শুক্রবার, ১৭ মে, ২০১৩ ০০:০০ টা
১৪ দলের বৈঠকে সিদ্ধান্ত

সংসদের বাইরে আলোচনা নয়

নির্বাচনকালীন সরকার ব্যবস্থা নিয়ে সংসদের বাইরে কোনো আলোচনায় বসবে না ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দল। প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া সংলাপের প্রস্তাব সরকারের দুর্বলতা ভেবে সরকার পতনের আলটিমেটাম দেওয়ায় সংলাপের পরিবেশ নষ্ট হয়ে গেছে। তাই তাদের আর কোনো আনুষ্ঠানিক চিঠি দেওয়ার দরকার নেই। গতকাল রাতে গণভবনে কেন্দ্রীয় ১৪ দলের বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বৈঠক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। বৈঠক সূত্র জানায়, বিরোধী দলের সরকারবিরোধী আন্দোলন মোকাবিলায় কঠোর হবে সরকার। আগামীতে যে কোনো ধরনের নৈরাজ্য বরদাস্ত করবে না। নৈরাজ্য করলেই ব্যবস্থা। গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে জোটের নেতারা এ পরামর্শ দেন। প্রধানমন্ত্রী জবাবে বলেছেন, বিরোধী দলকে আনুষ্ঠানিক কোনো চিঠি দেওয়া হবে না। তাদের যা বলার সংসদে এসে বলতে হবে। সংলাপের পক্ষে নিজেদের অবস্থানের কথা জানিয়ে আলাদা বক্তব্যে ১৪ দলের নেতারা বলেছেন, গণতন্ত্র টিকিয়ে রাখতে সংলাপের বিকল্প নেই। তবে বিরোধী দল যেহেতু সংলাপের আহ্বানে সাড়া না দিয়ে আলটিমেটামের মাধ্যমে সংঘর্ষের পথ বেছে নিয়েছে তাই তাদের আর কোনো আনুষ্ঠানিক চিঠি দেওয়ার দরকার নেই। ২ মে প্রধানমন্ত্রীর সংলাপে বসার আহ্বানের পর ৪ মে বিএনপির আলটিমেটামের কারণে সংলাপের পরিবেশ নষ্ট হয়ে গেছে বলে মনে করেন তারা। জোটের নেতাদের বক্তব্যের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তাদের তো সংলাপে বসার প্রস্তাব দেওয়াই আছে। আগে রাজি হোক তারপর চিঠি। তিনি বলেন, চিঠি দেওয়ার বিষয়ে আমাদের কোনো ফোরামে আলোচনা হয়নি। সূত্র জানায়, আগামী জাতীয় নির্বাচন সংবিধানের আলোকে গণতান্ত্রিক উপায়ে সম্পন্ন করার তাগিদ দেওয়া হয়েছে জোট নেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। তারা বলেছেন, কোনোভাবেই অনির্বাচিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থায় ফিরে যাওয়া যাবে না। সূত্র জানায়, আগামী চার সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের চার প্রার্র্থীকে সমর্থন দিয়েছে ১৪ দল। তবে তারা বলেছেন, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হতে হবে। এর জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বর্তমান সরকার কোনো কারচুপির নির্বাচন করেনি। আমরা ভোট চুরির রাজনীতি করি না। তবে আপনাদের সর্বাত্দক মাঠে থেকে সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ১৪ দলের প্রার্থীকে বিজয়ী করে আনতে হবে।

সর্বশেষ খবর