবিত্র কোরআনে তার ঘটনা এভাবে এসেছে, ‘সে (শয়তান) বলল, হে আমার প্রতিপালক, আপনি আমাকে উত্থান দিবস পর্যন্ত সুযোগ দিন। তিনি বললেন, তুমি অবকাশপ্রাপ্তদের অন্তর্ভুক্ত। অবধারিত সময় উপস্থিত হওয়ার দিন পর্যন্ত। সে বলল, আপনার ক্ষমতার শপথ, আমি তাদের সবাইকে পথভ্রষ্ট করব। তাদের তাদের মধ্যে আপনার একনিষ্ঠ বান্দারা ছাড়া। তিনি বললেন, তবে এটাই সত্য, আমি সত্যই বলি। তোমার ও তোমার অনুসারীদের দ্বারা আমি জাহান্নামকে পূর্ণ করব। ’ (সুরা : সাদ, আয়াত : ৭৩-৮৫)

হাদিসে শিরককে জান্নাত ও জাহান্নাম লাভের মাধ্যম হিসেবে বলা হয়েছে। জাবির বিন আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.)-কে জিজ্ঞাসা করা হলো, হে আল্লাহর রাসুল, কোন দুই অভ্যাস মানুষকে জান্নাত বা জাহান্নামে প্রবেশ করাবে? তিনি বলেছেন, যে ব্যক্তি এমন অবস্থায় মারা গেল যে আল্লাহর সঙ্গে কাউকে শিরক করেনি সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। যে ব্যক্তি এমন অবস্থায় মারা গেল যে আল্লাহর সঙ্গে অংশীদার করে সে জাহান্নামে প্রবেশ করবে। (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ৯৩)

বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন
 

সর্বশেষ খবর