শুক্রবার, ১৭ মে, ২০১৩ ০০:০০ টা

এবারও ফলের ভিত্তিতে কলেজে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু আজ

আজ থেকে সারা দেশের কলেজসমূহে একাদশ শ্রেণীতে শিক্ষার্থী ভর্তির কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণীতে ভর্তির একটি নীতিমালা গত বৃহস্পতিবার জারি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। নীতিমালায় বলা হয়েছে, ভর্তির জন্য এবারও কোনো বাছাই পরীক্ষা হবে না। কেবল শিক্ষার্থীর এসএসসি বা সমমান পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে ভর্তি করা হবে। ১৮ মে থেকে ৬ জুন পর্যন্ত আবেদন বা এসএমএস গ্রহণ করা হবে। তবে পুনঃ নিরীক্ষণের ক্ষেত্রে যাদের ফল পরিবর্তন হবে তাদের জন্য ভর্তির আবেদন নেওয়া হবে ১০ জুন। ১৬ জুন ভর্তির জন্য মনোনীত তালিকা প্রকাশ করা হবে। ৩০ জুন পর্যন্ত বিলম্ব ফি ছাড়া ভর্তি ও ১১ জুলাই পর্যন্ত বিলম্ব ফিসহ ভর্তি হওয়া যাবে। ১ জুলাই থেকে শুরু হবে একাদশ শ্রেণীর ক্লাস। নীতিমালায় আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ২০১১, ২০১২ ও ২০১৩ সালে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরাই ভর্তির যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন। দেশের সরকারি বেসরকারি সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই এ নীতিমালা মানতে হবে। কোনো প্রতিষ্ঠান নীতিমালার ব্যত্যয় ঘটালে বেসরকারি কলেজের পাঠদানের অনুমতি বা স্বীকৃতি বাতিলসহ কলেজটির এমপিও বাতিল করা হবে এবং সরকারি কলেজের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রকাশিত নীতিমালা অনুযায়ী জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর ক্ষেত্রে সব বিষয়ের ওপর সর্বোচ্চ ৪৩ পয়েন্ট ধরে জিপিএ ভিত্তিতে মেধাক্রম নির্ধারণ করা হবে। বিজ্ঞান বিভাগে সমান পয়েন্ট অর্জনের বিষয় নিষ্পত্তির জন্য সাধারণ গণিত অথবা উচ্চতর গণিত/জীববিজ্ঞানে প্রাপ্ত জিপিএ ভিত্তিতে মেধাক্রম নির্ধারণ করা হবে। এর পরের প্রার্থী বাছাইয়ে জটিলতা হলে পর্যায়ক্রমে ইংরেজি, পদার্থ ও রসায়ন বিজ্ঞানে প্রাপ্ত জিপিএ বিবেচনায় আনতে হবে। একইভাবে মানবিক ও বাণিজ্য বিভাগের ক্ষেত্রে পর্যায়ক্রমে ইংরেজি, গণিত ও বাংলা বিষয়ের গ্রেড পয়েন্ট বিবেচনা করা হবে। তবে নীতিমালায় যাই থাকুক না কেন স্কুল অ্যান্ড কলেজের নিজস্ব প্রতিষ্ঠান থেকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী প্রতিষ্ঠান নির্ধারিত যোগ্যতা থাকা সাপেক্ষে স্ব স্ব বিভাগে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ভর্তির সুযোগ পাবেন। প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব শিক্ষার্থীদের ভর্তি নিশ্চিত করেই অবশিষ্ট শূন্য আসনে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। তা ছাড়াও নারীশিক্ষার সম্প্রসারণে প্রত্যন্ত অনগ্রসর অঞ্চলে সহশিক্ষার কলেজে ও প্রয়োজনে ছাত্রীদের জন্য ১০ ভাগ কোটা সংরক্ষণ করা যাবে। কলেজ কর্তৃপক্ষকে ভর্তি সংক্রান্ত তথ্য ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে। ৩০০ শিক্ষার্থীর বেশি শিক্ষার্থী ভর্তি করানোর অনুমতি আছে এমন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বোর্ডসমূহ অনলাইনে ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করবে। তবে ৫০০ জনের বেশি হলে অবশ্যই অনলাইনে ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। ভর্তি-ইচ্ছুক প্রার্থীদের কাছ থেকে আবেদন ফরম ও ভর্তি ব্যবস্থাপনা ব্যয় বাবদ ১২০ টাকা নগদে বা এসএমএসের মাধ্যমে নেওয়া যাবে। ভর্তির সময় শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক অনুমোদিত রেজিস্ট্রেশন ফি ১২০ টাকা, ক্রীড়া ফি ৩০ টাকা, রোভার স্কাউট/গার্লস গাইড ফি ১৫ টাকা, রেডক্রিসেন্ট ফি ২০ টাকা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফি সাত টাকা, শাখা/বিষয় পরিবর্তন ফি ২৫ টাকা নেওয়া যাবে। এ ছাড়া পাঠবিরতি ফি ১০০ টাকা ও বিলম্ব ভর্তি ফি ৫০ টাকা। এ ছাড়া বার্ষিক ক্রীড়া মঞ্জুরি ফি (প্রতিষ্ঠান প্রতি) ২০০ টাকা। বিভাগীয় শহর ব্যতীত অন্যান্য জেলা শহরের কলেজগুলোতে ৯০ ভাগ আসন সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে এবং অবশিষ্ট ১০ ভাগ আসনের মধ্যে ৩ ভাগ সংশ্লিষ্ট জেলা শহরের বাইরের কলেজগুলোতে শিক্ষার্থীদের জন্য, অবশিষ্ট ৫ ভাগ মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য এবং অবশিষ্ট দুই ভাগ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধস্তন দফতরসমূহ এবং স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মকর্তা/কর্মচারী এবং গভর্নিং বডির জন্য সংরক্ষিত থাকবে। ৯০ ভাগ আসনে বিভাগীয় বা জেলা শহরের বাইরের কোনো শিক্ষার্থী নির্বাচিত হওয়ার ক্ষেত্রে কোনো বাধা থাকবে না।

সর্বশেষ খবর