শিরোনাম
২৮ জুলাই, ২০২২ ০৬:২৩

গুনতে লাগল সারারাত, ‘পার্থ ঘনিষ্ঠ’ অর্পিতার ফ্ল্যাটে মিলল ২০ কোটি রুপি!

অনলাইন ডেস্ক

গুনতে লাগল সারারাত, ‘পার্থ ঘনিষ্ঠ’ অর্পিতার ফ্ল্যাটে মিলল ২০ কোটি রুপি!

অর্পিতার বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাটে উদ্ধার হওয়া রুপি। অর্পিতা মুখার্জির ফাইল ছবি (ডানে)

অবশেষে গণনা শেষ! বুধবার সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ শুরু হয় রুপি গোনা, যা শেষ হতে হতে বৃহস্পতিবার ভোর হয়ে যায়। প্রায় ১০ ঘণ্টা ধরে (সারারাত) বেলঘরিয়ায় অর্পিতা মুখার্জির ফ্ল্যাটে চলল উদ্ধার হওয়া রুপি গোনার কাজ। প্রশ্ন- শেষ পর্যন্ত কত রুপি উদ্ধার হলো ওই ফ্ল্যাট থেকে? তদন্তকারী সংস্থা ইডির একটি সূত্রের বক্তব্য, অন্তত ২০ কোটি রুপি। যদিও ওই দাবির কোনো আনুষ্ঠানিক সত্যতা মেলেনি। 

বিভিন্ন সূত্রে বিভিন্ন খবর আসছে। একটি সূত্রের যেমন দাবি, ২০ কোটি ছাড়িয়ে আরও কিছুদূর যেতে পারে ওই রুপির পরিমাণ। তবে ইডির তরফে আনুষ্ঠানিক বিবৃতি না দেওয়া পর্যন্ত কোনো তথ্যই সমর্থনযোগ্য নয়।

স্তূপীকৃত রুপির সঙ্গেই ওই ফ্ল্যাট থেকে মিলেছে প্রচুর স্বর্ণের বার ও অলঙ্কার। একটি সূত্রে দাবি, তিন কেজি স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়েছে। আবার অন্য একটি সূত্রের দাবি, পাঁচ কেজি। এ ক্ষেত্রেও বৃহস্পতিবার ভোর পর্যন্ত ইডির তরফে কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি বা ‘সিজার লিস্ট’ দেওয়া হয়নি। যতক্ষণ না বিষয়টি তদন্তকারী সংস্থার তরফে সরকারিভাবে জানানো হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত কোনো অঙ্কই ‘সঠিক’ বলতে রাজি হচ্ছেন না কেউ।

রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের কর্মীদের ডেকে এনে মোট চারটি বৃহদাকার যন্ত্রে চলছিল রুপি গোনা। কলকাতার একটি শাখা থেকে যন্ত্রগুলো বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাটে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল বলে ইডি সূত্রে খবর। সাধারণত ওই যন্ত্র ব্যবহার হয় ‘কারেন্সি চেস্ট’-এ। ইডির একটি সূত্রের দাবি, প্রথমে পাঁচটি সাধারণ যন্ত্র নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু রুপির পরিমাণ দেখে বড়মাপের যন্ত্র আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বুধবার দুপুরে বেলঘরিয়ার ওই ফ্ল্যাটের তালা ভেঙে সেখানে ঢোকেন ইডির তদন্তকারী অফিসারেরা। সেখানে রুপির পাহাড় দেখে তারা সিদ্ধান্ত নেন বিশেষ যন্ত্র আনানোর। অর্পিতাকে জেরা করেই তারা ওই রুপির হদিস পান বলে সূত্রের বক্তব্য। ইডির এখটি সূত্রের এমনও বক্তব্য যে, অর্পিতা তাদের বলেছেন, তার বিভিন্ন ফ্ল্যাটকে নগদ রুপি গচ্ছিত রাখার জন্য ‘মিনি ব্যাঙ্ক’ হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে।

নোটগণনার সাক্ষী হিসেবে একজনকে উপরে নিয়ে গিয়েছিলেন তদন্তকারী অফিসারেরা। তার আগেই ২০টি ট্রাঙ্ক-সহ একটি বড় ট্রাক নিয়ে আসা হয়েছিল ওই আবাসনে। ওই ট্রাঙ্কে ভরেই উদ্ধার করা রুপি নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

বেলঘরিয়ার ‘ক্লাব টাউন’ আবাসনে বুধবার বেলা ১২টা নাগাদ পৌঁছায় ইডি। ওই আবাসনে দু’টি ফ্ল্যাট রয়েছে মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ‘ঘনিষ্ঠ’ অর্পিতার। দু’টি ফ্ল্যাটের একটিতে রুপির সন্ধান পান তদন্তকারীরা। তল্লাশির পর অন্য ফ্ল্যাটটি ‘সিল’ করে দেওয়া হয়। তারপর শুরু হয় অন্য ফ্ল্যাটে রুপি গোনা।

প্রসঙ্গত, শুক্রবার টালিগঞ্জের একটি আবাসনে অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে নগদ প্রায় ২২ কোটি রুপি, স্বর্ণের গয়না এবং বিদেশি মুদ্রা উদ্ধার করে ইডি। তারপর জানা যায়, বেলঘরিয়াতেও ফ্ল্যাট রয়েছে অর্পিতার। বুধবার সেখানেই অভিযান চালায় ইডি। 

সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা

বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর