৯ জুলাই, ২০২৩ ০০:৪০

পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘিরে পশ্চিমবঙ্গে ব্যাপক সহিংসতা, নিহত ৩১

দীপক দেবনাথ, কলকাতা

পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘিরে পশ্চিমবঙ্গে ব্যাপক সহিংসতা, নিহত ৩১

ছবি : ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের

ব্যাপক সহিংসতার মধ্য দিয়েই শনিবার পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত নির্বাচন শেষ হলো। সহিংসতা, বোমা, গুলি, মৃত্যুর পরিসংখানে আগের সব নির্বাচনকেই কার্যত ছাপিয়ে গেল এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচন।

শেষবার ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোট সহিংসতায় মৃত্যু হয়েছিল ২৩ জনের। আর চলতি পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ভোটের দিন ঘোষণা থেকে শুরু করে শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত গত এক মাসে মৃত্যু হয়েছে ৩১ জনের। এর মধ্যে ভোটের দিনই প্রাণ গেছে ১৩ জনের। আহতের সংখ্যাও একাধিক। যদিও কোনো কোনো মহলের দাবি নিহতের সংখ্যা ৩৫।

নিহতদের মধ্যে যেমন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কর্মী, সমর্থকরা রয়েছে। তেমনি এক পঞ্চায়েত প্রার্থী এবং ভোটের লাইনে দাঁড়ানো এক ভোটারের প্রাণও গেছে। এদিন সকাল ৭ টায় শুরু হয় ভোট গ্রহণ পর্ব, শেষ হয় বিকেল ৫ টা পর্যন্ত। কিন্তু তার অনেক আগে থেকেই বিভিন্ন জেলায় শুরু হয়ে যায় সহিংসতা। আসতে থেকে একের পর এক মৃত্যুর ঘটনা। এর পাশাপাশি বুথ জ্যাম, ছাপ্পা ভোট, ভোটারকে ভয় দেখানো, নির্দল প্রার্থী ও তার সঙ্গীদের লক্ষ্য করে বন্দুক উঁচিয়ে ধাওয়া করা, ব্যালট বক্স ছিনিয়ে নেওয়া, ব্যালট বক্সে অগ্নি সংযোগ করা সহ রাস্তা অবরোধ সহ একাধিক অভিযোগ উঠেছে।

সবচেয়ে বেশি সহিংসতা ও মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে রাজ্যটির মুর্শিদাবাদ জেলায়। এই জেলায় সর্বাধিক পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে।

এছাড়া কোচবিহার ও পূর্ব বর্ধমান জেলায় ২ জন করে এবং মালদা, নদীয়া, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, উত্তর দিনাজপুর জেলায় একজন করে মৃত্যু হয়।

বিভিন্ন এলাকার সহিংসতার খবর

নদীয়ার শান্তিপুর ব্লকের গয়েশপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ভোলাডাঙ্গা ৮ এবং ৯ নম্বর বুথে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের সঙ্গে তৃণমূলের সংঘর্ষ। একাধিক কর্মীর মাথায় কোপ। রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি প্রায় বিশ জন।

হুগলী জেলার আরামবাগের আরাণ্ডি-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের সাতমাসা ২৭৩ বুথের নির্দল প্রার্থী জাহানারা বেগমের এজেন্ট কায়মুদ্দিন মল্লিককে গুলি করার অভিযোগ শাসকদের বিরুদ্ধে। ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।

পশ্চিম মেদিনীপুরে কোলাঘাট থানার বড়গাছিয়া ননীবালা বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী না থাকায় তালা মেরে ভোট বন্ধ করাসহ একাধিক অভিযোগ সামনে এসেছে।

ভোটের দিন সকালেই মুর্শিদাবাদ জেলার সামসেরগঞ্জের শুলিতলা এলাকায় ১৬ নম্বর বুথে সানাউল শেখ নামে এক তৃণমূল কর্মীকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। তার চিকিৎসা চলছে অনুপনগর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে।

উত্তর ২৪ পরগণা জেলার মোহনপুর পঞ্চায়েতের ১৪ নম্বর সংসদের স্বতন্ত্র প্রার্থী অভিজিৎ দাসকে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে ভয় দেখানোর অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এসময় কোনরকমে প্রাণ বাঁচিয়ে ফেরেন নির্দল প্রার্থী তার সঙ্গীরা।

