শিরোনাম
২২ মে, ২০২৪ ১২:৩৪

মানবতার কথা বলে ইসলাম

মুহম্মাদ জিয়াউদ্দিন

মানবতার কথা বলে ইসলাম

মহান আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা শ্রেষ্ঠ জাতি; তোমাদের আবির্ভাব করা হয়েছে মানব জাতির কল্যাণের জন্য।’ (সুরা আলে ইমরান, আয়াত ১১০) রসুল (সা.) বলেছেন, ‘কোনো বান্দা যতক্ষণ তার ভাইয়ের সাহায্যরত থাকে ততক্ষণ আল্লাহ তাকে সাহায্য করতে থাকেন।’ (তিরমিজি) । রসুলুল্লাহ (সা.) আরও বলেন, ‘সমগ্র সৃষ্টি আল্লাহর পরিজন। আল্লাহর কাছে প্রিয় সৃষ্টি হলো সে, যে তার সৃষ্টির প্রতি সদয় আচরণ করে।’ (বায়হাকি)। রসুল (সা.) আরও বলেন, ‘যে ব্যক্তি মানুষের প্রতি দয়া করে না, আল্লাহ তার প্রতি দয়া করেন না।’ (বুখারি)।  

অন্যদিকে আর্তমানবতার সেবা না করার পরিণাম সম্পর্কে রসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘নিশ্চয় কেয়ামতের দিন আল্লাহ তাঁর কোনো বান্দাকে জিজ্ঞাসা করবেন- আমি ক্ষুধার্ত ছিলাম, তুমি আমাকে খাদ্য দাওনি, আমি তৃষ্ণার্ত ছিলাম, তুমি আমাকে পানি দাওনি। আমি রুগ্ন ছিলাম তুমি আমার সেবা করনি, তখন বান্দা অবাক হয়ে বলবে- হে আমার রব! তুমি যে অভাবমুক্ত। তুমি খাও না, পান কর না, কেমন করে ক্ষুধার্ত, পিপাসার্ত ও রুগ্ন হতে পার? আল্লাহ বলবেন- আমার অমুক বান্দা ক্ষুধার্ত হয়ে তোমার দুয়ারে হাজির হয়েছিল তুমি তাকে খাদ্য দাওনি, তাকে দিলে আমাকে দেওয়া হতো। তুমি পিপাসার্তকে পানি দাওনি, তাকে পানি দিলে আমাকে দেওয়া হতো। অসুখে রোগী কষ্টে ছটফট করেছে তার সেবা করলে আমাকে সেবা করা হতো, তুমি কি এটা জানতে না?’ (মুসলিম)। এক মুসলিমের ওপর অন্য মুসলিমের অধিকারগুলোর অন্যতম হলো ‘কোনো মুসলিম অসুস্থ হলে তাকে দেখতে যাওয়া। (বুখারি) এ প্রসঙ্গে রসুলুল্লাহ (সা.) আরও বলেছেন, ‘তোমরা রোগীকে দেখতে যাও, ক্ষুধার্তকে অন্ন দাও এবং বন্দিকে মুক্ত কর।’ (বুখারি) 

তিনি আরও বলেছেন, ‘কোনো মুসলিম যখন তার কোনো মুসলিম ভাইয়ের রোগের খবর নিতে যায়, তখন সে ফিরে না আসা পর্যন্ত জান্নাতের খুরফার মধ্যে অবস্থান করে। জিজ্ঞাসা করা হলো, হে আল্লাহর রসুল! খুরফা কী? তিনি বললেন, জান্নাতের ফল পাড়া!’ (মুসলিম)।

লেখক : ইসলামবিষয়ক গবেষক 

 

বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর