শুক্রবার, ২৮ জুন, ২০১৩ ০০:০০ টা

নতুন স্থলবন্দর ও ২২ সীমান্ত হাটের প্রস্তাব ভারতের

সীমান্তে আরও ২২টি হাট স্থাপনে আগ্রহী ভারত। রাজধানী নয়াদিল্লিতে গত ১৩-১৪ জুন দুই দেশের যৌথ কার্যদলের (জেডব্লিউজি) বৈঠকে এ প্রস্তাব দেওয়া হয়। মেঘালয় সীমান্তে এসব হাট স্থাপন ছাড়াও একটি নতুন স্থলবন্দর খোলারও প্রস্তাব দিয়েছে প্রতিবেশী দেশটি।

ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশন থেকে গতকাল পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য তুলে ধরা হয়। মিজোরাম সীমান্তে চারটি হাটের প্রস্তাব আগেই দিয়েছে ভারত। ত্রিপুরা সীমান্তে প্রস্তাবিত চারটি হাটের নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশ। এগুলো হচ্ছে কমলসাগর, শ্রীনগর, পালবস্তি ও কমলপুর। কমলসাগর ও শ্রীনগর হাট শীঘ্রই চালু হবে। মেঘালয়ের ২২টি হাটের ব্যাপারে বাংলাদেশ পরীক্ষা করে দেখবে বলে বৈঠকে জানিয়েছে। মিজোরাম সীমান্তের প্রস্তাব যাচাই করে দেখা হচ্ছে। ওই স্থানগুলোর আশপাশে পর্যাপ্ত জনবসতি না থাকায় নতুন স্থান খুঁজে দেখবে দুই দেশ। ঢাকায় ২০০৫ সালে জেডব্লিউজির বৈঠকে প্রথম সীমান্ত হাট স্থাপনের প্রস্তাব দেয় ভারত। বিভিন্ন সীমান্তে এরই মধ্যে কয়েকটি হাট চালুও হয়েছে। মিজোরাম সীমান্তে প্রস্তাবিত হাটগুলো হচ্ছে বাংলাদেশের রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার তাড়াবুনিয়াপাড়া ও ভারতের মারপাড়া, একই উপজেলার উদয়পুর চাকমাপাড়া ও ভারতের শীলছড়ি, বাঘাইছড়ির বলাপাইয়াপাড়া ও ভারতের তুলপুইবাড়ি এবং বাংলাদেশের বরকল উপজেলার থেগামুখ ও মিজোরামের লুংসাই। এর আগে সিলেটের গোয়াইনঘাটের সোনারহাট ও মেঘালয়ের লিংখাট, সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার লাউয়ারঘর ও মেঘালয়ের কালিয়াচর এবং কুড়িগ্রামের বাজিতপুর উপজেলার বালিয়াবাড়ি ও ভারতের নলিকাতা সীমান্তে হাট স্থাপনের সিদ্ধান্ত হয়। তবে সিলেটের হাট এখনো চালু হয়নি। সুনামগঞ্জের স্থান পরিবর্তন হয়ে সদর উপজেলার ডলুরা ও ভারতের বালাট সীমান্তে হাট স্থাপিত হয়।

সীমান্ত অঞ্চলের মানুষের শুল্কমুক্ত পণ্য কেনাবেচা করতে হাট স্থাপনের সিদ্ধান্ত হয়, যা বর্ডার হাট নামেও পরিচিত। এসব হাটে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা চানাচুর, চিপস, আলু, তৈরি পোশাক, মাছ, শুঁটকি, মুরগি, ডিম, সাবান, শিম, সবজি, গামছা, তোয়ালে, কাঠের টেবিল, চেয়ার ও গৃহস্থালি কাজে প্রয়োজনীয় লোহার তৈরি পণ্য নিয়ে আসেন। ভারতীয়রা আনেন ফল, সবজি, মসলা, মরিচ, হলুদ, পান-সুপারি, আলু, মধু, বাঁশ ইত্যাদি।

সূত্র জানায়, কুড়িগ্রামের সীমান্ত হাটটি এখনো জমে উঠেনি। বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা প্লাস্টিকের পণ্য ও কাপড় নিয়ে যান। ভারতীয়রা নিয়ে আসেন মূলত মসলা। কিন্তু দুই থেকে তিন কেজির বেশি পণ্য কেউ আনতে পারেন না। বিজিবি ও বিএসএফ সদস্যরা বাধা দেন। তাছাড়া মুদ্রা বিনিময়ের বিষয়টি সুরাহা হয়নি। কিছু চোরাকারবারিও হাট সচল হতে না দেওয়ার জন্য তৎপর।

 

 

সর্বশেষ খবর