এই জেলারই বারাসাতের কদম্বগাছি পঞ্চায়েতের পীরগাছা এলাকায় আবদুল্লা আলী নামে এক স্বতন্ত্র দলের সমর্থকের উপরে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। রাতেই তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় বারাসাত জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় আপাতত মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন তিনি। এই ঘটনার প্রতিবাদে সকালে টায়ার জ্বালিয়ে টাকি রোড অবরোধ করে সমর্থকেরা।  অশোকনগর সোলেমানপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৭৩ নম্বর বুথের ভোটকেন্দ্রে মুড়ি মুড়কির মতো বোমাবাজি হয়। বুথের গ্রিল ভেঙে ভোটের ব্যালট বাক্স লুট করে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তিনটে ব্যালট বাক্সই পানিতে ফেলে দেওয়া হয়। 

এই জেলার হাবড়া-২ নম্বর ব্লকের রাজিবপুর বিড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের রাজিবপুর এ.ভি হাই স্কুলের ৯২ নম্বর বুথের মধ্যে তৃণমূল এবং বিজেপির এজেন্টদের মধ্যে বচসা বাধে। আর সেই বচসা থামাতে গেলে তৃণমূল প্রার্থীর গালে কামড় দিয়ে বসলো বিজেপির পোলিং এজেন্ট। এমন ভাবে কামড়ানো হয়, যে কানের নিচে থেকে বেশ খানিকটা মাংস উঠে যায়।  তৃণমূল প্রার্থীর কানে সাতটি সেলাই দিতে হয়।  এই জেলার বাগদা গ্রাম পঞ্চায়েতের নওদা গ্রামের ৭৭ নম্বর বুথে তৃণমূলের সঙ্গে স্বতন্ত্র ও সিপিআইএমের সংঘর্ষ বাধে। অভিযোগ বাংলাদেশ থেকে দুষ্কৃতী এনে হামলা চালিয়েছে তৃণমূল৷ তৃণমূলের লোকেরা ব্যালট লুট করে অবাধে ছাপ্পা দেয়। তার প্রতিবাদ করায় দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে৷ আহত হয়েছে অন্তত ১৫ জন। অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।

দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ভাঙ্গড়ে বল ভেবে খেলতে গিয়ে বোমা বিস্ফোরণ ঘটে মারাত্মকভাবে জখম হয় দুই শিশু। তাদের বয়স যথাক্রমে ৭ ও ৮ বছর। ঘটনার পর প্রথমে স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হলে, পরে কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয়।

হুগলি জেলার খানাকুলে ভোট দিতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ এক নারী সহ তিন ভোটার। এদিন দুপুরের পর খানাকুলের নতিবপুরে বিহারীলাল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে ভোটের লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন তারা। এই সময় মুখে কালো কাপড় বেঁধে দুর্বৃত্তরা এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে থাকে বলে অভিযোগ। তাতেই আহত হয় তিন ভোটার।

কোচবিহার জেলার মাথাভাঙ্গায় ব্যালট বাক্স নিয়ে এক যুবকের দৌড়ে পালানোর ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। অল্প বয়সেই এক যুবক যেভাবে ব্যালট বাক্সে বুকে জড়িয়ে নিয়ে গ্রামের রাস্তা ধরে দৌড়াতে দেখা গেছে, তা যে কোন আন্তর্জাতিক মানের দৌড় প্রতিযোগিতাকেও হার মানাবে।

পশ্চিম মেদিনীপুরের গড়বেতায় একটি বুথে নিজের চোখের সামনে ভোট সহিংসতা দেখে ডিউটি থেকে অব্যাহতি চান এক পোলিং অফিসার। পুলিশের পা ধরে ওই পোলিং অফিসারকে আকুতি মিনতি করতে দেখা যায় যে তিনি ভোট করাতে পারবেন না।

জলপাইগুড়ি জেলার সদর ব্লকে করোলা ভ্যালি চা বাগানে ১৭/৩২ বুথে তৃণমূলের আশ্রিত দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সাহসী পদক্ষেপ নিতে দেখা যায় সিপিএমের নারী সদস্যের। নিজেদের গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যার হুমকি দেয়। বেগতিক পরিস্থিতি দেখে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়।

