১১ আগস্ট, ২০২৩ ২৩:৩২

ডেঙ্গু পরীক্ষার কিট পাচার করতে গিয়ে আটক দুই বাংলাদেশি যাত্রী

দীপক দেবনাথ, কলকাতা

ডেঙ্গু পরীক্ষার কিট পাচার করতে গিয়ে আটক দুই বাংলাদেশি যাত্রী

প্রতীকী ছবি

দেশে মারাত্মক আকার ধারণ করেছে ডেঙ্গু। লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা, বাড়ছে মৃত্যুও। সরকারি হাসপাতাল সহ বেসরকারি স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলিতে ডেঙ্গু পরীক্ষার লম্বা লাইন। এমন এক পরিস্থিতিতে ডেঙ্গু পরীক্ষার কিট পাচার করতে গিয়ে বিএসএফের হাতে আটক হলো দুই বাংলাদেশি যাত্রী।

শুক্রবার (১১ আগস্ট) বিএসএফ'এর তরফে এক বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বনগা পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে বাংলাদেশে যাওয়ার সময় বিএসএফ এক বাংলাদেশি যাত্রীকে আটক করে। এসময় তাকে তল্লাশির সময় তার ব্যাগ থেকে ২৪৩০ টি ডেঙ্গু পরীক্ষার কিট উদ্ধার করে ১৪৫ নম্বর ব্যাটালিয়নের বিএসএফ সদস্যরা। পরে ওই বাংলাদেশি যাত্রীকে গ্রেফতার করে বিএসএফ। 

ঢাকার রোমাতবাগ এলাকার বাসিন্দা গ্রেফতারকৃত অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম মোহাম্মদ আকরাম হোসেন। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বিএসএফ জানতে পারে ওই ব্যক্তি ঢাকার পল্টন বাজারের একটি সার্জিক্যাল দোকানে হিসাবরক্ষক হিসেবে কাজ করে। সার্জিক্যাল দোকানের মালিক সোহাগ নামে এক বাংলাদেশি ব্যক্তি ভারত থেকে বাংলাদেশে ডেঙ্গু কিট পাচার করার জন্য তাকে প্রস্তাব দেয়। বিনিময়ে সে প্রতিটি কিটের জন্য কমিশন হিসেবে ১৫ টাকা পাবে। দুই দিন আগে আইসিপি পেট্রাপোল হয়ে আকরাম ভারতে আসে। ভারতে আসার পর কলকাতার দমদমের বাসিন্দা বিমল পোদ্দারের কাছ থেকে এই ডেঙ্গুর কিটগুলি সংগ্রহ। কিন্তু আইসিপি পেট্রাপোলে বিএসএফ সদস্যরা তাকে সেখানে কিটসহ ধরে ফেলে।

অন্যদিকে একই দিনে ওই স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশে যাওয়ার সময় ৪০টি ডেঙ্গু পরীক্ষার কিটসহ আরো এক বাংলাদেশি যাত্রীকে আটক করে বিএসএফ। আটককৃত ওই ব্যক্তির নাম আব্দুল করিম। যশোরের তৌপিসে দেঙ্গার বাসিন্দা আবদুলও জানায় সে ওই কিট গুলি বনগাঁর স্থানীয় একটি মেডিক্যাল দোকান থেকে কিনেছিল। সে আরও জানায়, বাংলাদেশের বেনাপোল পৌঁছানোর পর সে সাইফুল ইসলাম নামে বেনাপোলের এক ব্যক্তির কাছে ওই সামগ্রী হস্তান্তর করতে যাচ্ছিল। কিটগুলি সফলভাবে পৌঁছে দেওয়ার পর সাইফুল ইসলামের কাছ থেকে তার ৪ হাজার বাংলাদেশি টাকা নেওয়ার কথা ছিল। সব মিলিয়ে মোট ২৪৭০ টি ডেঙ্গু পরীক্ষার কিট উদ্ধার করে বিএসএ। উদ্ধার হওয়া কিট গুলি পেট্রাপোল শুল্ক দফতরের হাতে তুলে দেয় বিএসএফ। 

এব্যাপারে বিএসএফ দক্ষিণবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের ডিআইজি, (জনসংযোগ) এ.কে আর্য জানান, বিএসএফ ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে চোরাচালান বন্ধ করতে কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে। এ কারণে এ ধরনের অপরাধের সঙ্গে জড়িতরা ধরা পড়ছে। বিএসএফ কোনো অবস্থাতেই তার ভূখণ্ড থেকে চোরাচালান হতে দেবে না।

বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর