শুক্রবার, ২৮ জুন, ২০১৩ ০০:০০ টা

থামছে না গুলশান লেকের দখল

থামছে না গুলশান লেকের দখল

থামছে না গুলশান লেকের দখল-দূষণ। দখলে-দূষণে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে লেকটি। প্রতিদিনই টনে টনে ময়লা পড়ছে। অন্যদিকে চলছে দখলের প্রতিযোগিতা। বাঁশের খুঁটি গেড়ে, ঘর বানিয়ে লেকের বিভিন্ন স্থান দখল হচ্ছে প্রতিনিয়ত। মাঝে-মধ্যে উদ্ধার কাজ চললেও বন্ধ করা যাচ্ছে না দখল ও দূষণের তাণ্ডব। উচ্চ আদালত লেক দখল ও দূষণমুক্ত রাখতে একাধিকবার সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে সতর্ক করলেও তা কার্যকর হচ্ছে না। গুলশান লেক স্থায়ীভাবে দখলমুক্ত করতে লেকের দুই পাড়ে ওয়াকওয়ে করার উদ্যোগ গ্রহণ করে রাজউক। যা এখনো শুরু হয়নি। নগর বিশেষজ্ঞ ও পরিবেশবাদীদের পরামর্শ ওয়াকওয়ে করে কঠোর মনিটরিং ব্যবস্থা চালু করলে অভিজাত আবাসিক এলাকা গুলশানের প্রাণ 'গুলশান লেকটি' বেঁচে থাকবে। অন্যদিকে লেক পরিবেশবান্ধব হিসেবে গড়ে তুলতে বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নিয়েছে রাজউক, ওয়াসা, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এবং জেলা প্রশাসন। তবে গুলশানবাসী শঙ্কিত সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রকল্প নিয়ে। আদৌ কোনো কাজ হবে না কি অর্থের অপচয় হবে, তা নিয়ে বাসিন্দাদের মধ্যে নানা প্রশ্ন রয়েছে। প্রকল্পের কাজ শুরু হলেও এখনো কোনো সুফল পাচ্ছে না গুলশানবাসী। তাদের অভিযোগ, লেকটি প্রতিনিয়ত ভরাট হয়ে যাচ্ছে। রাজউকের লেক উন্নয়ন প্রকল্পের তথ্যমতে, সরকার গুলশান লেকের উন্নয়নে ৪১০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। এ প্রকল্পের আওতায় লেকের অংশে সরকারি বিভিন্ন সংস্থা ও ব্যক্তিমালিকানাধীন জমি একোয়ার, লেকের পাড়ের হাঁটার রাস্তা ও খনন করা হবে লেক। ২০১০ সালের মধ্যে কাজ শেষ করার কথা থাকলেও এখনো ওয়াকওয়ে নির্মাণ শুরু হয়নি। সম্প্রতি মহাখালী গাউসুল আজম মসজিদ-সংলগ্ন এলাকা থেকে বনানী ব্রিজ পর্যন্ত সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, গুলশান লেকের কড়াইল বউবাজার অংশের দখলদাররা দখলযজ্ঞ চালাচ্ছে। দখলদাররা লেকের নতুন জায়গাসহ উচ্ছেদকৃত অংশে বাঁশের খুঁটি গেড়ে টিনের ছাউনি দিয়ে দুই শতাধিক ঘর তুলেছে। পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের চেয়ারম্যান আবু নাসের খান বলেন, রাজউকের খামখেয়ালির জন্য লেকটি দখলদাররা গিলে খাচ্ছে। ডিসিসি, ওয়াসা ও জেলা প্রশাসন দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করছে না। ঢাকা ওয়াসার গুলশান-বারিধারা লেক দূষণ রোধ প্রকল্পের পরিচালক মোহাম্মদ আক্তারুজ্জামান জানান, সরকারি ৫৪ কোটি টাকার অর্থায়নে গুলশান লেক পাড়ের স্ট্রম স্যুয়ারেজ সিস্টেম তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। এ কাজ শেষ হলে কোনো ময়লা লেকে পড়বে না। এসব স্যুয়ারেজ লাইনের মাধ্যমে পয়োবর্জ্য হাতিরঝিলে গিয়ে পড়বে। ডিসেম্বরের মধ্যে কাজ শেষ হবে বলে জানান তিনি।

 

 

সর্বশেষ খবর