২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ২২:২১

ক্লাব সদস্যদের হাতে বাংলাদেশের ইলিশ তুলে দিল কলকাতার ইন্দো-বাংলা প্রেসক্লাব

দীপক দেবনাথ, কলকাতা

ক্লাব সদস্যদের হাতে বাংলাদেশের ইলিশ তুলে দিল কলকাতার ইন্দো-বাংলা প্রেসক্লাব

দূর্গাপুজার সূচনা লগ্নে উৎসবে গা ভাসালো কলকাতার 'ইন্দো বাংলা প্রেস ক্লাব'। গতবারের মত এবছরও ক্লাবের প্রত্যেক সদস্যদের হাতে বাংলাদেশি ইলিশ তুলে দেয়া হলো। 

'বাংলার মিষ্টি, বাংলাদেশের ইলিশ' শীর্ষক অনুষ্ঠানে রবিবার বিকালে কলকাতার সিআইটি রোডে অবস্থিত ক্লাব প্রাঙ্গণে প্রত্যেক সদস্যর হাতে তুলে দেওয়া হয় বাংলাদেশের ইলিশ। সেই সাথে কলকাতার রসগোল্লা দিয়ে মিষ্টি মুখ করানো হয় সদস্যের। 

এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ক্লাবের সভাপতি কিংশুক চক্রবর্তী, সহ-সভাপতি সত্যজিৎ চক্রবর্তী, সম্পাদক শুভজিৎ পুততুন্ড, ক্লাবের মুখপাত্র দীপক দেবনাথ, আহ্বায়ক ভাস্কর সর্দারসহ ক্লাবের সকল সদস্যরা। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন তিন মেন্টর তপন রায়, পরিতোষ পাল এবং অমর সাহা। 

ক্লাবকে ইলিশ দিয়ে সহযোগিতা করেন বাংলাদেশের পটুয়াখালী-৪ আসনের আওয়ামী লীগের সাংসদ ও ক্লাবের সদস্য মহিব্বুর রহমান এমপি। 

এদিন ভার্চুয়ালি মাধ্যমে ঢাকা থেকে সংসদ সদস্য ক্লাবের সাফল্য কামনা করে বলেন, 'ইন্দো-বাংলা প্রেসক্লাবের সাথে দাঁড়াতে পেরে এবং সম্মানীয় সদস্য হতে পেরে আমি গর্বিত। উন্নত থেকে উন্নতর বাংলাদেশ গড়তে আমরা আশা করবো আপনারা সবাই আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাশে দাঁড়াবেন। আমি চাই ইন্দো-বাংলা প্রেসক্লাব এই দুই বাংলার সেতু বন্ধনের মাধ্যমে পরস্পরের আদান-প্রদান কাজ করবে। ভারত ও বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নে এই ক্লাব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলেও আসা ব্যক্ত করেন। 

তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে উন্নতর বাংলাদেশে পরিণত করেছে। তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। গণতন্ত্র পদ্ধতিতে তাকে সরাতে পারবে না বলেই বঙ্গবন্ধুর মত রাতের অন্ধকারে তাকেও সরানোর ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।

ইন্দো-বাংলা প্রেসক্লাবের মুখপাত্র দীপক দেবনাথ বলেন, গত বছরের মতো এ বছরও আমাদের ক্লাবের সকল সদস্যদের হাতে রূপালী ইলিশ তুলে দেওয়া হয়। ইলিশ পেয়ে সদস্যরাও সন্তোষ প্রকাশ করেন। প্রতি বছরই ইলিশ উৎসবটা বিশেষভাবে পালন করা হয়, এ বছরও তার ব্যতিক্রম হয়নি। এর পাশাপাশি মিষ্টিমুখ করানো হয়। 

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ইন্দো-বাংলা প্রেসক্লাবের প্রত্যেক সদস্যরা নিজেদের মধ্যে মতবিনিময় করা ছাড়াও সেখানে উঠে আসে নানা প্রসঙ্গ। 

কনভেনার ভাস্কর সরদার বলেন, ইন্দো-বাংলা প্রেসক্লাবের দুই দেশের সমন্বয়ে আমাদের এই কলকাতা প্রেসক্লাব তৈরি হয়। সেখানে বাংলাদেশের গণমাধ্যমের যারা কলকাতার প্রতিনিধি তারা সকলে মিলে একটা ইলিশ উৎসবে মাতলো, আর এই ইলিশ উৎসবে আমরা নাম দিয়েছিলাম 'বাংলার মিষ্টি ও বাংলাদেশের ইলিশ। 

এই ইলিশ উৎসবে নিয়ে ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শুভজিৎ শুভজিৎ পুততুন্ডু বলেন, 'প্রতি বছরের ন্যায় এ বছর ছাড়াও আগামী দিনেও আমরা ইলিশ উৎসব চালিয়ে যেতে চাই। ইন্দো বাংলা প্রেসক্লাবের যত সদস্য আছে তাদের সকলের হাতে বাংলাদেশের এই উপহার তুলে দিতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। আমারা দুই দেশের সঙ্গে সেতুবন্ধনের কাজ করি।'

বিডি প্রতিদিন/আরাফাত

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর