১০ ডিসেম্বর, ২০২২ ০৭:৫৯

সন্তানদের কোরআন-সুন্নাহর বিধান পালনের ক্ষেত্রে অভ্যস্ত করে তোলা মা-বাবার দায়িত্ব

আহমাদ রাইদ

সন্তানদের কোরআন-সুন্নাহর বিধান পালনের ক্ষেত্রে অভ্যস্ত করে তোলা মা-বাবার দায়িত্ব

মা-বাবার অন্যতম দায়িত্ব হলো সন্তানদের দ্বিনের পথে, কোরআন-সুন্নাহর পথে পরিচালনা করা, দ্বিনের বিধান পালনের ক্ষেত্রে অভ্যস্ত করে তোলা। কোরআনে এসেছে, ‘বলো, এটা আমার পথ। আমি জেনে-বুঝে আল্লাহর দিকে দাওয়াত দিই এবং যারা আমার অনুসরণ করেছে তারাও। আর আল্লাহ পবিত্র মহান এবং আমি মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত নই। ’ (সুরা ইউসুফ, আয়াত : ১০৮)

সন্তানকে দ্বিনের পথে পরিচালনার মাধ্যমে সওয়াব অর্জন করার এক বিরাট সুযোগ আছে। হাদিসে এসেছে, রাসুল (সা.) আলী (রা.)-কে বলেন, ‘তোমার মাধ্যমে একজনও যদি হিদায়াতপ্রাপ্ত হয়, তবে তা হবে তোমার জন্য লাল বর্ণের অতি মূল্যবান উট থেকেও উত্তম। ’ (সহিহ বুখারি)

ইসলাম অনুমোদন করে না এমন কাজ থেকে বিরত রাখা : অনুমোদন করে না এমন কাজ থেকে তাদের বিরত না রাখলে এই সন্তান কিয়ামতে মা-বাবার বিরুদ্ধে দাঁড়াবে। কোরআনে এসেছে, ‘হে ঈমানদাররা! তোমরা তোমাদের নিজেদের এবং তোমাদের পরিবারবর্গকে জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচাও। ’ (সুরা আত-তাহরিম, আয়াত : ৬)

আর কাফিররা বলবে, ‘হে আমাদের রব, জিন ও মানুষের মধ্যে যারা আমাদের পথভ্রষ্ট করেছে তাদের আমাদের দেখিয়ে দিন। আমরা তাদের উভয়কে আমাদের পায়ের নিচে রাখব, যাতে তারা নিকৃষ্টদের অন্তর্ভুক্ত হয়। ’ (সুরা হা-মিম আস-সিজদাহ, আয়াত : ২৯)

পাপকাজ, অশ্লীলতা, বেহায়াপনা, অপসংস্কৃতি থেকে বিরত রাখা : সন্তান দুনিয়ায় আসার সঙ্গে সঙ্গে শয়তান তার পেছনে লেগে যায় এবং বিভিন্নভাবে, ভিন্ন ভিন্ন রূপে, পোশাক-পরিচ্ছদের মাধ্যমে, বিভিন্ন শিক্ষার নামে জাহান্নামের দিকে নিয়ে যাওয়ার ষড়যন্ত্র করে। তাই মা-বাবাকে অবশ্যই এ বিষয়ে সতর্ক ও সজাগ থাকতে হবে। মহান আল্লাহ বলেন, ‘হে মুমিনরা, তোমাদের স্বামী-স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততিদের কেউ কেউ তোমাদের দুশমন। অতএব, তোমরা তাদের ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন করো। আর যদি তোমরা মার্জনা করো, এড়িয়ে যাও এবং মাফ করে দাও তাহলে নিশ্চয়ই আল্লাহ পরম ক্ষমাশীল, অসীম দয়ালু। ’ (সুরা তাগাবুন, আয়াত : ১৪)

বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন

সর্বশেষ খবর