২৪ এপ্রিল, ২০২৩ ০৮:১২

কোরআনের শিক্ষা বাস্তবায়িত হোক জীবনে

মাওলানা সাখাওয়াত উল্লাহ

কোরআনের শিক্ষা বাস্তবায়িত হোক জীবনে

কোরআন এসেছে নিখিল জাহানের স্রষ্টার পক্ষ থেকে। এসেছে মানবজাতির হিদায়াতের উদ্দেশে। এসেছে মানুষকে অন্ধকার থেকে আলোর পথে নিয়ে যাওয়ার জন্য। মানুষের প্রতি কোরআনের যেসব দাবি রয়েছে, সেগুলো হলো—

এক. ঈমান আনা। ইরশাদ হয়েছে, ‘...তবে কি তোমরা কিতাবের কিছু অংশে ঈমান রাখো, আর কিছু অংশ অস্বীকার করো? সুতরাং তোমাদের মধ্যে যারা তা করে দুনিয়ার জীবনে লাঞ্ছনা ছাড়া তাদের কী প্রতিদান হতে পারে! আর কিয়ামতের দিন তাদের কঠিন আজাবে নিক্ষেপ করা হবে। তোমরা যা করো, আল্লাহ সে সম্পর্কে গাফিল নন।’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ৮৫)


দুই. বিশুদ্ধভাবে কোরআন পাঠ করা এবং তা শেখা ফরজ। ইরশাদ হয়েছে, ‘...আর কোরআন তিলাওয়াত করো ধীরে ধীরে ও সুস্পষ্টভাবে।’ (সুরা : মুজ্জাম্মিল, আয়াত : ৪)

তিন. কোরআনের আরেকটি হক হলো তা অন্যকে শিক্ষা দেওয়া। ইরশাদ হয়েছে, ‘অবশ্যই আল্লাহ মুমিনদের ওপর অনুগ্রহ করেছেন, যখন তিনি তাদের মধ্য থেকে তাদের প্রতি একজন রাসুল পাঠিয়েছেন, যিনি তাদের কাছে তাঁর আয়াতগুলো তিলাওয়াত করেন এবং তাদের পরিশুদ্ধ করেন আর তাদের কিতাব ও হিকমত শিক্ষা দেন। যদিও তারা এর আগে স্পষ্ট ভ্রান্তিতে ছিল।’ (সুরা : আলে ইমরান, আয়াত : ১৬৪)

চার. হিফজ বা মুখস্থ করা। কোরআন হিফজ করা একটি গুরুত্বপূর্ণ দাবি। কেননা আল্লাহ নিজেই কোরআন সংরক্ষণের দায়িত্ব নিয়েছেন। আর এর প্রক্রিয়া হিসেবে তিনি মানুষকে কোরআন হিফজ করার তাওফিক দিয়েছেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘নিশ্চয়ই আমি কোরআন নাজিল করেছি, আর আমিই তার হেফাজতকারী।’ (সুরা : হিজর, আয়াত : ৯)


পাঁচ. কোরআনের অর্থ বোঝা ও অনুধাবন করা কোরআনের অন্যতম দাবি। কোরআনে এসেছে, ‘নিশ্চয়ই আমি একে আরবি কোরআনরূপে নাজিল করেছি, যাতে তোমরা বুঝতে পারো।’ (সুরা : ইউসুফ, আয়াত : ২)

ছয়. পারিবারিক, সামাজিক, রাষ্ট্রীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে কোরআন প্রতিষ্ঠিত করা। এ বিষয়ে ইরশাদ হয়েছে, ‘....আল্লাহ যা অবতীর্ণ করেছেন, তা অনুসারে যারা বিধান দেয় না, তারাই কাফির।’ [সুরা : মায়েদা, আয়াত : ৪৪ (শেষাংশ)]।

সাত. কোরআনের যথাযথ মর্যাদা দেওয়া। ইরশাদ হয়েছে, ‘যাদের আমি কিতাব দিয়েছি, তারা যথাযথভাবে তা পাঠ করে। তারাই তাতে ঈমান আনে। আর যে তা অস্বীকার করে, সে-ই ক্ষতিগ্রস্ত।’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ১২১)
 

বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন

সর্বশেষ খবর