শুক্রবার, ৩০ আগস্ট, ২০১৩ ০০:০০ টা
ভিওআইপির ৬১০ কোটি টাকা আত্মসাৎ

বিটিসিএলের চার এমডিসহ ২২ জনের বিরুদ্ধে মামলা

অবৈধ ভিওআইপির মাধ্যমে প্রায় ৬১০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে বিটিসিএলের বর্তমান ও সাবেক চার এমডিসহ ২২ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মোট চারটি মামলায় এই আসামিদের মধ্যে ১৯ জন বিটিসিএলের। বাকি তিনজন এরিকসন নামে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা। রাজধানীর বনানী থানায় গতকাল বিকালে এ মামলা দায়ের করেন দুদকের সিনিয়র উপ-পরিচালক মো. সাহিদুর রহমান। দুদক এর আগে ২৫ আগস্ট মামলা দায়েরের অনুমোদন দেয়। দুর্নীতির এসব মামলায় বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানি লিমিটেডের (বিটিসিএল) আসামিদের মধ্যে বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এস এম কলিমুল্লাহ ছাড়াও রয়েছেন সাবেক তিন এমডি। তারা হলেন_ মো. মনিরুজ্জামান, আফসারুল আলম ও ড. আবু সাঈদ খান। বিটিসিএলের অন্য কর্মকর্তারা হলেন- এডিই রোনেল চাকমা, বদিউল আলম, বিভাগীয় প্রকৌশলী হাবিবুর রহমান প্রামাণিক, ডিএম (ওটিআর) আনোয়ারুল মামুন, সাবেক সদস্য (মেম্বার) প্রকৌশলী মোহাম্মদ তৌফিক, এইচ এম বখতিয়ারুল হুদা, জহির উদ্দীন বাবর, খোরশেদ আলম, মিসেস মনিরা বেগম, শামসাদ মাহমুদ, আবদুস সালাম, সাইফুর রহমান, খান মো. কায়সার, আজিজুল ইসলাম ও মাশরুর হাসান। এরিকসন বাংলাদেশ লিমিটেডের তিন কর্মকর্তা হলেন কন্ডাক্ট ম্যানেজার আসিফ জাহিদ, রিলেশন ম্যানেজার নজরুল ইসলাম ও প্রকৌশলী মনসুরুল হাকিম। মামলায় উল্লেখ করা হয়, ২০০৯ সালের আগস্ট থেকে ২০১১ সালের নভেম্বর পর্যন্ত বিটিসিএলের আইটিএক্স-৫ ও আইটিএক্স-৭ থেকে যে পরিমাণ বিদেশি কল এসেছে, তা সঠিকভাবে রেকর্ড না করে ডেটা মুছে ফেলা হয়েছে। অভিযুক্তরা যোগসাজশ করে ওই অর্থ আত্মসাৎ করেন। এ সময়ে বর্তমান এমডি কলিমউল্লাহ বিটিসিএলের সদস্য (মেইনটেন্যান্স ও অপারেশনস) ছিলেন। চলতি বছর ১৪ জানুয়ারি তাকে এমডি পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। জানতে চাইলে দুদকের উপ-পরিচালক এস এম সাহিদুর রহমান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, 'তদন্তে ৬১০ কোটি টাকা আত্মসাতের তথ্য-উপাত্ত পাওয়া গেছে।' প্রসঙ্গত, অবৈধভাবে ভয়েস ওভার ইন্টারনেট প্রটোকল বা ভিওআইপির মাধ্যমে অর্থ আত্দসাতের অভিযোগ দীর্ঘদিনের। সরকার এর ফলে মোটা অংকের রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বলে জানিয়ে আসছেন বিশেষজ্ঞরা।

 

 

সর্বশেষ খবর