খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ৮টায় নগরীর সব ভোট কেন্দ্রে একযোগে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। এবং তা বিরতিহীনভাবে চলে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। এখন চলছে ভোট গণনার কাজ।
মঙ্গলবারের এ নির্বাচনে জালভোট প্রদানের অভিযোগে ৩০নং ওয়ার্ডের রুপসা হাইস্কুল ও রুপসা সরকারি প্রামিক বিদ্যালয় কেন্দ্র, ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের ইকবাল নগর মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র, ২২নং ওয়ার্ডের ফাতেমা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র এবং লবনচোরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ বন্ধ ঘোষণা করা হয়। তবে ফাতেমা উচ্চ বিদ্যালয় ৮৫টি জালভোট বাতিল করে আধাঘণ্টা পরে পুনরায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়। এছাড়া খুলনা জিলা স্কুল ভোটকেন্দ্র সকাল থেকেই ছিল ভোটার শূন্য।
এদিকে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জুর নির্বাচন নিয়ে অভিযোগ করেন, 'বেশকিছু কেন্দ্র থেকে বিএনপির পোলিং এজেন্টদের বের করে দেয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনকে বলা হলেও কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না। তবে তিনি বলেন, যাই হোক না কেন নির্বাচনে আমি শেষপর্যন্ত আছি।'অপরদিকে খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোট কেন্দ্র দখল, বিএনপির এজেন্টদের বের করে দেওয়া ও জালভোট দেওয়ার অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক। তিনি আরও বলেন, নির্বাচন নিয়ে কোনো শঙ্কা নেই। নগরীর সবকেন্দ্রে সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণ চলছে। খুলনার উন্নয়নে মানুষ নৌকায় ভোট দেবে।
এবারে নির্বাচনে মেয়র পদে পাঁচ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন- আ’লীগের তালুকদার আবদুল খালেক, বিএনপি মনোনীত নজরুল ইসলাম মঞ্জু (ধানের শীষ), জাতীয় পার্টি মনোনীত শফিকুর রহমান মুশফিক (লাঙল), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত মাওলানা মুজ্জাম্মিল হক (হাত পাখা) ও সিপিবি মনোনীত মো. মিজানুর রহমান বাবু (কাস্তে)।
উল্লেখ্য, এবার খুলনা সিটিতে মোট ভোটার ৪ লাখ ৯৩ হাজার ৯৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ২ লাখ ৪৮ হাজার ৯৮৬ ও নারী ২ লাখ ৪৪ হাজার ১০৭ জন। ভোট গ্রহণ কর্মকর্তা ৪ হাজার ৯৭২ জন। নির্বাচনে ভোট কেন্দ্র ২৮৯টি। এর মধ্যে ২টি কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করা হবে। এ ২টি কেন্দ্রের ১০টি বুথের ২ হাজার ৯৭৮ জন ভোটার ইভিএমে ভোট দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন।
বিডি-প্রতিদিন/ ই-জাহান