সহিংসতার মাত্রা এমন জায়গায় পৌঁছয়, যে এক প্রিসাইডিং অফিসারকে কেঁদে ফেলতে দেখা যায়। ঘটনাটি বীরভূম জেলার ময়ূরেশ্বরের ২ নম্বর ব্লকের ১০ নম্বর বুথের। এদিন ভোট শুরু হওয়ার কয়েক ঘন্টা পরেই একটি রাজনৈতিক দলের তরফে প্রায় অর্ধ শতাধিক কর্মী সমর্থক ঢুকে পড়েন। এরপরই দেদার ছাপ্পার অভিযোগ ওঠে। নিরাপত্তার জন্য আগে থেকে লাগানো ছিল সিসিটিভি। পরে সিসিটিভিতে ছাপ্পা ভোটের ভিডিও দেখে রীতিমতো কাঁদতে শুরু করে দেন নারী প্রিসাইডিং অফিসার।

বিজেপির প্রতিবাদ 

রাজ্যজুড়ে সহিংসতার ঘটনার প্রতিবাদে এদিন দুপুরে কলকাতায় রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সামনে বিক্ষোভ জানালো বিজেপি। কমিশনের অফিসের ভিতরে ঢুকে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে বিজেপির কর্মী সমর্থকরা। 

অন্যদিকে সহিংসতার ঘটনার প্রতিবাদে 'কালীঘাট চলো' (মুখ্যমন্ত্রী বাসভবন) ডাক দিয়েছেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা ও বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। তার বার্তা হাতে দলীয় পতাকা থাকুক বা না থাকুক, গণতন্ত্র রক্ষার স্বার্থে লড়াই চলবে। এদিন নন্দীগ্রামের একটি বুথে পঞ্চায়েত ভোট দেওয়ার পর সংবাদ সম্মেলন থেকে শুভেন্দু বলেন "এখন দুটি পথ খোলা রয়েছে। কালীঘাট চলো, সেখানকার ইঁটগুলো খুলে ফেলি। হয়তো দশ-বারোটা মানুষ মরবে, তাতেও আমি রাজি আছি। কিন্তু রাজ্যের বাকি ১০ কোটি লোক বেঁচে যাবে। আর দ্বিতীয়ত অবিলম্বে রাজ্যে ৩৫৫ কিংবা ৩৫৬ ধারা জারি করা।" তার অভিমত "আমি মমতার হাত থেকে বাংলাকে পরিত্রাণ দেওয়ার জন্যই মন্ত্রীত্ব ছেড়ে এখানে এসেছি। পতাকা ধরেই হোক কিংবা পতাকা ছেড়ে হোক গণতন্ত্র বাঁচাতে আমাকে যা করতে হয় করব।" 

কংগ্রেসের প্রতিবাদ 

একই অভিযোগ নিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশন অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখায়
দক্ষিণ কলকাতার কংগ্রেস কর্মীরা। তাদের দাবি নির্বাচন কমিশনারকে অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে।

রাজ্যপালের উদ্বেগ 

এদিকে রাজ্য জুড়ে একের পর এক ভোট সহিংসতার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। শনিবার ভোটের দিন উত্তর ২৪ পরগনা, নদীয়া সহ বিভিন্ন সন্ত্রাস কবলিত এলাকা ঘুরে দেখেন রাজ্যপাল। সাধারণ মানুষের অভাব অভিযোগ শুনে রাজ্যপালও খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেন। পরে ভোট সহিংসতা নিয়ে রাজ্যপাল বলেন "আমি আশা করি গোটা রাজ্যে যেন শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হয়। কিন্তু বিভিন্ন জায়গা থেকে মানুষ অভিযোগ জানিয়েছে প্রিসাইডিং অফিসার সহায়তা করছে না, দুর্বৃত্তরা ভোট দিতে বাধা দিচ্ছে, চারিদিকের চারিদিকে মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। সাধারণ মানুষের মনে মৃত্যু ভয় ঢুকেছে।" রাজ্যপাল আরো জানান "ব্যালটের মাধ্যমে নির্বাচন হওয়া উচিত বুলেটের মাধ্যমে নয়। আমি ভোটারদের অনুরোধ করব, তারা যেন বেরিয়ে এসে তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করে। আপনার একটা ভোট এই সমস্ত সমস্যার সমাধান করতে পারে।"

রাজ্য নির্বাচন কমিশনের প্রতিক্রিয়া 

আর ভোট শান্তিতে করার দায়িত্ব যার কাঁধে, সেই রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা পুরো দায় নিজের ঘাড় থেকে ঝেড়ে ফেললেন। সংবাদ সম্মেলন থেকে তিনি বলেন 'ফিল্ড থেকে আমাদের কাছে এখনো পর্যন্ত যা রিপোর্ট এসেছে তাতে ১২০০ থেকে ১৩০০ অভিযোগ এসেছে, এর মধ্যে ৬০০ অভিযোগের সমাধান করতে পেরেছি। তাতে দেখা যাচ্ছে তিন-চারটি জেলা থেকে বেশি সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে।'

