২৫ আগস্ট, ২০২৩ ১৮:২১

যে কারণে বাংলা সিরিয়ালের চিত্রনাট্যকারদের এক হাত নিলেন মমতা

দীপক দেবনাথ, কলকাতা

যে কারণে বাংলা সিরিয়ালের চিত্রনাট্যকারদের এক হাত নিলেন মমতা

বাংলা সিরিয়ালের মান নিয়ে প্রশ্ন বহুদিনের। সামান্য টিআরপির জন্য নির্মাতারা যাচ্ছেতাই করেন বলেও অভিযোগ আছে। তবুও দিনের কাজ সেরে সন্ধ্যায় বাংলা সিরিয়ালে চোখ রাখেন অনেকেই। কারো কাছে এটা একরকম অভ্যাসই হয়ে গেছে বলা যায়। তবুও এই সিরিয়াল নিয়ে সমালোচনার অন্ত নেই। অনেকেই বলে থাকেন এসব সিরিয়াল ঘরে বাইরে নানা রকম কলহ টেনে আনে। কেউ আবার বলেন, সিরিয়ারের অনেক কিছুই চটকদার, অতিরঞ্জিত। কারো মতে, বাঙালির ঘরে অশান্তির অন্যতম কারণ এই সিরিয়াল। তবুও বুঁদ হয়ে থাকা বহু দর্শকই এই সিরিয়ালের আছে।

সেই আলোচিত-সমালোচিত বাংলা সিরিয়ালের মান নিয়ে এবার প্রশ্ন তুললেন খোদ পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। সেই সাথে সিরিয়ালের চিত্রনাট্যকারদেরও এক হাত নিয়েছেন তিনি।
 
কলকাতার ধনধান্য প্রেক্ষাগৃহে টেলি একাডেমি আওয়ার্ড অনুষ্ঠানে মমতা সিরিয়াল প্রসঙ্গে বলেন,  '...একটা জিনিস তো আপনাদের টেলিভিশনে থাকেই, একজনের তিনবার বিয়ে হচ্ছে। আর একটা কূটকাচালি থাকবেই। নেগেটিভ রোলও থাকবে। পজিটিভকে নেগেটিভ করে নিয়ে সিরিয়ালের টিআরপি বাড়িয়ে দেওয়া। যদি কেউ চলে যায় তাকে মেরে দেন- এসবও আমি বুঝতে পারি।' 

যদিও তার আগে কিছুটা প্রশংসাও শোনা যায় তার গলায়। ছোট পর্দার শিল্পী নির্মাতাদের উদ্দেশ্যে মুখ্যমন্ত্রী বলেন 'টেলিভিশন চ্যানেল মানুষের মনের দরজা। টেলিভিশন চ্যানেলের মধ্য দিয়ে আপনারা মানুষকে সচেতন করে তোলেন, সাম্প্রতিক ইসুগুলো নিয়ে মানুষকে সচেতন করে তোলেন, মানুষকে প্রাণবন্ত রাখেন, মানুষের মনে জাগরণ তৈরি করেন। গোটা বিশ্বে আমরা দেখেছি নিউজ চ্যানেল দেখেনা তার বদলে বিনোদনের চ্যানেল গুলো দেখে। তার কারণ জীবনের যে হারানো ঠিকানা এখান থেকেই  তারা খুঁজে পায়।' 

মমতার অভিমত 'ভুল ভ্রান্তি সবার মধ্যে থাকতেই পারে। কিছু কিছু অপরাধের দৃশ্য মানুষ নকল করে। ভালো জিনিস মানুষ ভুলে যায়। খারাপ জিনিসটাই বেশি মানুষ মনে রাখে।'  

মুখ্যমন্ত্রী নিজেও যে নিয়মিত বাংলা সিরিয়াল দেখেন তার প্রমাণ পাওয়া গেল তার কথায়। ইষ্টিকুটুম, অনুরাগের ছোঁয়া, নিম ফুলের মধু, গুড্ডি, গাঁটছড়াসহ একাধিক সিরিয়ালের নাম করে বললেন এই সিরিয়ালগুলোতে একেক জন খুব ভালো অভিনয় করছে। সেই সাথে রামপ্রসাদ সিরিয়ালে তো সব্যসাচীর কোন তুলনাই হয় না। 

উল্লেখ্য ২০১৪ সাল থেকে এই এই অনুষ্ঠান চলে আসছে। এ বছর মোট ৪১ টি ক্যাটাগরিতে ৬৬ জনকে সম্মান জানানো হচ্ছে। নিয়মিত পুরস্কারের পাশাপাশি এই যে এবছর আজীবনের স্বীকৃতি এবং মরণোত্তর স্বীকৃতিও দেওয়া হয় শিল্পীদের। 

 


বিডি প্রতিদিন/নাজমুল

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর