শিরোনাম
৩১ ডিসেম্বর, ২০২৩ ২২:৫৩

পশ্চিমবঙ্গ প্রতিষ্ঠা দিবস পহেলা বৈশাখে, রাজ্য সংগীত 'বাংলার মাটি, বাংলার জল'

কলকাতা প্রতিনিধি

পশ্চিমবঙ্গ প্রতিষ্ঠা দিবস পহেলা বৈশাখে, রাজ্য সংগীত 'বাংলার মাটি, বাংলার জল'

'পহেলা বৈশাখ' দিনটিই পালন করা হবে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য দিবস (স্টেট ডে) হিসাবে। যার নামকরণ করা হয়েছে 'বাংলা দিবস'। আগামী বছরগুলিতে এই নামেই পালিত হবে দিনটি। 

একই সাথে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা 'বাংলার মাটি, বাংলার জল, বাংলার বায়ু, বাংলার ফল...' কে রাজ্যসঙ্গীত (স্টেট সং) করারও ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। 

রবিবার রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে এই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। রাজ্যের মুখ্যসচিব এইচ কে দ্বিবেদির স্বাক্ষরিত ওই নির্দেশিকায় জানানো হয় 'পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের সমৃদ্ধ গৌরব, সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যকে বিবেচনা করে 'বাংলা দিবস' এবং 'রাজ্য সংগীত' ঘোষণার প্রয়োজনীয়তা অনুভূত হয়েছে। প্রতি বছর পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত মানুষ সম্মান ও মর্যাদার সাথে রাজ্য দিবস উদযাপন করবে।' 

বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়েছে, 'রাজ্য সংগীত বাজানোর আনুমানিক সময় হল ১ মিনিট ৫৯ সেকেন্ড। এবার থেকে বাধ্যতামূলকভাবে রাজ্যের সব সরকারি অনুষ্ঠানের শুরুতে 'রাজ্য সঙ্গীত' এবং ওই অনুষ্ঠানের শেষে 'জাতীয় সঙ্গীত' যথাযথ সম্মানের সাথে বাজানো হবে। 'রাজ্য সঙ্গীত' এবং 'জাতীয় সঙ্গীত' বাজানোর সময় সমবেত ভাবে সকলকেই দাঁড়াতে হবে এবং এই দুই সংগীত গাওয়াতে সকল ব্যক্তিদের মনোযোগ বাড়ানোর দিকে জোর দিতে হবে। 

উল্লেখ্য গত সেপ্টেম্বর মাসে রাজ্য বিধানসভায় 'রাজ্য দিবস' ও 'রাজ্য সংগীত' সম্পর্কিত দুইটি প্রস্তাবই পাস হয়। রাজ্যের প্রতিষ্ঠা দিবস হিসেবে 'পহেলা বৈশাখ' হিসাবে বেছে নেওয়ার কারণ হিসেবে মুখ্যমন্ত্রী সেসময় জানান 'বাংলার ক্যালেন্ডারে যে প্রথম দিনটা রয়েছে তা হল পহেলা বৈশাখ। এদিন হালখাতার মধ্যে দিয়ে মানুষ তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠা করে, শুভ কাজের উদ্বোধন করে। সেই পহেলা বৈশাখ দিনটিকে আমরা পশ্চিমবঙ্গ দিবস দিবস হিসেবে ঘোষণা করতে চাই। তাছাড়া সাহিত্যিক, ক্রীড়াবিদ, বিদ্বজন, সাংবাদিক, হিন্দু মহাসভা, ইমাম অ্যাসোসিয়েশন সহ সমাজের সর্বস্তরের মানুষও পহেলা বৈশাখকেই 'পশ্চিমবঙ্গ দিবস' হিসাবে রাখার প্রস্তাব রেখেছেন।'

অন্যদিকে রাজ্যের সংগীত হিসেবে 'বাংলার মাটি, বাংলার জল'কে বেছে নেওয়া কারণ হিসেবে মমতা ব্যানার্জি জানান 'বাংলার একটা নিজস্ব সংগীত থাকা উচিত, যেটা অন্য রাজ্যেরও আছে। আমরা অনেক চিন্তাভাবনা 'রাখি বন্ধন'কে মর্যাদা দিয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর যে গানটি লিখেছিলেন... 'বাংলার মাটি, বাংলার জল' তাকেই রাজ্য সঙ্গীত করার সিদ্ধান্ত নিচ্ছি। সকলের মতামত নিয়েই এটাই সিদ্ধান্ত হয়েছে। আমরা মনে করি যে এমন একটা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা উচিত যেটা মানুষের মনে প্রাণে লেগে আছে।'

বিডি প্রতিদিন/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর