আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির দাবি জানিয়ে কলকাতার বাংলাদেশ উপদূতাবাস প্রাঙ্গনে পালিত হল গণহত্যা দিবস। এই উপলক্ষে শনিবার বিকালে মিশনের বাংলাদেশ গ্যালারিতে আয়োজিত অনুষ্ঠানের শুরুতে গণহত্যা দিবস হিসাবে নির্মিত দুইটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। এরপর এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। পরে উপ-হাইকমিশনার আন্দালিব ইলিয়াস-এর নেতৃত্বে সকল কর্মকর্তাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
পরবর্তীতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীর প্রেরিত বাণী পাঠ করে শোনান যাথক্রমে কাউন্সেলর (শিক্ষা ও ক্রীড়া) রিয়াজুল ইসলাম এবং কাউন্সেলর (রাজনৈতিক) তুষিতা চাকমা। অনুষ্ঠানে গণহত্যা দিবস নিয়ে আলোচনা করেন মিনিস্টার (রাজনৈতিক) ও দূতালয় প্রধান সিকদার মোহাম্মদ আশরাফুর রহমান এবং প্রথম সচিব (প্রেস) রঞ্জন সেন।
সমাপনী বক্তব্যে উপ-হাইকমিশনার আন্দালিব ইলিয়াস বলেন '১৯৭১ দলের ২৫ মার্চ বাংলাদেশে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী যে গণহত্যা শুরু করেছিলো, যা পরবর্তী নয় মাস চলেছিলো, তা ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ গণহত্যাগুলোর মধ্যে অন্যতম। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ত্রিশ লক্ষ শহিদের প্রাণের বিনিময়ে আমরা আমাদের স্বাধীনতা পেয়েছি।'ইলিয়াস আরো বলেন 'প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সরকার ১৯৭১-এর গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করছে এবং জাতিসংঘে বাংলাদেশের এ উদ্যোগ নিশ্চয়ই সফল হবে। একই সঙ্গে বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের অগ্রণী ভূমিকার কথা তুলে ধরে গোটা বিশ্বে যে কোন গণহত্যার বিরূদ্ধে বাংলাদেশের অবস্থানের কথা পুণর্ব্যক্ত করেন উপ-হাইকমিশনার।
এদিনের অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনা করেন উপ-হাইকমিশনের দ্বিতীয় সচিব (রাজনৈতিক) শেখ মারেফাত তারিকুল ইসলাম।
সবশেষে বিশেষ মোনাজাতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন