শুক্রবার, ১৭ মে, ২০১৩ ০০:০০ টা
বাজার দর

বেড়েছে ডাল ও পিয়াজের দাম

বেড়েছে ডাল ও পিয়াজের দাম
রাজধানীর নিত্যপণ্যের বাজারে বিভিন্ন ধরনের ডাল ও পিয়াজের দাম বাড়ছেই। এ দুটি পণ্য সাত দিনের ব্যবধানে কেজিতে দুই থেকে পাঁচ টাকা বেড়েছে। কমেছে চালের দাম। মানভেদে চালের দাম কেজিতে এক থেকে দুই টাকা কমেছে। বেশির ভাগ সবজির দাম গত সপ্তাহের মতো স্থিতিশীল রয়েছে। মানভেদে বিভিন্ন ধরনের ডাল ও পিয়াজের দাম রমজানকে সামনে রেখে এরই মধ্যে বাড়ছে। আগামী দিনগুলোতে এর দাম আরও বাড়তে পারে বলে পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন। বলেছেন, এখনই লাগাম ধরে টেনে না ধরলে এ দুটি পণ্য সিন্ডিকেটের কব্জায় চলে যাবে। গতকাল রাজধানীর হাতিরপুল বাজার ও গুলশান ১ নম্বর সিটি করপোরেশন মার্কেট ঘুরে পাওয়া গেছে এসব তথ্য। ছুটির দিনে হাতিরপুল বাজারে দেখা গেছে, মসুর ডাল কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে ৯৮-১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া দেশি ও ভারতীয় পিয়াজ যথাক্রমে ৩২-৩৪ ও ২৮-৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ বিষয়ে হাতিরপুল বাজারের পাইকারি ব্যবসায়ী জামাল উদ্দীন বলেন, রাজনৈতিক অস্থিরতা ও ঘূর্ণিঝড় মহাসেনের জন্যই এমনটা হয়েছে। বাজার করতে আসা ব্যাংক কর্মকর্তা ফারুক হোসেন বলেন, কোনো কারণ ছাড়াই চলতি সপ্তাহে কাঁচা মরিচ, ডাল ও পিয়াজের দাম কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। খোলা বাজারে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ৫০-৬০ আর মসুর ডাল ১০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এ ছাড়া এ বাজারে আলু মানভেদে প্রতি কেজি ১৪-১৫, টম্যাটো ১৮-২২, পটোল ২৫-৩০, শিম ৫০, বেগুন ২৫-৩০, বরবটি ২৫-৩০, শসা ১৫-২০, চিচিঙ্গা ৩৫-৪০, গাজর ২০, লতি ৩৫-৪০, কাঁচা পেঁপে ৬০, কাঁকরোল ৩৫, ঝিঙ্গা ৩০, করলা ৩৫-৪০ এবং কাঁচা আম ৪০ ও ছোট আকারের মিষ্টি কুমড়া ৩০-৩৫ টাকায় বিক্রি হয়। গুলশান ১ নম্বর ডিসিসি মার্কেটের সবজি বিক্রেতা আলমগীর হোসেন বলেন, গ্রীষ্মকালীন সবজি অল্প কিছু দিনের মধ্যে পুরোদমে বাজারে এলে পটোল, লাউ, কচু, করলা, লতিসহ কিছু সবজির দাম আরও কমবে। মাছের বাজারে গিয়ে দেখা গেছে দাম আকাশছোঁয়া। প্রতিটি মাছের দাম হাঁকা হচ্ছে দ্বিগুণেরও বেশি। বিক্রেতাদের দাবি, রাজনৈতিক কর্মসূচি ও ঘূর্ণিঝড় মহাসেনের প্রভাবে দাম বাড়ছে। সরবরাহও নেই। খোলা বাজারে রুই (দেশি) ৩০০-৩৫০, কাতল ২৫০-২৮০, পাবদা ৭০০, রূপচাঁদা ৭৫০, ইলিশ (ছোট) ৫০০, মাঝারি ৭০০ ও বড় সাইজের কেজি বিক্রি হয়েছে ১২০০-১৫০০ টাকায়। দেশি কৈ এক কুড়ি ৪০০-৫০০। এ ছাড়া পুঁটি ১৮০-২২০, বেলে (ছোট) ৪৫০, বড় ৫৫০, চিংড়ি (ছোট) ৩২০, মাঝারি ৫০০, বড় গলদা চিংড়ি বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ৮৫০ টাকায়। তা ছাড়া প্রতি কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে ব্রয়লার মুরগি ১৬৫-১৭০ টাকায় বিক্রি হয়। মাঝারি আকারের একটি পাকিস্তানি মুরগির দাম ১৮০-২০০ টাকা হাঁকেন বিক্রেতারা। দেশি মুরগির কেজি ৩০০-৩২০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। গরুর মাংসের কেজি ২৯০ আর খাসির ৪৫০ টাকা। এ ছাড়া গত সপ্তাহের মতো ডিমের হালি ৩৫-৩৬ টাকায় বিক্রি হয়েছে। গুলশান সিটি করপোরেশন মার্কেটে দেখা গেছে, সব ধরনের চালের দাম কমেছে। নতুন মিনিকেট ৩৮-৪০, পুরনো ৪২-৪৪, নাজিরশাইল ৪২, বাসফুল ৪৪, হাসকি ৩২-৩৪, স্বর্ণাগুটি (মোটা চাল) ৩০-৩১ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।

সর্বশেষ খবর