এসময় তিনি আরো বলেন 'যেসব জেলায় সন্ত্রাসের ঘটনা ঘটছে সেখানকার স্থানীয় প্রশাসনের দায়িত্ব এই সন্ত্রাস আটকানোর। আমরা দায়িত্ব হল ব্যবস্থাপনা করার। আমরা সব ধরনের ব্যবস্থাপনা করেছি। তারপরেও কেউ কোন গ্যারান্টি দিতে পারবেনা যে কোথায় কে কাকে গুলি করে দেবে বা মেরে দেবে। আমরা সব ব্যবস্থাপনা রেখেছি যাতে সবাই ভোট দিতে পারে।'

বিএসএফের আইজির ক্ষোভ 

এদিকে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে নিয়ে এসে তাদের পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধা না দেওয়ার অভিযোগ তুলে কমিশনকে দায়ী করেছে বিএসএফ। রাজ্যের নির্বাচন কমিশনারকে বিএসএফ আইজি বুদাকোটির অভিযোগ, 'বহু জায়গায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর জন্য 'লজিস্টিক' নেই। অনেক ক্ষেত্রে বাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। চূড়ান্ত অব্যবস্থার জন্য দায়ী কমিশনই।

যদিও ক্ষমতাসীন শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য মুখপাত্র কুনাল ঘোষের দাবি ভোট শান্তিতেই হয়েছে। এদিন দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি বলেন ' উৎসবের মেজাজে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভোট হচ্ছে। তৃণমূল কংগ্রেসকে লক্ষ্য করে বিজেপি, সিপিআইএম এবং কংগ্রেস হামলা চালাচ্ছে। এখনও পর্যন্ত যে ২৭ জনের মৃত্যুর খবর বলা হচ্ছে, তার মধ্যে ১৭ জনই তৃণমূলের। বিরোধীরা আতঙ্কের বিপণন করতে বেরিয়েছে।'

উল্লেখ্য, এদিন গোটা রাজ্যে এক দফাতেই এই পঞ্চায়েত ভোট নেওয়া হয়। রাজ্যটির ২২ জেলার মধ্যে দার্জিলিং এবং কালিম্পং জেলায় দ্বিস্তরীয় ভোট (গ্রাম সভা, পঞ্চায়েত সমিতি) এবং বাকি জেলাগুলিতে ত্রিস্তরীয় (গ্রাম সভা, পঞ্চায়েত সমিতি, জেলা পরিষদ) ভোট নেওয়া হয়। 

এই নির্বাচনে গোটা রাজ্যে ভোট নেওয়া হয় মোট ৭৩,৮৮৭ আসনে। এরমধ্যে রয়েছে ৩৩১৭ টি গ্রাম সভার ৬৩,২২৯ আসন; ৩৪১ টি পঞ্চায়েত সমিতির ৯৭৩০ আসন; এবং ২২ জেলা পরিষদের ৯২৮ আসন।

প্রায় ২ লাখের বেশি প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারিত হয় এই ভোটে। ভোট গ্রহণের জন্য ৬১,৬৩৬ টি ভোট গ্রহণ কেন্দ্র খোলা হয়। মোট ভোটারের সংখ্যা ছিল ৫,৬৭,২১,২৩৪। 

এই নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দল তৃণমূল কংগ্রেসের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল বিজেপি, বামফ্রন্ট-কংগ্রেসের জোট প্রার্থীরা। কিছু আসনে কড়া চ্যালেঞ্জ দিতে পারে ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট (আইএসএফ)-এর প্রার্থীরাও। 

ভোট নেওয়া হয় ব্যালট পেপারে। এদিন সকাল থেকে ভোটের কেন্দ্রগুলিতে লম্বা লাইনও দেখা যায়।কিন্তু সবকিছুকে ছাপিয়ে সংবাদের শিরোনামে আসে সহিংসতা। আগামী ১১ জুলাই ভোট গণনা। ফলে আগামী দিনগুলিতেও যে ভোট কেন্দ্রিক সহিংসতা ও মৃত্যুর ঘটনা ঘটবে না তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।

বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর