১৪ নভেম্বর, ২০২৩ ০৮:৩৮

স্ত্রী কানের দুল বিক্রি করতে বলায় ‘লজ্জা’য় আত্মহত্যা যুবকের!

অনলাইন ডেস্ক

স্ত্রী কানের দুল বিক্রি করতে বলায় ‘লজ্জা’য় আত্মহত্যা যুবকের!

প্রতীকী ছবি

ঘটনাটি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়া এলাকার। সেখানকার যুবক প্রবীর হাজরা আত্মহত্যা করেছেন। তবে তার আত্মহত্যার পেছনের কারণ বড়ই বেদনায়ক। স্ত্রীর কাছে লজ্জায় মুখ দেখাতে না পেরেই তিনি আত্মহত্যা করেছেন দাবি পরিবারের সদস্যদের।

জানা গেছে, বাড়ির ইটের গাঁথুনি প্লাস্টার করার প্রয়োজন ছিল। সেজন্য অর্থের প্রয়োজন ছিল। পেশায় রঙ মিস্ত্রি প্রবীর তাই বেসরকারি ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়েছিলেন। কিন্তু সেই ঋণ শোধ করতে না পারায় আত্মহত্যা করে বসেন মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়ার ওই যুবক। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

পরিবার সূত্রে খবর, বাড়ি সারানোর জন্য দুই বছরে শোধ করার শর্তে এক লাখ রুপি ঋণ নিয়েছিলেন প্রবীর। ১৩ মাস ধরে সেই ঋণ শোধ করছিলেন। কিন্তু পুজার পর থেকে প্রবীরের রোজগার বলতে আর কিছুই ছিল না। 

মৃতের স্ত্রী পম্পা হাজরা বলেন, “২ হাজার রুপি করে ঋণ শোধ করতে গিয়ে কানের দুল বন্ধক রাখতে হয়েছে। মাসিক কিস্তিতে কেনা হয়েছিল মোটরবাইক। কীভাবে ঋণের বাকি কিস্তি শোধ করা যায় তা নিয়ে রবিবার আমার সঙ্গে আলোচনাও করে। তখন বন্ধক রাখা দুল দু’টি বিক্রি করার পরামর্শ দিয়েছিলাম। কিন্তু তারপর ও কী করল…,” বলতে গিয়ে কেঁদে ফেলেন তিনি।

পরিবারের লোকজন জানান, সোমবার নিজের ঘরে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন প্রবীর। স্ত্রী, বাবা-মা ছাড়াও বছর তিনেকের একটি ছেলে রয়েছে প্রবীরের। 

মৃতের বাবা রবি হাজরা বলেন, “এক সঙ্গে দুটি ঋণ টানতে পারছিল না। আমার কাছে হয়তো লজ্জায় ঋণের অর্থ চাইতে পারছিল না। শেষে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করলো ছেলে।”

দীর্ঘশ্বাস ফেলে বৃদ্ধ বলেন, “গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঘরের ভেতর থেকে ওকে উদ্ধার করে হরিহরপাড়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু চিকিৎসকেরা ওকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।”

প্রবীরের আকস্মিক মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে ওই এলাকায়। হরিহরপাড়া থানার পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মুর্শিদাবাদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। এরই মধ্যে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে স্থানীয় পুলিশ। সূত্র: আনন্দবাজার

বিডি প্রতিদিন/আজাদ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর