২ মে, ২০২৩ ১৭:৩৭

এনসিপি’র সভাপতি পদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিলেন শারদ পাওয়ার

দীপক দেবনাথ, কলকাতা

এনসিপি’র সভাপতি পদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিলেন শারদ পাওয়ার

শারদ পাওয়ার

ভারতের রাজনৈতিক দল ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টির (এনসিপি) সর্বভারতীয় সভাপতি পদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির সিনিয়র রাজনীতিবিদ শারদ পাওয়ার। নিজের আত্মজীবনী নিয়ে লেখা ‘লোক মাজে সঙ্গতি’ নামক একটি বইয়ের দ্বিতীয় সংস্করণের আনুষ্ঠানিক মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান ছিল মুম্বাইয়ে। মঙ্গলবার সেই অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন শারদ পাওয়ার।

আর সেখানেই এনসিপির সর্বভারতীয় সভাপতি পদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়ে তিনি বলেন, ১৯৬০ সালের ১ মে থেকে ২০২৩ সালের ১ মে পর্যন্ত দীর্ঘ সময় জনগণের জীবনের সাথে সম্পৃক্ত থাকার পর এখন পদত্যাগটা জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই এনসিপির সর্বভারতীয় সভাপতির পদ থেকে আমি পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

৮২ বছর বয়সী এই জ্যেষ্ঠ ভারতীয় রাজনীতিবিদকে বলতে শোনা যায়, তিনি আর নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন না। কারণ কয়েক দশক ধরে ভারতীয় রাজনীতিতে পদচারণ করার পর কোথাও না কোথাও থামতে হয়।

তিনি বলেন, রাজ্যসভায় আমার তিন বছরের মেয়াদ বাকি আছে। আমি এখন থেকে আর নির্বাচনে লড়ব না। এই তিন বছরে আমি রাজ্য (মহারাষ্ট্র) ও দেশ সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ে আরও বেশি করে মনোযোগ দেব। আমি কোনো অতিরিক্ত দায়িত্ব নেব না...একজনকে এতটা লোভী হওয়া উচিত নয়।

তবে সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিলেও তিনি যে এখনই রাজনীতি ছাড়ছেন না, তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন মহারাষ্ট্রের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী শারদ পাওয়ার।

দলের ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা, কৌশল নির্ধারণ ও দলের পরবর্তী সর্বভারতীয় সভাপতি পদের নির্বাচন স্থির করতে দলের সিনিয়র নেতাদের একটি কমিটিও ঘোষণা করেন তিনি। যেই কমিটিতে স্থান পেয়েছে প্রফুল্ল প্যাটেল, পিসি চাকো, অজিত পাওয়ার, সুপ্রিয়া সুলে (পাওয়ারের কন্যা), অনিল দেশমুখ, জয়ন্ত পাতিল, ছগন বুঝবল প্রমুখ।

আগামী বছর ২০২৪ সালে ভারতের লোকসভা নির্বাচন। এই নির্বাচনে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে একত্রিত করতে বড় ভূমিকা নিচ্ছিলেন শারদ পাওয়ার। ঠিক তার আগেই আচমকা তার এই পদত্যাগের ঘোষণা ক্ষোভের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে দলের ভেতরে। ইতিমধ্যেই তার এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন দলের অনেক নেতাকর্মী। অনেককেই বলতে শোনা যায়, শারদ পাওয়ার যদি তার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না করেন, তাহলে তারা ওই জায়গা ছেড়ে যাবে না।

ভারতের শতাব্দী প্রাচীন দল জাতীয় কংগ্রেস থেকে বহিষ্কারের পর ১৯৯৯ সালে এনসিপি গঠন করেন শারদ পাওয়ার। ৫৫ বছরের দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি বিধায়ক, সাংসদ ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দায়িত্ব সামলেছেন। ১৯৭৮ সালে মাত্র ৩৮ বছর বয়সে মহারাষ্ট্রের সর্বকনিষ্ঠ মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন তিনি।

বিডি প্রতিদিন/এমআই

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর