বাংলাদেশ থেকে স্বর্ণ পাচারের চেষ্টার সময় উদ্ধার করা হয়েছে ৬৯ লাখ রুপি মূল্যের স্বর্ণের বার। সেই সাথে এক সন্দেহভাজন চোরাকারবারিকে আটক করেছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।
শুক্রবার বিএসএফের তরফে এক বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে কাজ করে বৃহস্পতিবার বিএসএফ'এর দক্ষিণবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের ৮৬ ব্যাটালিয়নের সীমান্ত চৌকি বৈজনাথপুরের জওয়ানরা সোনা পাচারকারীদের প্রচেষ্টাকে ব্যর্থ করে এবং একজন সোনা চোরাকারবারিকে আটক করে। তার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ১০টি স্বর্ণের বার। জব্দ করা স্বর্ণের বারগুলির ওজন ১১৬৪৪,৭৫ গ্রাম যার আনুমানিক মূল্য ৬৯,০৬,৯৬৭ রুপি। চোরাকারবারিরা বাংলাদেশ থেকে ওই স্বর্ণের বার ভারতীয় সীমান্তে পাচার করার চেষ্টা করছিল।
বিএসএফ'এর বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বাহিনীর গোয়েন্দা শাখা পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার বৈজনাথপুর সীমান্ত চৌকি কোম্পানি কমান্ডারকে জানায়, কিছু চোরাকারবারি সীমান্ত চৌকি বৈজনাথপুর এলাকা থেকে স্বর্ণ পাচার করতে পারে। সেই তথ্য পাওয়ার সাথে সাথে কোম্পানি কমান্ডার অবিলম্বে জওয়ানদের সতর্ক করেন এবং একটি কুইক রিঅ্যাকশন টিম (কিউআরটি) গঠন করেন। রাত প্রায় ১১.৪০ নাগাদ ক্যাম্প ডিউটিতে থাকা জওয়ান তার দায়িত্বের এলাকায় কিছু সন্দেহজনক গতিবিধি অনুভব করেন। জওয়ান দেখেন, বাংলাদেশের দিক থেকে চোরাকারবারিরা কাঁটাতারের ওপর দিয়ে কিছু মালামাল ভারতের দিকে ফেলে দিচ্ছে। তা দেখে জওয়ান ততক্ষণাত ঘটনাস্থলের দিকে দৌড়ে পাচারকারীদের চ্যালেঞ্জ করেন। জওয়ানকে তাদের দিকে আসতে দেখে চোরাকারবারিরা বাংলাদেশের দিকে ছুটে যায়। একই সময়ে ভারত থেকে এক চোরাকারবারি ওই মালামাল তুলতে আসে। ঘটনাস্থলেই জওয়ানরা ওই অভিযুক্ত পাচারকারীকে ধরে ফেলে। একই সময়ে কোম্পানি কমান্ডারসহ কুইক রেসপন্স টিমও ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। এরপর ঘটনাস্থলে অভিযান চালিয়ে দুইটি প্যাকেট উদ্ধার করা হয়। সেই প্যাকেট থেকেই ১০টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়।২৫ বছর বয়সী গ্রেফতারকৃত ভারতীয় পাচারকারীর নাম রায়েল মন্ডল, পিতা আব্দুল মন্ডল। রাজ্যটির নদীয়া জেলার মারুটিয়া পুলিশ থানার অধীন বৈজনাথপুর গ্রামের বাসিন্দা রায়েল'কে আরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সীমান্ত চৌকিতে নিয়ে আসা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে চোরাকারবারি জানায়, বাংলাদেশের মেহেরপুর জেলার গাংনী থানার অন্তর্গত সোরতলা গ্রামের বাসিন্দা সিরাজ শেখের কাছ থেকে এই স্বর্ণের বারগুলি পেয়েছে। এরপর সেই বারগুলিকে নদীয়ায় তার গ্রামের বাসিন্দা ওমর মণ্ডলের বাবা চাঁদ মণ্ডলের হাতে তুলে দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল।
আটক চোরাকারবারিকে জব্দকৃত স্বর্ণের বিস্কুটসহ পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নদীয়া জেলার করিমপুরে কাস্টম অফিসের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল