শিরোনাম
১৩ মার্চ, ২০২২ ১৪:২৪

উপনির্বাচনে শত্রুঘ্ন সিনহা ও বাবুল সুপ্রিয়কে প্রার্থী করলেন মমতা

দীপক দেবনাথ, কলকাতা

উপনির্বাচনে শত্রুঘ্ন সিনহা ও বাবুল সুপ্রিয়কে প্রার্থী করলেন মমতা

শত্রুঘ্ন সিনহা ও বাবুল সুপ্রিয় (বামে)

পশ্চিমবঙ্গের আসানসোল লোকসভা কেন্দ্র ও বালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে প্রার্থী তালিকায় চমক দিল রাজ্যটির ক্ষমতাসীন দল তৃণমূল কংগ্রেস। আসানসোলে তৃণমূলের টিকিটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন সাবেক কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ এবং জাহাজ মন্ত্রী, বিজেপি নেতা ও অভিনেতা ৭৬ বছর বয়সী শত্রুঘ্ন সিনহা। অন্যদিকে বালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে তৃণমূলের প্রার্থী করা হয়েছে আরেক সাবেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, বিজেপি নেতা ও গায়ক ৫১ বছর বয়সী বাবুল সুপ্রিয়কে।

রবিবার টুইট করে এই ঘোষণা দেন দলটির প্রধান মমতা ব্যনার্জি। তিনি লেখেন ‘আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে সাবেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও জনপ্রিয় অভিনেতা শত্রুঘ্ন সিনহাকে প্রার্থী করা হচ্ছে-তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে এই ঘোষণায় আমি খুবই খুশি।’

অন্য আরেকটি টুইট করে মমতা লেখেন ‘সাবেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও সুগায়ক বাবুল সুপ্রিয়কে বালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচনে প্রার্থী করা হচ্ছে। জয় হিন্দ, জয় বাংলা, জয় মা-মাটি-মানুষ।’

উল্লেখ্য, আগামী ১২ এপ্রিল পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোল লোকসভা কেন্দ্র এবং দক্ষিণ কলকাতার বালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন হবে। ভোট গণনা আগামী ১৬ এপ্রিল। এই উপনির্বাচনের জন্য মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হবে ১৭ মার্চ থেকে। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৪ মার্চ।

আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ ছিলেন বাবুল সুপ্রিয়। ২০১৪ সালে প্রথমবার ওই কেন্দ্র থেকে বিজেপির টিকিটে জয়ী হয়ে মোদির কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় জায়গা পান বাবুল। এরপর ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের প্রার্থী মুনমুন সেনকে পরাজিত করে বিজেপির টিকিটে ফের জয়ী হয়েছিলেন বাবুল এবং মোদির মন্ত্রিসভায় জায়গা পান। কিন্তু ২০২১ সালের ৭ জুলাই মোদি মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণে জায়গা না পাওয়ায় একরাশ অভিমান, ক্ষোভ নিয়ে বিজেপির সংস্পর্শ ত্যাগ করেন, সাংসদ পদেও ইস্তফা দেন তিনি। পরবর্তীতে তিনি যোগ দেন তৃণমূল কংগ্রেসে। ফলে দীর্ঘ দিন আসানসোল কেন্দ্রটি সাংসদ বিহীন হয়ে পড়েছিল। স্বভাবতই এই কেন্দ্রে উপনির্বাচন জরুরি হয়ে পড়ে। এবার ওই কেন্দ্রেই তৃণমূলের প্রার্থী করা হচ্ছে শত্রুঘ্ন সিনহাকে। ২০০৯ ও ২০১৪ সালে পরপর দুইবার বিহারের পাটনা সাহিব কেন্দ্র থেকে বিজেপির টিকিটে জয়ী হলেও ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি তাকে ওই কেন্দ্রে প্রার্থী না করায় বিজেপির সাথে দূরত্ব বাড়তে থাকে শত্রুঘ্নর। এরপর ভোটের আগে ওই বছরেই ৬ এপ্রিল  বিজেপি ত্যাগ করে জাতীয় কংগ্রেসে যোগ দেন বিহারী বাবু বলে পরিচিত শত্রুঘ্ন সিনহা। কংগ্রেসের টিকিটে পাটনা সাহিব কেন্দ্র থেকে প্রার্থীও হন কিন্তু বিজেপির রবি শঙ্কর প্রসাদের কাছে হেরে যান তিনি।

অন্যদিকে গত মার্চ-এপ্রিল মাসে দক্ষিণ কলকাতার বালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের টিকিটে জয়ী হয়ে বিধায়ক হন সুব্রত মুখার্জি। মমতা মন্ত্রিসভার অত্যন্ত দক্ষ একজন সদস্য ছিলেন সুব্রত। কিন্তু হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে গত বছরের নভেম্বর মাসে প্রয়াত হন মমতার অত্যন্ত ঘনিষ্ট ও বিশ্বস্ত সহযোগী সুব্রত। ফলে ওই কেন্দ্রটিতেও উপনির্বাচন জরুরি হয়ে পড়ে। সেখানে তৃণমূলের প্রার্থী হচ্ছেন বাবুল সুপ্রিয়।

বিডি প্রতিদিন/ফারজানা

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর