শিরোনাম
২৮ এপ্রিল, ২০২৩ ২০:১৩

কোমরে বেঁধে স্বর্ণবার ভারতে পাচারকালে আটক

দীপক দেবনাথ, কলকাতা

কোমরে বেঁধে স্বর্ণবার ভারতে পাচারকালে আটক

স্বর্ণ পাচার করতে গিয়ে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের হাতে ধরা পড়েছেন এক বাংলাদেশি নারী পাচারকারী

স্বর্ণ পাচার করতে গিয়ে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের হাতে ধরা পড়েছেন এক বাংলাদেশি নারী পাচারকারী। কাপড়ের ভাঁজে করে কোমরে বেঁধে স্বর্ণের বার লুকিয়ে ভারতে পাচারকালে ওই বাংলাদেশি নারী পাচারকারীকে আটক করে বিএসএফ। 

বৃহস্পতিবার ওই নারী যখন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁর পেট্রাপোল-বেনাপোল সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে প্রবেশ করছিলেন, তখন সন্দেহজনকভাবে তাকে আটক করা হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদে এই বিপুল পরিমাণ স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়।

শুক্রবার বিএসএফের তরফে এক বিবৃতি দিয়ে এ কথা জানানো হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, ‘এদিন বিএসএফ'এর দক্ষিণবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের ১৪৫ ব্যাটালিয়নের জওয়ানরা পেট্রাপোল সুসংহত চেকপোস্ট (আইসিপি)-এ কর্তব্যরত ছিলেন। বাহিনীর গোয়েন্দাদের কাছ থেকে তথ্য পায় যে বাংলাদেশি এক নারী চোরাকারবারি স্বর্ণ নিয়ে স্থল সীমান্তের প্যাসেঞ্জার টার্মিনালের রাস্তা দিয়ে ভারতীয় সীমান্তে প্রবেশ করতে চলেছেন। এরপরে, ওই সন্দেহভাজন নারী নির্দিষ্ট সময়ে প্যাসেঞ্জার টার্মিনালে পৌঁছালে বিএসএফের নারী জওয়ানরা তাকে আটকায় এবং তল্লাশি অভিযান চালায়। ওই নারীকে তল্লাশির সময় জওয়ানরা তার কাছ থেকে ২৭ টি বিভিন্ন ধরনের স্বর্ণের বার উদ্ধার করেন। ২.১৪৫ কেজি ওজনের ওই স্বর্ণের বারগুলোর আনুমানিক মূল্য ১ কোটি ২৯ লাখ ৩২ হাজার ১৩৩ রুপি। 

বিএসএফ আরো জানিয়েছে , এই স্বর্ণের বারগুরো ওই পাচারকারী নিজের পরনের কাপড়ে লুকিয়ে রেখে তার কোমরে বেঁধেছিলেন। এরপর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওই নারীকে ফাঁড়িতে নিয়ে আসেন বিএসএফের কর্তব্যরত নারী জওয়ানরা। 

জানা গেছে, আটক নারী পাচারকারীর নাম মোনিকা ধর। ৩৪ বছর বয়সী ওই নারী বাংলাদেশের চট্টগ্রামের বাসিন্দা। 

জিজ্ঞাসাবাদে ওই নারী পাচারকারী জানান, বাংলাদেশের চট্টগ্রামের বাসিন্দা সুমন ধর তাকে ওই স্বর্ণের বারগুলো দিয়েছেন। তার দায়িত্ব ছিল ভারতে পৌঁছানোর পরে, তিনি উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বারাসতের এক অজানা ব্যক্তির কাছে এই স্বর্ণের বারগুলো হস্তান্তর করবেন। পুরো কাজ করলে পারিশ্রমিক বাবদ ২ হাজার রুপির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল তাকে। কিন্তু তার আগে বিএসএফের হাতে ধরা পড়ে যান তিনি।

জীবনে এই প্রথম চোরাচালান করছেন বলেও জিজ্ঞাসাবাদে ওই নারী বিএসএফের কাছে জানিয়েছে।

আটক নারী পাচারকারীকে জব্দ স্বর্ণের বারসহ পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পেট্রাপোল শুল্ক বিভাগের হাতে হস্তান্তর করা হয়েছে।

এদিকে সীমান্তে একের পর এক বিপুল পরিমাণে স্বর্ণের বার উদ্ধারে ঘুম উড়েছে বিএসএফের। এ ব্যাপারে দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের জনসংযোগ কর্মকর্তা বলেন, সীমান্তে যেকোনো ধরনের নাশকতা এড়াতে বাহিনী সর্বদা প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। স্বর্ণ চোরাচালান ঠেকাতে এ সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য প্রদানের জন্য সীমান্তে বসবাসকারী মানুষদের বিএসএফ-এর সীমা সাথী হেল্পলাইন নম্বর ১৪৪১৯ ব্যবহার করার আহ্বান জানিয়েছে। এছাড়া দক্ষিণবঙ্গ সীমান্ত আরও একটি নম্বর ৯৯০৩৪৭২২২৭ জারি করেছে, স্বর্ণ চোরাচালান সংক্রান্ত তথ্য হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ বা ভয়েস মেসেজ করে পাঠানো যায়। সঠিক তথ্য প্রদানকারী ব্যক্তিকে উপযুক্ত পুরস্কারের অর্থ প্রদান এবং ওই ব্যক্তির পরিচয় গোপন রাখা হবে বলেও নিশ্চয়তা দেওয়া আছে বিএসএফের তরফে।

বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর