শুক্রবার, ১৭ মে, ২০১৩ ০০:০০ টা

আইটি খাতের উন্নয়নে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার

প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জ্ঞানভিত্তিক গণতান্ত্রিক সমাজ বিনির্মাণে তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিতের বিকল্প নেই। এ জন্য তার সরকার টেলিযোগাযোগ ও আইসিটির উন্নয়নে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য-প্রযুক্তি বিশ্বব্যাপী আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের অন্যতম উপকরণে পরিণত হয়েছে। এ জন্য জ্ঞানভিত্তিক গণতান্ত্রিক সমাজ বিনির্মাণে তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিতের বিকল্প নেই। বাসস। তিনি গতকাল সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে 'বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস-২০১৩' উদ্বোধনকালে এ কথা বলেন। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য হচ্ছে_ 'আইসিটি'স অ্যান্ড ইমপ্রুভিং রোড সেফটি'। এই প্রতিপাদ্যের মূল লক্ষ্য হচ্ছে উন্নত তথ্য-প্রযুক্তি পদ্ধতি প্রয়োগ করে নিরাপদ সড়ক ব্যবস্থা গড়ে তোলা। যাত্রী, পথচারী ও গাড়িচালকের সচেতনতা বাড়াতে তথ্য-প্রযুক্তির সুবিধাগুলো কাজে লাগানো। প্রধানমন্ত্রী মনে করেন যে, এ ধরনের সচেতনতা বৃদ্ধিমূলক কর্মসূচি বিশ্বব্যাপী সড়ক দুর্ঘটনা কমাতে অবদান রাখবে। ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় আয়োজিত একই মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী সাহারা খাতুনের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন এই মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত জাতীয় সংসদে স্থায়ী কমিটির সভাপতি আবদুস সাত্তার। এতে আরও বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান সুনীল কান্তি বোস ও আয়োজক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব দিলীপ কুমার দাস। প্রধানমন্ত্রী বলেন, তথ্য-প্রযুক্তি সুশাসন প্রতিষ্ঠা, দারিদ্র্য হ্রাস, লিঙ্গবৈষম্য দূরীকরণ, সম্পদের সুষম বণ্টন এবং রাষ্ট্রীয় মৌলিক সেবাসমূহ প্রত্যন্ত অঞ্চলে পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে অপার সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিয়েছে। তিনি বলেন, তার দলের নির্বাচনী অঙ্গীকার ২০২১ সালের মধ্যে তথ্য-প্রযুক্তিভিত্তিক ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বর্তমান সরকার তথ্য-প্রযুক্তিকে থ্রাস্ট খাত হিসেবে ঘোষণা করে আইসিটি আইন ও আইসিটি নীতিমালা-২০০৯ প্রণয়ন করেছে। ইতোমধ্যে এ খাতে বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্টের পাশাপাশি ইন্টারনেট ও অন্যান্য তথ্য-প্রযুক্তি সেবা গ্রাম পর্যন্ত সম্প্রসারিত হয়েছে। দেশের প্রতিটি ইউনিয়নে ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির আলোকে ইউনিয়ন, তথ্যসেবা কেন্দ্র স্থাপিত হয়েছে। গ্রামের জনগোষ্ঠী এখন এসব সেবা কেন্দ্র থেকে বিভিন্ন সরকারি ফর্ম, নোটিস, পাসপোর্ট ও ভিসা সংক্রান্ত তথ্য, চাকরির খবর, নাগরিকত্ব সনদপত্র, পাবলিক পরীক্ষার ফলাফল, বিদেশে চাকরির জন্য রেজিস্ট্রেশনসহ ২২০টি সেবা পাচ্ছেন। এ সঙ্গে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ব্যাংকিং, কৃষিজমির মাটি পরীক্ষা ও সারের সুপারিশ, বিদ্যুৎ ও অন্যান্য ইউটিলিটি বিল পরিশোধ, ট্রেনের টিকিট, জমির পর্চা ঘরে বসেই পাওয়া যাচ্ছে। এতে অনেক যুবকের কর্মসংস্থান হয়েছে। এ ছাড়াও ধাপে ধাপে ৭০০ ধরনের ই-সেবা প্রদানের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

সর্বশেষ খবর