২৭ মার্চ, ২০২৩ ০৫:৪৬

কলকাতায় নানা স্বাদের ইফতারির বাজার

অনলাইন ডেস্ক

কলকাতায় নানা স্বাদের ইফতারির বাজার

চলছে পবিত্র রমজান মাস। রবিবার রোজার তৃতীয় দিনে বাহারি পসরায় সেজে উঠেছে কলকাতার রাজাবাজার এলাকার ইফতার বাজার। 

কলকাতার অন্যতম মুসলিম অধ্যুষিত এলাকা রাজাবাজার। শিয়ালদহ স্টেশন আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু রোড ধরে একটু এগিয়ে আসলেই রাজাবাজার। বড় দোকান থেকে শুরু করে মহল্লার ছোট দোকান, ফুটপাতের অস্থায়ী খাবারের দোকানগুলিতে বাহারি পসরা নিয়ে বসেছেন দোকানিরা। 

দুপুর থেকে শুরু হয় কেনাবেচা। ইফতারের সময় ঘনিয়ে আসতেই বিক্রেতাদের হাঁক ডাক, ব্যস্ততা বাড়লেও সেভাবে ক্রেতাদের উপস্থিতি একেবারেই কম। 

এদিন, রাজাবাজারের মূল রাস্তার পাশের ফলের দোকানগুলিতে খোঁজ নিয়ে দেখা গেল খেজুর, পেঁপে, তরমুজ, কলার চাহিদা বেশি। 

অন্যদিকে রাস্তার পাশেই টেবিলে করে বিক্রি হচ্ছে পেয়াজু, আলুর চপ, বেগুনি, ডালের বড়া, ছোলা। অনেকে আবার সেমাই কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। 

ইফতারির বাজারে বেচাকেনায় এখনো সেই ভিড় দেখা না যাওয়ার কারণ হিসেবে কেউ কেউ বলছেন দামের ঊর্ধ্বগতি। কারো কারো অভিমত ১৫-১৬ রমজানের পর কেনাবেচায় আরো গতি আসবে। 

বাস্তব চিত্রটাও ঠিক তাই! ইফতারি বাজারে ঢুকেই কার্যত ছ্যাকা খাচ্ছেন ক্রেতারা। গ্রীষ্মের দাবদাহে কারণে নয়, বিভিন্ন জিনিসের দামের ঊর্ধ্বগতির কারণে এক-পা এগিয়েও দু-পা পিছিয়ে আসছেন তারা। কিন্তু কি আর করা যাবে? অল্প কিনে সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে ক্রেতাদের। 

সাবির আহমেদ নামে এক ক্রেতা জানালেন, ‘ফলের দাম বেড়েছে। ফলে সমস্যাও বেড়েছে। আর সেই কারণে পরিমাণে কিনতে হচ্ছে কম। স্বাভাবিকভাবে খাওয়ার পরিমাণও কমিয়ে দিতে হচ্ছে।’

আগে ১০ রুপিতে চারটে কলা পেলেও এখন ওই রুপিতে মাত্র তিনটে কলা মিলছে। আপেলের কেজি ১৬০ রুপি, তরমুজ ৩০ রুপি, আঙ্গুর ১০০ রুপি, কলা (১২ পিস) ৫০ থেকে ৬০ রুপি, সেমাই প্রতি কেজি ১৮০ রুপি।  

মোহাম্মদ ইসলাম খান জানান, ‘প্রতিটা জিনিসেরই দাম বেড়েছে। কিন্তু কি আর করা যাবে? কিনতে হবে, খেতেও হবে।’

মোহাম্মদ গুড্ডু নামে এক কলা বিক্রেতা জানালেন, ‘বিক্রি মোটামুটি ভালই। তবে দাম বেড়েছে। আগে ১০ রুপিতে চারটে বিক্রি হতো, এখন ১০ রুপিতে তিনটে বিক্রি করতে হচ্ছে।’

ফল বিক্রেতা মোহাম্মদ খালিদ জানান, ‘এক ডজন (১২) কলা প্রকারভেদে ৪০ রুপি, ৫০ রুপি এবং ৬০ রুপিতে বিক্রি হচ্ছে। তরমুজ প্রতি কেজি ৩০ রুপি, আপেল প্রতি কেজি ১৫০ থেকে ১৬০ রুপি।’

সেমাই বিক্রেতা নওশাদ জানান, সেমাই বিক্রি হচ্ছে ১৮০ রুপি কেজি। সব জিনিসের দাম বেড়েছে। এতে গরিব মানুষের অসুবিধা হবে।’


বিডি-প্রতিদিন/বাজিত

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর