ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন বঞ্চনার প্রতিবাদে অবস্থান কর্মসূচির মঞ্চ থেকে অভিনব প্রতিবাদ করেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। একটি ওয়াশিং মেশিন এনে সেখানে মমতা নিজে কালো কাপড় দেন, আর সেই মেশিন থেকে সাদা কাপড় বের করে আনেন। আসলে বিজেপিকে ওয়াশিং মেশিনের সাথে তুলনা করে মমতা বোঝাতে চেয়েছেন বিজেপিতে গেলে সমস্ত দুর্নীতি, দাগ মুছে যায়। এ সময় মঞ্চ থেকে স্লোগান ওঠে ‘ওয়াশিং মেশিন বিজেপি। কালো হল সাদা এটাই হল ফায়দা।’
কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনার প্রতিবাদে কলকাতার রেড রোডের এই অবস্থান কর্মসূচি থেকে বিজেপিকে উৎখাতের ডাক দিলেন মমতা। বুধবার দুপুর ১২টা থেকে রেড রোডে বিআর আম্বেদকর মূর্তির পাশে একটি অস্থায়ী মঞ্চ থেকে দুই দিনব্যাপী (২৯, ৩০ মার্চ) অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন মমতা। প্রথম দিন স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টায় বক্তব্য রাখতে উঠে কেন্দ্রের ক্ষমতাশীল দল বিজেপিকে প্রবল নিশানা করেন তিনি।
মমতা বলেন, ‘আগামী দিন ২০২৪ সালে বিজেপি তোমরা ক্ষমতায় আসবে না। তোমরা নিশ্চিন্তে থাকো।’বিজেপির বিরুদ্ধে ইডি, সিবিআই, ইনকাম ট্যাক্সসহ কেন্দ্রীয় এজেন্সি দিয়ে ভয় দেখানোর অভিযোগ তুলে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘অখিলের যাদব, লালু প্রসাদ যাদব, উদ্ধব ঠাকরে, অরবিন্দ কেজিওয়াল, জগনমোহন রেড্ডি, এমকে স্টালিম, কেসিআর- সবই চোর আর বিজেপি সাধু? আমাদের এখানে নির্বাচন হয় সাত দফায়। আর কর্নাটকে মাত্র এক দফায় নির্বাচন হচ্ছে। আসলে হয় ওরা (বিজেপি) ভয় পেয়েছে তা নাহলে চলে যাওয়ার রাস্তা খুঁজছে।’
মমতার প্রশ্ন ‘আগামী দিন ওরা কী করে জিতবে? আগে যখন ওরা ক্ষমতায় এসেছিল (২০১৪, ২০১৯ সাল) তখন পিক টাইম ছিল। ওদের সেই পিক টাইম চলে গেছে। ১৭টা রাজনৈতিক দল নিয়ে তাদের জোট ছিল, কিন্তু আজকে ১৬টা দলই তাদের চেটে চলে গেছে। ওরা একা কী করবে? উত্তরপ্রদেশে সব পাবে না। বিহার, রাজস্থান, উড়িষ্যা, পশ্চিমবাংলা, পাঞ্জাব, কর্নাটক, অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ু, তেলেঙ্গানা, দিল্লি, ঝাড়খণ্ডের মাটি রাজ্যগুলোতেও তারা কোথায় আসন পাবে? সেই জন্যেই ওরা চায় এই নির্বাচনের আগে ইডি দিয়ে সবাইকে কারাগারে ভর্তি করে দেওয়া। যাতে অন্য রাজনৈতিক দলের নেতারা এলাকায় কাজ না করতে পারে বা সংগঠন করতে না পারে।’
এই প্রসঙ্গে তৃতীয় ফন্টের প্রয়োজনীয়তা উত্থাপন করে মমতা বলেন '...তাই আমি মনে করি, বিজেপিকে দেশ থেকে উৎখাত করতে হলে, সকল বিরোধী রাজনৈতিক দলকে এক জোট হয়ে লড়াই করা উচিত, সফলতার সাথে লড়াই করা উচিত।’
মমতা ছাড়াও তার ভাতিজা ও দলের সাংসদ অভিষেক ব্যানার্জি, সাংসদ সৌগত রায়, সুধাংশুশেখর রায়, দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বকশিসহ অনেকেই বক্তব্য দেন।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